ডাক্তারের নাম আর মনে নাই মেয়েটির,
মনে আছে তার ফর্সা হাত - সোনার ঘড়ি।
ডাক্তারের হাত যখন তার স্তনে চাপ দিচ্ছিল
তখন সোনার ঘড়ির বেল্ট বুকে লাগছিল
শাদা চামড়া লাল হয়ে ফোসকা পড়ছিল।
মেয়েটাকে ইনজেকশন দেওয়া হয়ে ছিল
অবশ হওয়ার- কিন্তু হয় নাই!
কিছু মেয়ে জন্ম থেকেই অবশ -
তাই এদের অবশ করা কঠিন
ভাবছিল ডাক্তার, না হলে কীভাবে টু শব্দ করে?
চার হাত-পা বাঁধা, ক্যান্সারের রোগী!
আজ বাদে কাল এমনিতে মারা যাবে।
তাই বলে ডাক্তার? আরে ডাক্তারের দোষ দিচ্ছেন কেনো?
ক্যান্সারের রোগী হয়ে এত রূপ নিয়ে জন্মাতে কে বলে?
আপনি হলে এমন সুযোগ পেলে কী করতেন?
আচ্ছা ধরে নিলাম আপনি ভালো মানুষ তাই ছেড়ে দিতেন
তাই বলে কী সবাই?
আপনি কী পুরুষের গ্রহে জন্ম নিয়েছেন নাকি অন্য কোথাও?
ডাক্তারের মত সচেতন মানুষ জেনেশুনে এমন একটা রোগীর সাথে
এমন কাজ করছে এই তো অনেককিছু! কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
তাও আবার একলা একরুমে কেউ দেখছে না,
অবশ্য যে তাকে এই রোগ দিয়ে এই হাসপাতালে পাঠিয়েছে সেছাড়া।
সে তো সবকিছুই দেখে, তাতে কার কী?
.
বাবা- মা এখন আর রাতে কাছে থাকে না
তারা রোগীকে ছেড়ে দিয়েছে।
কার উপর ছেড়ে দিয়েছে?
আরে রোগ হলে যাদের উপর আমরা ছেড়ে দেই,
এই যেমন ডাক্তার, ঈশ্বর, ভগবান ,
তাই ডাক্তার নিজের কাজ সেরে রোগীটাকে মেরে দিল?
এই দায় কী ডাক্তাররা নেবেন না?
কিযে বলেন মশাই, আমাদের দেশেতো অনেক কথা চালু আছে
যদিও ধরা পড়ছে না এই ডাক্তার
তবুও বলছি ধরা পড়লেই বা কি
এই দায় ডাক্তাররা কেনো নেবে?
কোনো ধর্ম বা কোনো দল কখনও নিয়েছে নাকি?
শুনেন নাই ধর্ষকের কোনো ধর্ম নাই দল নাই
কোনো জাত নাই, সে পশু, সে ধর্ষক।
আর কি লাগে দায় এড়িয়ে যেতে?
তার উপর আবার ক্যান্সারের রোগী,
সে মরলেই কি আর বাঁচলেই কি।
এখন ডাক্তারের নাম আর মনে নাই রোগীর।
সে একা কবরে শুয়ে-শুয়ে ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করছে
নতুন কবর খোঁড়ার শব্দ পেলেই ছুটে গিয়ে জিজ্ঞেস করছে-
যে মরেছে সে কী ডাক্তার ছিল?
ফর্সা হাত - সোনার ঘড়ি পড়তো?
মেয়েটা কি তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চায়?
পাশের কবরে শুয়ে আমি সেটাই ভাবছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮