বিশ্বাসীদের জন্য রমজান মাস বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন মাস । এ মাসটিকে কাজে লাগানো আল্লাহর নৈকট্যলাভের সবচেয়ে সহজ উপায় । ছোটবেলা থেকে রমজান মাস নিয়ে অতিরিক্ত কিছু ব্যাপার দেখে এসেছি । কখনো ভাবিনি কিছু । আজ কিছু কথা বলতে ইচ্ছে হলো ।
আমি মূলত সেহরী আর ইফতারের কথা বলবো । সেহরী আর ইফতার নিয়ে রমজান মাসে যে বৈচিত্রময় দক্ষযজ্ঞ চালানো হয়, সেটা না করলেই কি নয় ? সাধারনত একদিনে তিনবেলা খায় মানুষ । সকাল - দুপুর - রাত । সকালের স্বাভাবিক খাবার হলো, রুটি-ভাজি কিম্বা খিচুরী । দুপুরে ভারী খাবার সাধ্য অনুযায়ী । রাতে মোটামুটি ।
সাধারণ সময়ের সকালের খাবারটাকে রোজার সময়ে ইফতারীতে ট্রান্সফার করে দেয়া উচিত । অর্থাৎ ইফতারিতে রুটি-ভাজি বা খিচুরী..সাথে বড়জোর শরবত জাতীয় কিছু থাকতে পারে । এসময়ে অল্প খেলে রাতে ভালোমত তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া যাবে । দুপুরের খাবারটাকে রোজার সময়ের ইফতার পরবর্তী রাতের খাবারে পরিনত করা উচিত । আর রাতের খাবারকে সেহরীতে । জীবনটাকে এভাবে সহজ করে নিলে অসুবিধা কোথায় ?
পেয়াজু-বেগুনি-ছোলা-মুড়ি- আরো একশ রকমের তেলেভাজা খাদ্যদ্রব্য - একশ রকম ফল - একশ রকম জুশ.. এগুলো ছাড়া রোজার মাসটা পার করা কি খুব অসম্ভব ? রোজার মাসের খাবারদাবারের ব্যবস্থা নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন না করেও এ মাসটা থেকে সবচেয়ে বেশি লাভ আদায় করে নেয়া কি যায়না ? এই মাসটা তো আনন্দ উৎসব আর খাদ্যের বৈচিত্রময়তা আবিষ্কারের জন্য দেয়া হয়নি । সেজন্য মাস শেষে ঈদ রয়েছে !