পাঁচ হাত দূরেই লাশটা পড়ে আছে। মাথাটা থ্যাতলানো। গায়ের জামা ছেঁড়া-খোড়া। তিনজন ছেলে পাশে দাঁড়িয়ে।
- এখন? একজন জানতে চাইল ফাঁকা গলায়। হাতে সিগারেট।
- এখন আর কি? চল, ভাগি।
- কেউ যদি বুঝে ফেলে?
- গাধার মতন কথা বলিস না। বুঝবে কি করে? মড়া কি কথা বলে?
তা ঠিক! বেঁচে থাকতে মেয়েটা অনেক কথা বলতো বটে। এমনকি গলার রগটা কেটে দেওয়া অব্দিও কথা বলার চেষ্টা করেছে সে। কিন্তু তাতে কি? মড়া কি কথা বলতে পারে?
- সত্যিই মরেছে তো? চিনে ফেলেছিল কিন্তু তোকে। না মরলে খুব বিপদ।
- নাহ! মরেছে। রক্তাক্ত নাকটার পাশে আঙ্গুল ঘুরিয়ে শ্বাসের কোন উপস্থিতি পেল না কেউ।
- চল তাহলে।
চলে গেল ওরা। রাস্তার এককোনে একা পড়ে রইল লাশটা। না, না। ঠিক একলা নয়। একটা কুকুরও আছে ওখানে। এতক্ষণ ঠিক বুঝতে পারছিল না সে। মানুষটা কি সত্যিই মরেছে? এবার চারপাশ দেখেশুনে এগোলো কুকুরটা। খিদে মেটনোর দ্বিতীয় পালা শুরু হল মেয়েটাকে দিয়ে। তবে এবার আর চিত্কার করতে পারেনি মেয়েটা। বাঁধাও দিতে পরেনি। মেয়েটা নির্ঘ্যাত্ মরে গেছে। জ্যান্ত মানুষ হলে কুকুর মুখ দিত না!