
সেক্রিফাইস। এল্টনের এই গান অনেকদিন পর শুনছি। অফিসে বসে থাকা ছাড়া এখন তেমন কোনো ভারী কাজ নাই। ঘুমে আলুথালু অবস্থা। মাথার চুল ছড়িয়ে আছে এদিক সেদিক। বেসামাল হয়ে আছি, সব দিক থেকে।
হঠাৎ কেনো জানি বুকের ভেতরটা হুহু করে উঠছে বারবার। মনটা চলে যাচ্ছে সেই সুদুর অতীতের জলজবেলায়। যান্ত্রিক নগরের যান্ত্রিক ঠান্ডায় বসে সুভাস পাচ্ছি কোনো শেওলা জমানো পুকুর জলের। ডুব সাতার দেয়া সেই-সব দুপুর বেলা। ধান ক্ষেতের আল ধরে ছুটে চলে যাওয়া বিকেল বেলা… তারপর; এইতো সেদিনের বোটানিক্যাল গার্ডেন। আমি একমনে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে দেখছিলাম অসম্ভব রকমের ‘একা’ মানবীর দিকে। প্রচন্ড ঠান্ডায় তার জড়োসড়ো অবস্থা ওকে অসম্ভবরকম কোমল বলে ভ্রম হচ্ছিল। কিন্তু সে মানবী কোমল না। প্রচন্ডরকম একরোখা। সহজে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। কখনোই বাঁকতে জানে না। কখনোই না।
‘রং’ কে মন পড়ছে!
কখনোই নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় আমার হবে না। কখনোই না। অভিশাপগুলোর ক্ষুদ্র মানবিক গুন নেই। তারা খুব সহজেই মন খারাপ করে দিয়ে চলে যায়। দীর্ঘশ্বাসের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসা কিছু টুকরো সুখস্মৃতি বুকের ভেতর আরো কিছুদূর হাঁটার ইচ্ছে ভরে দেয়। আমি মরার আগে আন্তত একশ’টা মাইল হেঁটে পার করতে চাই।
এক…শ মাইল হাঁটা কবে শেষ হবে?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



