somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার বর্ষপূর্তি!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি প্রথম বাংলা টাইপ শিখি ক্লাস নাইনে থাকতে। আমার ছোট ভাই নিলয় হাসানের কাছে। ও আমার তিন বছরের ছোট। কিন্তু পড়াশোনায় মাত্র দু ক্লাস নীচে ছিলো। ও সেভেনে থাকতেই দুর্দান্ত টাইপ শিখে ফেলে।

আমার বাংলা টাইপ শেখা হয়েছিলো মূলত আমার খালামনির থিসেসগুলো কম্পোজ করে দেবার জন্য। খালামনি তাঁর পি এইচ ডির জন্য ঢাবিতে পেপার জমা দিবে। কমেন্পাজ করার জন্য একটা লোক দরকার। নিলয়কে ধরল খালামনি। কিন্তু নিলয়ের সামনে মিড টার্ম। তুলনামূলক ভাবে আমিই ফ্রি ছিলাম। দুদিনে নিলয়ের কাছ থেকে শিখে খালামনির কাজে লেগে গেলাম।

খালামনি কলমে লিখত। আর আমি টাইপ করে যেতাম। বিজয়ে আমি প্রথম বাংলা শিখি। এখনও, বিজয় ছাড়া আর কোন কি বোর্ডে আমি টাইপ করে আরাম পাই না। প্রথম প্রথম বিজয়ের কি বোর্ড লে আউটটা মিনিমাইজ করে রেখে দিতাম এম এস অফিস ইউন্ডোর পাশে। একটু পর পর দেখতাম। একসময় দেখা গেল আমার আর দেখতে হচ্ছে না। এমনিতেই পারছি। কয়েকদিন পর দেখলাম আমার টাইপের গতিও বেড়েছে। খালামনির থিসিসের কাজ যখন শেষ হলো, তখন খেয়াল করে দেখলাম, ইংরেজি কম্পোজ করার চাইতে বাংলা কম্পোজ বেশ ভাল, দ্রুত এবং নিখুতঁভাবে পারি। প্রুফ রিডিংয়ের সময় আমার টাইপরে ভুলও অনেক কম ধরা পড়ল। নিজের পারফরমেন্সে আমি নিজেই অবাক!

এরপর প্রায়ই টুকটাক টাইপ করতে হতো। টাইপ করার কিছু না থাকলে আমি নিজেই বসে বসে আমার ছোট বেলায় গল্প কবিতা গুলো টাইপ করতাম। সেগুলোও একসময় টাইপ করা শেষ হয়ে গেল। এরপর দেখা গেল, শুধু মাত্র বাংলা টাইপ করার জন্যই আমি বিভিন্ন গল্প বা কবিতা লেখার চেষ্টা করতাম। এই যে এখন টুকটাক লেখা লেখি করি, এর পেছনে আসলে মোট তিনজনের অবদান। এক. আমার আম্মু। ২. বিজয় সফটওয়্যারটা আর ৩. এই ব্লগ।

কিছুদিন ইংরেজী আর্টিকেল বাংলায় অনুবাদ করে টাইপ করা শুরু করলাম। তারপর হাবিজাবি টাইপ করতাম বসে বসে। মোট কথা, কিছু না কিছু নিয়মিতই টাইপ করতাম। ইন্টারমিডিয়েট ক্লাস পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো সে চর্চা।

অষ্ট্রেলিয়া চলে আসার পর সেই চর্চাটা আর হয়ে উঠল না। একদিন দুদিন করে কেটে গেলো দুটো বছর। একসময় কর্ণফুলী নামক একটা অনলাইন ম্যাগাজিন বের করা হলো সিডনী থেকে। অস্ট্রেলিয়ায় প্রবসী বিখ্যাত রাজনীতিবিদ, উকিল, কলাম লেখক এবং ধন্যাঢ্য ব্যক্তি চিটাগাংয়ের বনি আমিন ভাই ছিলেন সেই ম্যাগাজিনের সম্পাদক। আমাকে নিজে ফোন করে বল্লেন প্রলয়, আমার ম্যাগাজিনটি আগামী মাসে লন্চ করছে। আমি তোমার একটা লেখা চাই।" আমি অবাক। বাংলাদেশে থাকতে তার সাথে আমার কোন পরিচয় ছিলো না। সে কিভাবে জানল আমি লেখালেখি করি। তাকে জিজ্ঞেস করেও তেমন কোন উত্তর পেলাম না। আমি বল্লাম আমার বিজয় লাগবে। উনি বিজয়ের একটা কপি রাইট করে মেইলে করে আমার বাসার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলেন। দেশে থাকতে বিজয় ইনসটল করার সময় সিরিয়ার কি'র জাগায় অনেকগুলো ১১১১১১১ এভাবে দিতাম। এখানে সেটা করা লাগল না। কারন, উনি মোস্তফা জব্বারের কাছ থেকে অরিজিনাল ভার্সনটা কিনেছেন।

ইনসটল করার পর দেখা গেল আমি টাইপ করতে পারছি না। খুব বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলাম, আমি বাংলা টাইপ বেমালুম ভুলে গেছি!

মন খারাপ করে বনি ভাইকে ফোন করে বললাম সে কথা। সে সব শুনে বল্ল- চর্চা না থাকলে ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তুমি ট্রাই করো কিছুদিন।
আমি বল্লাম- সেটও পারব না। কিছু দিন পর আামার সেমিস্টার ফাইনাল। ট্রাই করার সময় নেই। উনি বল্লেন - কোন সমস্যা নেই। তুমি কাগজে লিখে পাঠিয়ে দাও। আমাদের লোক আছে টাইপ করার। তার কথামত কাজ করলাম। আমার লেখাটা ছাপাও হলো তার ম্যাগে। ওটাই প্রথম ওটাই শেষ। এরপর আর পাঠাইনি। পার্টটাইম চাকরী আর পড়াশোনার চাপে লেখালেখির সময় পেতাম না। তাছাড়, তার ম্যাগে রাজনীতিমূলক প্রবন্ধ বেশী ছাপা হতো বলে আমি তাকে লেখা দেবার আগ্রহও হারিয়ে ফেলি। অনেক অনুরোধ করার পর আমি তাকে কোন লেখা দিতে পারিনি। এ নিয়ে তিনি হয়ত এখনও আমার উপর অসন্তুষ্ট।


এরপর কেটে গেছে একটি বছর। গ্রাজুয়েশন শেষ করে জবের জন্য এ্যাপ্লাই করছি বিভিন্ন জাগায়। তখন ২০০৭ এর মাঝামাঝি। পড়াশোনা না থাকাতে রাতে হাতে প্রচুর সময় থাকত। সে সময়টাতে প্রুচর নেট সার্ফিং করতাম। কতরকম সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে যে রেজিঃ করেছি, তার কোন ইয়ত্তা নেই। একসময় পোলাপাইন.কমে ঢুকলাম। কিছুদিনের ভেতরই খুব ভাল লেগে গেল। মিউজিক পাগল একদংগল বাংগালী ছেলে মেয়ের আসরে জমজমাট হয়ে থাকত আমেরিকান এই সাইটের পুরোটা অংশ। সেখানে মডারেটর টিমের বাইশ বছরের একটি মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। জর্জিয়া থাকে। এই মেয়েটিকে আমি খুবই পছন্দ করতে থাকি। তার সুন্দর বাচন ভংগির জন্য নয়। তার দেশ প্রেমের জন্য নয়। মিউজিকবোদ্ধা হবার জন্যে নয়। পছন্দ করি তার অসাধারন সেন্স অব হিউমারের জন্য। কারন আমি জান্তাম মেয়েদের এই জিনিসটা সাধারনত খুব কম থাকে।


২০০৭ এর শেষের দিকে কিভাবে কিভাবে যেন এই ব্লগের দেখা যাই। পত্রিকায় পড়ে নয়ত গুগলে সার্চ করে। যাই হোক, তখন রাগ ইমন আপুর আর আরিফ জেবতিক ভাইয়ের লেখা পড়া হতো টুকটাক। আরিফ ভাই তখন ভ্যালেরিকে নিয়ে করা তার পোস্টগুলোর জন্য জনপ্রিয়তার তুংগে। তার সে পোস্টগুলো ছিলো খুবই "পয়া" পোস্ট। কারন, এই ব্লগের অনেক সেলিব্রেটি ব্লগার এই ব্লগে প্রথম পদার্পন করেছে তার সেসব পোস্ট পড়ে। মনেহয় এইতো সেদিনের কথা। অথচ কিভাবে দেখতে দেখতে একবছর হয়ে গেল!

রাগুদির কবিতা আমি খুব একটা বুঝতাম না। এক একটা লাইন কি যে কঠিন মনে হতো। হাল ছেড়ে না দিয়ে বোঝার চেষ্টা করতাম। যখন বুঝতে পারতাম তখন অবাক হয়ে যেতাম তার লেখনী দেখে। একটা কমেন্ট করার জন্য হাত নিশ পিশ করত। কিন্তু কয়েকবার ট্রাই করেও রেজিঃ করতে পারিনি।
গত একবছরে এই ব্লগের এমন কোন নিয়মিত ব্লগারকে খুজেঁ পেলাম না যে বা যারা, আমার ব্লগে কোনদিন কোন কমেন্ট করেনি। এমনকি যার বা যাদের সাথে ব্লগে আমার প্রচন্ড রেষারেষি চলেছে, সে বা তারাও একসময় আমার কোন না কোন পোস্টে হাসিমুখে কমেন্ট করেছে।

কাল রাতে অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, রাগুদির কোন কমেন্ট আমার কোন ব্লগে নেই। আমার কোন নিকের কোন পোস্টেই নেই। কোথাও খুজেঁ পেলাম না। যার লেখা ব্লগে রেজিঃ করার আগে থেকেই পড়তাম, তার একটা কমেন্টও এই একবছরে পাওয়া হলো না, বাস্তবতাটাকে চিন্তা করে খুব মজা পেলাম! তবে এটুকু মনে আছে যে, উনি প্রায়ই আমার ব্লগ থেকে ঘুরে যেত। কোন কমেন্ট বা রেটিং করত না। সেটা দেখে ভাবতাম, হয়ত আমার লেখাটাই তার কমেন্ট পাবার যোগ্যতা রাখে না। তাই কোনদিন তাকে বলিনিও আমার ব্লগে আসতে। অমি রহমান পিয়াল ভাই, ডটু রাসেল, আবাল সুশীল মামো উরফে মাহবুব মোর্শেদ, (আমি যখনকার কথা বলছি তখন মামো খুব ফর্মে ছিলো) আরিফ জেবতিকদা এরাও করেনি। সেলিব্রেটিদের সবার ব্লগে কমেন্ট করতে হয় না। এই কথাটা এদেরকে দেখলেই মনে পড়ে যায়!
ব্লগের যে দুই সেলিব্রেটিকে নিয়ে আমার যাত্রা শুরু, তাদের কেউ-ই আমার ব্লগে কখনো কেমেন্ট করেনি। এ নিয়ে আমার কখনো কোন ক্ষোভ ছিল না। এখনো নেই। এখানে বলার কারন হলো, তারা যে তথাকথিত সেলিব্রেটির খোলস থেকে এখনো বেরুতে পারেনি, পোস্টা লেখার সময় বারবার শুধু সেটাই মনে হচ্ছিল।

আমি তাদের কারো ব্লগেই কখনো কমেন্ট করিনি। করলেও গত একবছরে হাতে গোনা একটি দুটির বেশী হবে না। তবে রাগুদির ব্লগ বাদে। সে আমার ব্লগে আসে না কিন্তু আমি তার ব্লগে নিয়মিত যাবার চেষ্টা করি। আমার কমেন্টের রিপ্লাই না দিয়ে বাকী সবারটা দিলেও আমি যাই, একটা ভাল লাগা থেকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব স্মৃতিপ্রবন মানুষ। তার ব্লগটা দেখলে আমার ব্লগে আসার আগের সময়টুকুকে মনে পড়ে। তখন কেমন যেন ভোতাঁ একটা বেদনাদায়ক সুখ হয়। এই সুখ পাবার লোভে যাই। মাঝখানে অভিমান করে সব পোস্ট ড্রাফট করে ফেলেছিলো একবার। তখন খুব খারাপ লেগেছিলো। কিন্তু সেটাও কখনো বলিনি তাকে।

আরিফ ভাইয়ের সেই বিখ্যাত পোস্ট পড়া হয়েছিলো। শুধুমাত্র চেইন ই-মেইলের মাধ্যমে সে ভ্যালেরিকে কথাকে ছড়িয়ে দিতে চায় বিশ্বের প্রান্তে প্রান্তে। সেটা দেখে বুঝতে পেরেছিলাম মানুষটার আত্নবিশ্বাসের কোন অভাব নাই।

রেজিঃ করার পর পরই পড়া শুর করলাম ব্লগের একসময়কার কুখ্যাত চরিত্র সন্ধ্যাবাতি ওরফে আস্তমেয়ের লেখা। ও খুবই ভাল লেখত সন্দেহ নেই। একটা মানুষকে তাবদা খাইয়ে দেবার মত লেখা ও লেখতে পারত। বিশেষ করে ওর "টানেলের শেষেও শুধু অন্ধকারের গান। " এই টাইপের একটা শিরোনামের পোস্টার কথা কখনও ভুলতে পারব না।
দুবোন একসাথে ব্লগিং করত। "এই আমি মীরা" ছিল ওর ছোট বোন। ও-ও ভাল লিখত। এ বছরের জানুয়ারীতে ওরা সহ আরো কিছু জামাতী ব্লগার (আমি তখনও জান্তাম না যে এরা জামাত করে) হুমায়ূন আজাদের "নারী" বইটির ব্যাপক সমালোচনা করে একটার পর একটা পোস্ট দেয়। বেশ কয়েকদিন ফ্রন্টপেজ ভরে ছিলো সেসব পোস্ট। আমি খুব মনোযোগ দিয়ে প্রতিটি পোস্ট পড়েছি। সারারাত, সারা সকাল ধরে পড়েছি। পড়ার পর নিজেই দ্বীধায় ভুগেছি অনেক। আমি কাকে সাপোর্ট করব? যখন সন্ধ্যাবাতির পোস্ট পড়ি, তখন মনে হত আজাদ সাহেব বইটি লিখে খুব অন্যায় করেছেন। আবার যখন সাইদ শেরিফ বা মনিরউদ্দিন শামীমপোস্ট দিতো তখন মনে হত "নারী" বাংলা সাহিত্যের এক অমর সৃষ্টি! ছাগুচিফ জনাব তৃনভুজও "নারীকে" সাপোর্ট দিয়ে হুমায়ুন আজাদ বোঝার মতো বুদ্ধি সবার থাকেনা শিরোনামে পোস্ট দিয়েছিলো।
যাইহোক, সাদিয়ার লেখা ভাল লাগত বলেই যেতাম। অবাক হয়ে খেয়াল করতাম, এত ভাল লিখেও পোস্টে প্রচুর মাইনাস পড়তো। সমস্যাটা কোথায়? ব্লগারদের উপর রাগ হতো। আমার সাথে ওর খুব ভাল সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিলো। ঘটনাক্রমে জানতে পারি আমার এক সিনিয়র ভাইয়ের ইউনির বন্ধুর ছোটবোনও। পুরা ফ্যামিলি জামাত করে। তবে ওর বাবা-মা নাকি খুবই ভাল এবং অতিথিপরায়ন। আর ইমরানও খুব লাজুক। মাঝখান দিয়ে এই দুইবোন যে কিকরে এরকম অহংকারী আর বেয়াদব হয়েছে, খোদাই জানে।
সাদিয়া একদিন আমার কোন এক পোস্টে এসে বলে সিডনীর বাংগালি পাড়ায় যেতে নাকি তার লজ্জা করে!! শুনে মাথায় রক্ত উঠে গিয়েছিলো। নতুন এসেছি বলে কিছু বলিনি সেদিন। গুন্ডু আবার সেটার স্ক্রীনশট রেখে দিছিলো।

ব্লগে গন্ডু, হাসিব ভাই, আইজুদা, বিমাদা, নেমুদা, নারুসহ আরো অনেক ব্লগার ছিলো, যারা ওকে কম পচাঁয় নাই। শেষতক, গণধর্ষনের অভিযোগ তুলে ব্লগে ছেড়ে পালিয়ে গেল। তবে মীরাকে দেখি প্রায়ই টুকটাক লিখতে।

আমি মূলত ব্লগে এসেছিলাম লেখালেখির জন্য। বাক বিতন্ডা কখনোই আমার ভাল লাগেনি। তাইতো, প্রথম থেকেই যখন জামাতীদের দৌরাত্ন এবং প্রতিনিয়ত এটিমের বাশঁডলা দেখছিলাম, তখনও নিজেকে সযত্নে সেসব থেকে নিরাপদ রেখেছি। রাশুদা, বিমাদা, মানুদা এদের সাথে তখন আমি খুবই ঘনিষ্ঠ। রাশুদার বালিকা প্রিতীর কথা এই ব্লগের পুরনোদের কে না জানে। বালিকা নিয়ে একটা সিরিয়াস টাইপ পোস্ট করে বেচারা যে ধরা খেয়েছিলো!! সে কথা মনে পড়লে আজও হাসি পায়! তো, রাশুদার বালিকাকে নিয়ে একদিন আমি একটা ছ্ন্দ মিলিয়ে কবিতা লিখি। ছন্দ মেলানো কবিতা আমি জীবনে ২/৩টির বেশী লিখিনি।এর মধ্যে ঐ কবিতাটি একটি। সেদিন এটা পোস্ট করে মজা করার জন্য ওয়েট করছিলাম কিন্তু দেখি সবাই কেমন যেন অস্থির। খোজ নিয়ে দেখি আরেক জামাতি ছাগি ফারজানা মাহবুবা জামাতীদে পক্ষে আবোল তাবোল লিখে একটা পোস্ট দিয়েছে। তাতেই এই উত্তেজনা। ওর পোস্ট পড়ে গোবেচারা এই আমিও আর স্থির থাকতে পারিনি। এই পোস্টি লিখি তখন।
Click This Link
সেই থেকে শুরু। তারপর থেকে জামাতি ছাগুদের ুন্দানো আজো থামাইনি। থামাবোনা কখনো। নিয়মিত তাদের পশ্চাৎদেশ সবাই ব্যস্ত রেখে যাচ্ছে।:)

ব্লগের কিছু মজার চরিত্র, যাদের কখনোই ভূলবার নয়। যেমন, নুরে আলম, (ইনি এখন নেই, কিন্তু তার ফ্যান ক্লাব এখনো আছে), কবিগুরু মাইকেল মেহেদী, সৈয়দ আমির সাব- এরা তিনজনই প্রয়াত। কোথাও যে গেছে কেউ জানে না। অবশ্য নুরা ভাই বৃত্ত নিকে মাঝে মাঝে উদয় হন। আর ব্লগের স্মরনকালের সবচেয়ে বেশী আলোচিত এবং সমালোচিত মজার চরিত্র হচ্ছে ব্লগার ত্রিভুজ। এর কথা আর কি বলবো, তার নামের আগে এত বিশেষন, আমার মনেহয় ব্লগের ইতিহাসে আর কোন ব্লগারের নামের আগে কখনো এত বিশেষন যোগ করা হয়নি। আমি মনে করি, তৃনভুজ এই সামু ব্লগের অমূল্য একটা বিনোদনীয় উপাদান। একে যথাযথ সংরক্ষন করা প্রয়োজন।


বয়োবৃদ্ধ ব্লগার কালপুরুষের প্রতি ব্লগের প্রথম জীবনে আমার অনেক শ্রদ্ধা ছিলো। শুধু মেয়েদের ব্লগে নয়, ছেলেদের ব্লগেও সমান কমেন্ট করার জন্য বলে অনেক বুঝেয়েও লাভ হয়নি। ইরাপুর ব্লগে প্রচুর লোলামি করা সত্ত্বেও কিছু বলিনি। তার প্রতি প্রথম অসন্তোষ আসে, আউলার পোস্টে আমাকে আর ইরাপুকে নিয়ে করা একটা বাজে কমেন্টে। তার পর শুনি ব্লগার মনিটরদার মাকে নিয়ে অশ্লীল গালাগাল। কে যেন বলেছিলো আমার নিক হ্যাক হবার পেছনে তারও হাত আছে। এইসব জানার পর এই বয়োবৃদ্ধ লোকটির প্রতি আমার ছিটেফোটা শ্রদ্ধা বোধও থাকেনা। এখন তিনি হচ্ছেন ব্লগে আমার সবচে পুরনো এবং প্রিয় শত্রু!
এবার আসি ব্লগের মানিকজোড় এবং নিরন্তর ভাবনার খোরাকী ফারহান দাউন আর মেহরাব শাহরিয়ারের কথায়। ব্যাক্তিগতভাবে এদের সাথে আমার বিরোধ কখনোই ছিল না। দুজনেই খুব ভাল ছাত্র। লেখার হাতও বেশ ভাল। তারা নিয়মিত আমার কতবত নিকে কমেন্ট করত। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। হঠাৎ কালপুরুষের একটা পোস্টে কথা নাই বার্তা নাই, ফারহান দাউদ আমার বিরুদ্ধে আজে বাজে কথা বলা শুরু করে। আমি ওকে কখনোও কোন বাজে কথা বলিনি। সেদিন তাহলে ও কি মনে করে আমাকে বাজে কথা বল্ল, আজো বুঝলাম না। হয়ত, তার নিরন্তর ভাবনার খোরাকে যোগানেওয়ালী আস্তাবাতীকে দেখতে না পারাদের দলে ভীড়েছিলাম বলেই... ;) যাইহোক, সেই থেকে আমিও ওকে দেখতে পারি না এখন।
বেশকিছুদিন ধরে আবার কিছূ খুচরা ব্লগারদের অস্তিত্ব ব্লগে লক্ষ্য করছি। এদের কাজ হলো একটু সুযোগ পেলেই আমার বিরুদ্ধে আমব্লগারদের উসকায়ে দেয়া। আমার বিরুদ্ধে ফ্রন্ট পেজে কোন পোস্ট আসলেই টপাটপ প্লাস পড়ে। যাদেরকে চিনি না, যে নিকগুলোকে ব্লগে আগে কখনো দেখিনি, তারাই একে একে আমার দুর্নাম গেয়ে যায়। আমার বিরুদ্ধে পোস্ট আসার সাথে সাথে তাদের উদয় ঘটে। ব্যাপারটা আমি খুব উপভোগ করি। এমনিতে তাদের দেখা পাওয়া ভার। আমার ধারনা, আমার খুব কাছের এক বা একাধিক মানুষের বিভিন্ন নিকও তার ভেতর থাকে।এমনকি এই নিরীহ পোস্টাও নির্ঘাত তাদের হাত থেকে রেহাই পাবে না।
এই পোস্টে আমার অনেক শত্রুর নাম এবং শত্রুতা পয়দা হবার কাহিনী বল্লাম। তাদের ভেতর অনেকেই হয়ত শত্রুর শত্রু বন্ধু নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে থাকতে পারেন। সুতরাং, এই পোস্টের পর যদি দেখি আমার শত্ররা সব এক জোট হয়ে আমার পেছনে লাগার চেষ্টা করছে, মোটওে অবাক হবোনা। কম তো দেখলাম না এই একটা বছরে!




আউলা ছিল আমার প্রিয় ব্লগারদের একজন। কারন ওর পোস্ট-কমেন্ট সবই ছিলো ওর নিকের মত আউলা। আর ছিলো পোস্টে ব্যাপক ইমোর ব্যবহার। এইজন্য মজা পেতাম। মাঝখানে আউলার সাথে ছোট্ট একটি ভুল বোঝাবোঝির দরুন রাশুদা, বিমাদা, মানুদা এদের সাথে কিছুটা দুরত্ব সৃষ্টি হয়। বিমাদা আমাকে বিশাল একটা মেইল করে। তার জবাবে আমি তাকে তারচাইতেও বিশাল একটা মেইল করি সব বুঝিয়ে, ভেবেছিলাম সে অন্তত বুঝবে! কিন্তু সেই মেইলের রিপ্লাই আজো পাইনি।

এই ঘটনার পর অবাক হয়ে দেখি চিকনা মিয়া আমার পোস্টে চুপচাপ মাইনাস দিয়ে চলে যায়। ওর সাথে তো কখনো কিছু হয়নি। তার পোস্টে গিয়ে বল্লাম। দেখি আমার কমেন্ট মডারেশন করা। মেজাজ গেলো আরো খারাপ হয়ে। অথচ এই চিকুর ব্লগের প্রথম পোস্টের প্রথম কমেন্ট আমার ছিলো। আমি কমেন্ট করে প্রথম পাতায় এনে দেবার পর এক এক করে কমেন্ট পড়তে থাকে পোস্টে। নতুন ব্লগারদের ভেতর জেরী, তানজু এরাও আমার ব্লগে আসে না। আসলেও চুপচাপ চলে যায়। আমি দেখি আর হাসি। :) অথচ এদের সাথেও কখনো কিছু হয়নি। দুয়ে দুয়ে চার মেলাতে সমস্যা হয় না। তবু আমি নিজে যেচে কিছুদিন তাদের ব্লগে গিয়েও লাভ হয়নি।
এই ঘটনার মাসদেড়েক পর আমার নিক হ্যাকের ঘটনাটি ঘটে। আমার নিক হ্যাক হবার পর সবার ধারনা হয়ে যায় যে, ইরাবতী নাকি আমারই একটি নিক। প্রথম প্রথম এই ব্যাপারটিতে মজা পেলেও পরে প্রচন্ড বিরক্ত হওয়া শুরু করি। আমার নিক হ্যাক হয়েছে এটা কেউ বিশ্বাস করলা না, সবাই বিশ্বাস করল ইরাপুর নিকটা নাকি আমার। অথচ সত্য হলো উল্টোটা। রাগুদি তার কিছুদিন আগে "মানুষ সত্যকেই সবচে বেশী সন্দেহ করে" শিরোনামেএকটি পোস্ট লিখে। আপুকে আমি সব খুলেও বলি। অথচ এই রাগুদিই সেদিন আমাকে "ইরাবতী ধরনের সমস্যা হতে পারে" বলে খোচা দেয়!! তারমানে সত্যকে সে নিজেও সন্দেহ করে!! রাগুদির রাগটা আসলে কোথায় আমি জানি। দোষটা আসলে আমরই। আপুর একটা অনুরোধ আমি রাখতে পারিনি সেদিন।
আলম ভাই'র দোষ শুধু শুধু দিয়েছিলাম। ওটা ছিল জাস্ট একটা কো ইন্সিডেন্স! ছামোয়ারিন ছেড়ে আমু ব্লগে পড়ে ছিল কিছু দিন। এখন সেইখানেও তাকে দেখিনা অনেকদিন থেকে। নিক হ্যাক হবার বিষয়টি এখন আর নতুন বা অবিশ্বাস্য বা হাস্যকর নয়। আমার আগে ব্লগার চতুর্ভুজসহ অনেকের নিক হ্যাক হয়েছিলো। আমার পরে হ্যাক হয় লুলুপাগলা, নিপা সহ আরো অনেকের । ছাগুচিফের একটা পোস্টও আছে এটা নিয়ে। নিপার ঘটনা তো এই তো সেদিনের। আরিলের এ বিষয়ে একটা পোস্ট কিছুদিন আগে স্টিকিও হয়েছিলো। তবুও পাবলিক এখনো বিশ্বাস করে না আমার নিক হ্যাক হবার ঘটনা।!! ঘটনার দিন স্বপ্ন জিটকে ছিলো। সাথে সাথে ওকে সব খুলে বলি। আর কেউ করুক আর না করুক, আমার স্বপ্ন জানে যে তাকে আমি সত্য বলেছি।


এই ব্লগ বাংগালীকে ব্লগিং শিখিয়েছে বল্লেও বেশী বলা হবে না হয়ত। কিছুদিন আগে দেখলাম, গ্রাম থেকে শহরে পড়তে আসা একটা ছেলেও এখন ব্লগিংয়ের সংজ্ঞা লিখে পোস্ট দেয়। পড়ে মজা পাই। প্রতিদিন অনেক নতুন ব্লগার রেজিস্ট্রেশন করছে। আগে দেখতাম পিক আওয়ারেও বড়জোড় ৫০/৬০ জন লগড ইন। গত রমযান মাস থেকে দেখছি অফপিকেও এই সংখ্যা। আর পিকে তো ইলেকশানের দিন ১৫৩ ছাড়িয়ে গিয়েছিলো।খুব আফসোস হয় ঐসব পোস্টগুলোর জন্য, যেসব আমার দৃষ্টির বাইরেই থেকে গেলো, পড়া হলো না। আমার সব নিকের ব্লগের শোকেসেই অনেক পোস্ট রেখে দিয়েছি পড়ার জন্য। কবে যে সময় পাবো জানিনা, কারেন্টগুলো পড়েই তো কুল পাই না!

এই ব্লগের কাছে আমি অনেক ঋনী। অনেক।
আমার লেখালেখি বোধ ভোতাঁ হয়ে গিয়েছিলো। ব্লগ সেটাকে ধার দিয়ে দিয়েছে। দিয়েছে একগাদা আত্নার বন্ধু্। যাদেরকে কখনো দেখিনি, সামনা সামনি দেখলেও হয়ত চিনব না, অথচ প্রোফাইল ছবি দেখার সাথে সাথেই মনে হয় যেন কতদিনের আপন। দিয়েছে আমার স্বপ্নকে। স্বপ্নের সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয় এই ব্লগেই। সোশ্যাল নেট্ওয়াকিং একটা ওয়েবসাইট কত শক্তিশালি হতে পারে, এই ব্লগটা না দেখলে বুঝতামইনা। তাছাড়া, নবিন লেখকদের সাথে সাথে প্রচুর স্বনামধন্য লেখক ও কবিদের সৃষ্টি টাটকা টাটকা পড়তে পারছি।
ব্লগ দিয়েছে স্কুলের বন্ধুকেও! নেমুদার কাছ থেকে প্রথম শুনি যে তামিম ইরফান উরফে গুলাপি আমাদের স্কুলের সেই কালো করে লম্বা নাক চোখা ছেলেটি। তামিম, আমি আর উপল একসাথে যে কত আড্ডা দিতাম, কত গেইমস খেলতাম দোকানে গিয়ে!!! খুব অবাক হয়েছিলাম এখানে তামিমকে পেয়ে।
তবে এই ব্লগের শুধু একটা জিনিস ভাল লাগে না। সেটা হলো, ছাগুচিফ, বুবস, আব্দুল্লার মা সহ আরো অনেক জামাতী ছাগুর স্বদম্ভ পদাচারনা এই ব্লগ বন্ধ করতে পারেনি। অথচ এরা সবাই অনেক পুরনো ব্লগার। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই প্রথম পাতায় অসংখ্য ব্লগারের অসংখ্য পোস্ট অসংখ্যবার এসেছে। কিন্তু মডুরা কখনোই সেসব গা করেনি।
ব্লগে আমার কিছু বদ্যাভাস হয়ে গেছে।

১. স্টিকি পোস্টে সাধারনত কোন কমেন্ট করি না।
২. পুরান পোস্ট ফ্রন্ট পেজে তুলে আনতে ভাল লাগে।
৩. কমেন্ট রিপ্লাইয়ে টেনকু বলি।
৪. ধর্ম আ রাজনীতি নিয়ে ক্যাতা পোস্ট-কমেন্ট এড়িয়ে চলি।
৫. ছাগু আর লুলদের চান্স পেলেই খোচাইঁ।
৬. উন্নত সাহিত্যমান সম্পন্ন পোস্টগুলোকে ফেলে মাঝে মাঝে মজাদার এবং কৌতুহলোদ্দীপক পোস্টগুলো পড়ে ফেলি।
৭. কোন ব্লগারের নতুন পোস্টের খোজেঁ তার ব্লগে যাই না। তা সে আমার যত পেয়ারের ব্লগারই হোক না কেন।

এই বদ্যাভাসগুলো সংশোধনের চেষ্টায় আছি।
এই ব্লগ আমার জন্য এক সর্বনেশে নেশা।। কতদিন না খেয়ে, না ঘুমিয়ে, না গোসল করে এমনকি অফিস কামাই দিয়েও একদিন ব্লগিং করেছি। কতবার যে প্রতিজ্ঞা করেছি ব্লগ ছেড়ে দেব! প্রতিদিনই পোস্ট পড়া হয়, কমেন্ট করা হয়, সেটুকু না হলেও অন্ততঃ লগিন করে বসে থাকি। কেমন যেন ঘোর লেগে যায়।

ঝুমী নামের একজন পরিচিত নারী ব্লগার আছেন আমাদের মাঝে। প্রথম দিকে একটা মজাদার পোস্টের কারনে ব্লগের সবাই তাকে পুরুষ ভাবা শুরু করে দিলো। আমার ব্লগে যাতায়াত শুরু করার পর খুব ভাল করে তাকে অবজার্ভ করার পর মনে হলো ব্লগাররা আসলে ভুল সন্দেহ করছেন। সে সময় আমরা একে অপরের ব্লগে নিয়মিত কমেন্ট করতাম। তখন অনেক কে বলেছি যে ঝুমী নিকটা আসলেই একটি মেয়ের। কেউ কর্ণপাত করেনি। ইদানিং সেসব ব্লগারদের অনেকেই তার ব্লগে গিয়ে কুশলাদি জিগেস করেন, যেসব ব্লগাররা একসময় তাকে পুরুষ অপবাদ দিয়ে আজে বাজে কথা বলত। আমি এই ব্যাপারটিতেও খুব মজা পাই। :)
রাশেদ ভাই এবং ঝুমী গত একবছরে আমার ব্লগে সবচেয়ে বেশী কমেন্ট করেছে। যথাক্রমে 257 এবং ১23 টি কমেন্ট করেছে এরা। আজ থেকে প্রায় একবছর আগে আমার "কতবতবকতকত" নিকের ব্লগে করা রাশেদ ভাই'র প্রথম কমেন্ট ছিলো ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:২৬ রাশেদ বলেছেন: ভাল লাগল। আপনার নিকের এই করুন দশা!

২য় কমেন্টা ছিল আরো মজার - ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:২৭ রাশেদ বলেছেন: হায় হায়! আপনাকে মেয়ে মনে করেছিলাম। এখন দেখি নাম প্রলয়! হি হি!

পুরো ব্লগের সবচে বেশী সংখ্যক স্বাতন্ত্র ব্লগারের ব্লগ যদি কেউ ভিজিট করে থাকে সেটা রাশুদা ছাড়া আর কেউ নয়। দেড় বছরের ব্লগ জীবনের কমেন্ট সংখ্যাও তারচে বেশী কারো নয়। প্রায় চল্লির হাজার কমেন্ট!!! অনেক নামী দামী ব্লগারের হিটও হবে না চল্লির হাজার !
রাশুদার বিখ্যাত এবং কমন কমেন্ট "চলুক, হুমম, ভাল্লাগছে, হা হা! ঠা ঠা!" এইসব খুব মজা লাগত প্রথম থেকেই!
রাশুদা আমার ব্লগের নাম দিয়েছিলো কতবেল। উচ্চারনের সুবিধার জন্য মনেহয়! সেই থেকে আামর নামই হয়ে গেল কতবেল। মনে আছে, রাশুদা, নরাধম , নিলা সবাই মিলে আমাকে কতবেল বলে কত যে ক্ষেপাত! আমি তাদের নাম দিয়েছিলাম ছ্যাকুঢ়শু, নারু আর জ্যামীম্যাম। জ্যামীম্যাম বল্লে নীলা খুব ক্ষেপত। খুব অভিমানী আর আবেগী মেয়ে ছিলো। কদিন আগে ব্লগ ট্গ মুছে কই যে গেল! আর নারু আমার আরেকজন খুব প্রিয় ব্লগার। আমেরিকা প্রবাসী প্রচন্ড মেধাবী এই সুর্দশন তরুন, জামাতী ছাগি সাদিয়াকে ইংরেজীতে এমন একটা কথা বলেছিলো, মনে পড়লে হাসতে হাসতে এখনও গড়াগড়ি খাই। আমি, গুলাবি, নারু, জেমীম্যাম, রাশুদা, আজহার ফরহাদ ভাই, আমার প্রলয় হাসান নিকের প্রথম পোস্টে কত যে মজা করেছি সবাই মিলে একসাথে...! পুরনো সেই কমেন্টগুলা দেখে আজ অনেকদিন পর স্মৃতির রাজ্যে হারিয়ে গিয়েছিলাম।

ব্লগের শুরুর দিকে প্রিতী সোনিয়াকে দেখতাম মেয়েটা শুধু ইংরেজী রাইম পোস্টাত। অনেক তাগাদা দেবার পর সে নিজের থেকে লিখতে শুরু করে। একসময় দেখি নিয়মিত প্রচুর লিখতে থাকে। এই মেয়েটা আগে কেন এরকম লেখেনি, সেটাই বিস্ময়! আমার ধারাবাহিক উপন্যাসেরর নিয়মিত পাঠিকা ছিল ও। ইদানিং ওকে দেখি না খুব একটা।

ব্লগে আমার প্রথম মৌলিক পোস্ট দেই ব্লগার প্রিয়তির একটা পোস্ট পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে। সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ ওর কাছে। কিন্তু ওকেও কখনো ব্লগে নিয়মিত দেখিনি। হুটহুাট এসে চলে যেত। কিছু দিন আগে ব্লগার শেষ বিকেলের মেয়েকেও দেখেও খুব ভাল লাগে। আমার পোস্টের নিয়মিত পাঠিকা ছিল ও। অনেকদিন পর পুরনো কোন ব্লগারের দেখা পেলে ভাল লাগায় মন ভরে উঠে।

এটা এই ব্লগে আমার লেখা প্রথম পোস্ট

আমার ব্লগ জীবনের প্রথম কমেন্টা পেয়েছি গন্ডুর কাছে থেকে। আমার নিকটাকেই কপি করে পেস্ট করে দিয়েছিলো। প্রথম পূর্নাঙ্গ কমেন্ট পাই ব্লগার উন্মনা রহমানের কাছ থেকে। দুইজনের কেউ-ই এখন আর ব্লগে নিয়মিত নয়। নতুন ব্লগাররা হয়ত চিনবেনও না।

ভাল লাগত অচিনদা (অচেনা বাঙ্গালী) আর মরিটরদার ফানি ফানি পোস্ট আর কমেন্ট!
বিহংদা আর নাদান ভাইয়ের লেখাও খুব মিস করি। এই চারজনের মধ্যে অচুদা ছাড়া বাকী তিনজন ব্লগে এখন খুবই অনিয়মিত। দেখা যায় না বল্লেই চলে। অচিনদাও অনেকদিন গ্যাপের পর ইদানিং আবার নিয়মিত হতে শুরু করেছেন।


কতবতবকতকত নিকে যারা যারা কমেন্ট করেছেনঃ

গন্ডার, উন্মনাপু, রাশুদা, নারু, রামুদা (ধ্রুব নিকে), মুন্নে (তাজুল ইসলাম মুন্না) , স্বপ্নজয়, মানবী আপু, প্রিটী সোনিয়া (মোট ৪৫টি কমেন্ট), ফারহান দাউদ, অমিত আহমেদ, প্রিয়তি, মিরাজ, মানুদা (মানুষ), বায়েজিদ, ষড়যন্ত্রকারীদের যম, মেহরাব শাহরিয়ার, ইকরাম, হাসান, (কালপুরুষ ১১টা কমেন্ট), নিলা (৮৭টি কমেন্ট), ঝড়কন্যা, স্বাপ্নিক, মুহিব, বৃষ্টির ছায়া, রুবেল শাহ, শফিকুল, কৈলাশ, কাবিল কৈতর, ভাসমান, টংকেশ্বরী, কবির, প্রান চানাচুর, জোনাকি, অদিপ্ত, স্রোত, নয়ন, চিকনমিয়া (৯টি), খুশবু, ভাঙ্গা পেন্সিল, সন্ধ্যাবাতি, রোগায়া (রোডায়া), শর্মী, বিমাদা (বিষাক্ত মানুষ; প্রথম কমেন্ট-করছেন কি! পড়তে পারুম না এত্তবড় লেখা!), মাথামোটা, সাইফুর, শেষ বিকেলের মেয়ে (২৭ টি কমেন্ট), রন্টি চৌধুরী, হৃদয়ছায়া, পদ্মপুকুর, শফিকুল আলম ইমন, জেনারেল, মাহবুবা আখতার, অচুদা, মনিটরদা, চিটিপু, নাদুভাই (নাদান), মাশুক, জেবীন, ভোরের তারা, থার্ড আই, দুরন্ত, কলা, মুকুট, চিরসবুজ, মামুন বাংলা, নিরাবাধা (নিশীথ রাতের বাদল ধারা; আগের নিক ছিলো জাতীয় মেয়ে), ধূসরিত স্বপ্নগুলো, বিহংদা, জনারন্যে নিঃসঙ্গ পথিক, বর্তমান বাংলা, নীভাপু (নীভা নামের এই মেয়েটি স্বপরিবারে হল্যান্ড থাকে, বয়সে আমার চে ছোট, অথচ খুব শখ সে আমার মুখ থেকে আপু ডাক শোনার!), নেমুদা, স্বাক্ষর শতাব্দ, বালুকা বেলা, উধাও ভাবুক, (এইটা লুহিব আর লইথূর মতই একটা লুল, এখন দেখি না খুব একটা), নিবেদীতাপু, ভাঙ্গা চাদঁ, পুস্প, ঝুমী, আহমেদ মুজতাবা, (এই পুংটা ছেলেটাকে খুব মিস করি) টিটো, শারফু (শারফুদ্দীন), হাসিব ভাই, মাহবুব সুমন ভাই (একই স্টেটে থাকি আমরা, আগে ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতাম, সন্ধ্যাবাতির হয়ে আমার উপর গোয়েন্দাগিরির পর থেকে আর ফোন দিইনি কখনো), আরণ্যক যাযাবর, আরিফুর রহমান, বাবলি, এস শোভন, লুলুপাগলা, রাগিব ভাই, মইথুনান্দ, বহুরুপী মহাজন, শাব্বির আহমেদ, নাজিরুল হক, কিংকতব্যবিমূঢ় (খুব ভাল লিখত, এখন উধাও!),সাজিপু (সুলতানা শিরিন সাজি,রাকিব, ছন্নছাড়ার পেন্সিল, রেজওয়ানুল আহসান, প্রিয়তমা, মুকুলভাই, ফেলুদা, সবাক, পুসকি (উচ্চশিক্ষিত বাবা মার একমাত্র আদরের সন্তান কিন্তু অসম্ভব লক্ষী একটা মেয়ে) , ত্যাদর, কোবরেজ, মনচিলা (তানজিলা), সেলিম তাহের, কোবরা, ইর্য়কার, কাজ করে খাই, এ্যালন,উৎস, সুপ্তিক, দস্যু বনহুর, আকাশচুরি (এই পাবলিক ব্লগের একটা এ্যাসেট!) , কালবেলা, রিফাত হাসান, মেহেদী হাসান নাসিম, শওকত হোসেন মাসুম, বাপড়া, আরাশি বদ্দা, গিফার, ঈশিতা, মৃণাল, মেন্টাল, ঐক্যতান, ময়ূরাক্ষী, অক্ষর (আমার সবচে নিকটতম প্রতিবেশী), এস্কিমোদা, মাহমুদ রহমান, গুলাবি (তামিম ইরফান), পুতুল, আলম ভাই,(জিহবা, আসন এই সব বিষয়ে মহা এক্সপার্ট ছিলো আর মডুরা ঘুমিয়ে গেলে ভোর রাতে এই সব পোস্ট ছাড়ত!), আজহার ফরহাদ, কে এস আমিন, বাংলা ভাষী, নিবিড় অভ্র, ঝড়ো হাওয়া, অদিতি, হনুলুলু (তাবদা খাইয়ে দেবার মত কবিতা লিখতে পারে এই ছেলেটা, কিন্তু ব্লগে কালে ভদ্রে আসেন এখন), অগাণিতিক (মাঝখানে একবার পোস্ট দিয়ে হুলস্তুল বাধিয়েঁ এখন লাপাত্তা!), যূথীঁ, এ্যামাটার (রাশুদার ছবি যে প্রথম ব্লগে দিয়েছিলো তার বিনা পারমিশেনে), তুষার, আারিজ আফসার খান, রাতুল, রিয়াজ শাহেদ ভাই, ইরতেজা, ব্লুজ, পজিটিভ, নীল ঢেউসহ আরো অনেকে।

এ সমস্ত ব্লগাররা ছাড়াও নতুন যারা কমেন্ট করেছেন প্রলয় হাসান নিকেঃ

শ্রাবনী, সুনীল সমুদ্র, ঐক্যতান, রনদীপম বসু, প্রচেত্য, তারার হাসি আপু, কৈলাশ, উত্তরাধিকার, অবকাশ, আরিফ থেকে আনা, বোঘদাদি হাকিম, মিতু, সৈয়দ আমির সাব, দুঃখ বিলাস, হুদা, রেটিং, ভাইরাস, বিবো (বির্বতনবাদী), নিঃসঙ্গ, নিহন, মেঘা (মেঘাচ্ছন্ন), শিরোনামহীন (আমার খুব লক্ষী টাইপ একটা ছোট আপু), অনন্ত দিগন্ত, বৃস্টি ভেজা সকাল, নুরূল ফকির, কাকঁন, কাকশংখচিল, মিয়াভাই, অরন্য আনাম, সত্যান্বেষী, কখনও মানক কখনও দানব,
চাংকু, চ্যাট রিজবী, রুপক (ফাটাফাটি টেকি একটি ছেলে), নাফিস ইফতেখার (ব্লগের উঠতি সেলিব্রেটি!), তানজু রহমান, বুলবুল আহমেদ পান্না, জেরী, রাতের বৃস্টির শব্দ, নিরক্ষর, নিবিড়, অপসরাপু,আশরাফ মাহমুদ, বকলম, আখসানুল, ইউনুস খান, শিবলি, ড্রাকুলা, রুবেল শাহ, পীর সাহেব, আমিই রুপক, বরুনা ও প্রতিফলন (সূর্যপুত্র ও চাদঁ কন্যা, কবিতা দিয়ে এদের জবাব-পাল্টা জবাব দেয়ার খেলাটা রিয়েলি ব্রিলিয়ান্ট!), আলোর অভিলাসী, পারভেজ, কাঙ্গাল মামা, শেখ রহিম, নুশেরাপু, টিয়া, কে এম আরিফুর ইসলাম, আকাশনীল, ভূবন, লাবনি, নির্ঝর নৈঃশব্দ, জাতে মাতাল, নূহান, নোক্সেনদার (নোক্সদা, মেলবোর্নিয়ান এই ব্লগারের সাথে প্রায় প্রতিদিনই কথা হয়), কমেন্টবাজ, জেমিনি, (লগোর জন্য কৃতজ্ঞ এই ব্লগারের কাছে), মাছরাঙ্গা, চানক্য, ঘটোৎকচ, নীলদ্বীপের স্বপ্নকন্যা, জানাপু, ফালতু মিয়া, সোহান বাশার, ভেংচুক, অদৃশ্য, অচন্দ্রচেতন, চিলে কোঠার সেপাই, মৃন্ময়ী, লুনা ফিরোজ, রুমানা বৈশাখী, নরকের পাপী, রুখসানা তাজিনাপু, মেহবুবা,নাঈম, সুহেল রাজ, নকীবুর বারী, সুশান্তদা (আমার ব্লগ.কমের এডমিন), নষ্ট মাথার দুষ্টু বালিকা, একাকী একজন, অরন্যচারী, কাকভুষুন্ডী, সাইফুর আকবার খান, সারিকা, তাসনিম,শিবলী, মফিজুল কে, আশফাক সজন, জেনারিলিসামো, আরিফুল হোসেন তুহিন, মেঘে ঢাকা তারা, ওয়ার হিরো, ফেরারী পাখি আপু (আমার অন্যতম একজন প্রিয় ব্লগার), নীল অরন্য, দিগন্ত রেখা, আন্দালীব, লীনা দিলরুবা, অকৃতকার্য, আলমগীর কুমকুম, মফিজুল হক, নারকেল জিনজিরা, নিঃসঙ্গ, নম্রতা,মুড়ির টিন, ব্রাইট,রিকো ক-খ-গ ,ফালু, গোলাপী, মনির হাসান, ...অসমাপ্তসহ আরো অনেকে।

এরা ছাড়াও নতুন যারা "একজন ব্লগার" নিকে কমেন্ট করেছেনঃ

বিডি আইডল, এরশাদ বাদশাহ, পলাশ রহমান, পথিক মানিক, দুষ্টু রোমান্টিক (মালয়শিয়া অধ্যয়নরত আমার আপন ছোটখালার আপন দেবর), সম্রাজ্ঞী, মাজুল হাসান, পলাশমিয়া, অদ্ভুত আধারঁ এক, বিটলা, অর্নগল, লংকার রাজা, মনকষা, ঝড়োহাওয়া, গংগারাম, আবুসালেহ, টক্স, দ্রগবা, তৌফিক বিষাদ, নুর হাসান মোঃ তানভীর, কর্মী, বুমবুম, প্রান্ত জাকির, মিয়া ভাই সিলটি, আশিকুর রহমান, আসিফ, শব্দ, আশাবাদী, নামহীন মানব, রাইডার, রক্তাক্ত যোদ্ধা, দূরের পাখি,পাগল রাজা, সুহেল রাজা, হাসানুল, রানাম ফুলমন্টি, জরিনা, আনমোনা, কোপা শামসু, বইদেশী, নাফে মোঃএনাম, সিহাব চৌধুরী, জামাল iiuc, লেকাজোকা শামীম, এম্নিতেই, লাল পিপড়াঁ, উদাসী স্বপ্ন, k-79cr345, মোঃ তারিক মাহমুদ, কাপালিক, কাল্পনিক, দুস্টুছেলে, তুর্য্য, নতুন, হংস মিথুন,স্কিস স্ট্রিং, ঘাসফুল, শামীম দ্য রক, প্রান্ত জাকির, আব্দুল্লাহ বিন মাহবুব, আহসান হাবিব শিমুল, কে আমি, লিপিকার, বদরুল খান, প্রশান্ত শিমুল, গরীব মানুষ, সিটিজিবি
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪৫
১২৬টি মন্তব্য ১৩৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×