এডভেঞ্চার পুবের পাহাড় (সাকা হাফং শব্দের বাংলা অর্থ পুবের পাহাড়)আগের পর্ব
তাজিনডং থেকে নামতে অনেক সময় লেগে গেল। মুল কারন চুড়ায় ডাটা কালেকশানের জন্যে অনেক বেশী সময় কাটিয়ে দেয়া। তাজিনডং থেকে হাচড়ে পাচড়ে নেমে আগের আঁকা বাঁকা ট্রেইলটাতে উঠতে হলো। তাজিনডংকে পাশ কাটিয়ে কাপ্তা পাহাড়ের বুক চিরে পথটা চলে গেছে শিম্পলাম্পতি পাড়া, পরে বাঁকলাই হয়ে একদম বগা লেক পর্যন্ত।আমরা অবশ্য প্ল্যান করে রেখেছি আজকে শিম্পলাম্পতি পাড়া পর্যন্ত যাবো। বাকলাই যাবার কোন দরকার নেই। আজকে শিম্পলাম্পতি পাড়ায় রাত কাটিয়ে কালকে চলে যাব মদকের দিকে। ব্রিটিশ এক্সপ্লোরার জীন ফুলেন এই রুটটাই ফলো করেছিলেন।
কাপ্তা পাহড়ের উপরে প্রচন্ড ঝোপ জঙ্গল ভর্তি। মাটি কেমন যেন ঝুরঝুরো, আর প্রচুর পাথরে ভর্তি। বার বার হোচট খাচ্ছিলাম। কিন্তু তার পরেও খুব দ্রুতই আগালাম আমরা। আলমভাই আর লালসিয়াম দা অনেক পিছে পড়ে গিয়েছিলো। আমি গতি না কমিয়ে একটু পর পর “কু” দিচ্ছিলাম। এটা সুন্দরবনের বাওয়ালীদের স্টাইল। দল নিয়ে বনের ভেতর ঢুকলে যোগাযোগ রাখতে ‘কু”বা “টুকু” দেয়। অনেক্ষন পেছনে ‘টুকু’র উত্তর না পেয়ে জঙ্গলের মাঝে হাত পা ছড়িয়ে বসলাম। একমানুষ সমান উচু উচু লতানো ঝোপ। ওপাশে খাদ না কি দেখা যায়না। একচিলতে পায়ে চলা পথ। আর মাথার উপরে স্বচ্ছ চকচকে আকাশ। অদ্ভুত লাগছিলো। মনে হচ্ছে এই বিশাল অরন্য প্রকৃতিতে আর কেউ নেই। আমার জন্যে কেউ অপেক্ষা করবেনা। আমিও কারো জন্যে করবোনা।বিভুতীভুষন তার আরণ্যক উপন্যাসে অনুভুতীটাকে বর্ননা করেছেন। সাধারন ভক্ত পাঠক হিসেবে পরে রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম তখন, কিন্তু অনুভব করেছি অনেক পরে। অরন্য কাছে ডাকে। আর তার ডাক একবার অনুভব করলে নেশা হয়ে যায়।
তাজিনডং থেকে বেশ কিছুটা নেমে কাপ্তা পাহাড়। আরো অনেক নিচে অসম্ভব সুন্দর বিশাল চওড়া একটা ভ্যালিতে শিম্পলাম্পতি পাড়া।বমদের গ্রাম। আরো সামনে বেশ দূরে বাকলাই পাড়া। ওখানে একটা আর্মি ক্যাম্প আছে। সম্ভবত সাপ্তাহিক রসদ নিয়ে হেলিকপ্টার এসেছে। অনেক দূর থেকেও রোটরের গর্জন কানে আসছিলো।
কোয়েল খাঁ'র যময নাতীদের একজন। বাঙ্গালী দেখে অভ্যস্থ না। তাই আমাদের দেখেই একজন পালালো। অন্যজন ভয়ঙ্কর কিছু ভেবে ভ্যা করে কেঁদে দিল।
কারবারীর ঘর থেকে শিম্পলাম্পতি পাড়া।
শিম্পলাম্পতি পাড়ায় ঢোকার আগে খুবই চমতকার একটা ঝিরি আছে। গ্রামের লোকজন আয়োজন করে গোসল করছে। সাদা পাথরের গায়ে চওড়া বেসিনে টলটলে পানি। প্রচন্ড গরম ছিলো। আর আমরা আসলেই অনেক জোড়ে হেটেছি। ক্লান্তিতে শরীর ভেঙ্গে আসছিলো। পানিতে লাফিয়ে ঝাপাঝাপি করার ইচ্ছেটাকে দমন করতে খুব কষ্ট হলো। গ্রামের শিকারীদের কুকুরগুলো অবশ্য আমাদের স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারেনি। ঘেউ ঘেউ করে পাড়া মাথায় তুললো।
শিম্পলাম্পতি পাড়ার কারবারীর নাম কোয়েল খাঁ। নামের শেষে খাঁ থাকলেও জাতিতে বম। কিংবা আমরা নামটা ঠিকমতো বুঝতে পারি নি।গ্রামটা আস্তে আস্তে খাড়া উপরের দিকে উঠে গেছে। একদম নিচে ঝর্নাটা। আর কোয়েল খাঁএর বাড়িটা মাঝা মাঝি। আর দশটা পাহাড়ি বাড়ির মতো দু-কামড়ার বাঁশের ঘর। বসার ঘরে চেয়ার টেবিল আর একটা ১৪ইঞ্চি সাদা কালো টিভি। ছাদে সোলার প্যানেল বসানো।ঘরের মুখেই দানবীয় শিং ওয়ালা একটা দৈত্যের মতো গয়াল বাধা। জানালা দিয়ে ক্যামেরা তাগ করতেই একবার মুখ তুলে ফোঁশ করে উঠলো।আমরা ব্যাকপ্যাক খুলে রেখে ফ্রেশ হলাম। এক সুযোগে পাড়ার সামনের ঝোপে ঢুকে বাথরুমের কাজও সেরে নিলাম।কোয়ল খাঁ বেশ যত্নই করলো। কিন্তু তিনি আলোচনায় মত দিলেন শিম্পলাম্পতি পাড়ায় রাত কাটানোটা বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা। এখন মোটে সাড়ে তিনটা বাজে। আমরা যদি ৪টাতেও শুরু করি পাহাড়ের নিচেই থাইদুং পাড়া।ওখানে রাত কাটাতে পারি। তাহলে আমরা রাতের মধ্যেই আমরা একটা গ্রামের দুরত্ব এগিয়ে থাকবো। পরের দিন আরাম করে রেমাক্রি নদী ধরে মদকের দিকে চলে যাওয়া যাবে। ক্লান্তিতে শরীর ভেঙ্গে আসছিলো,এই রোদে আবার বের হবার কথা ভাবতেই মাথায় রক্ত উঠে যায়। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতেই বুঝলাম তার কথাটা অনেক বেশী যৌক্তিক। আর লালসিয়াম দা’ও তাঁকে সমর্থন দিল।আমরা উঠানে দাঁড়িয়ে দেখলাম তাজিনডং রেঞ্জ (কাপ্তা পাহাড়ও সম্ভবত তাজিনডং ব্লকেরই অংশ)হঠাতই ধপ করে প্রায় ১হাজার ফুটের মতো নেমে গেছে। নিচে গাঢ সবুজ অসম্ভব ঘন একটা অশুভ কালচে বন। কোয়েল খাঁ হাতের ইশারায় দেখালেন ঐ দিকে জঙ্গলের ভিতরে কোথাও গ্রামটা। এখান থেকে শুধু বড় বড় গাছের মাথা ছাড়া কিচ্ছু দেখা যায়না। গাছ গুলোও এখান থেকে লিলিপুটের মতো লাগে।ওনারা নিশ্চিত ভাবে বললেন গ্রামটা যাওয়া নাকি খুবই সহজ। এখন খালি নামবেনই। নামলেই বেশ চওড়া একটা পায়ে চলা পথ। চোখ বুজে হাঁটলেও হারাবেননা। সোজা ৪/৫ কিলো গেলেই থাইদুং পাড়া। স্যাটেলাইট ম্যাপে বা কোনধরনের ম্যাপেও ম্যাপ এক্সপার্ট আলম ভাই এই গ্রামের নাম শোনেননি। লালসিয়াম’দা সবচেয়ে ভালো খবর দিলেন। থাইদুং পাড়ার কারবারীর নাম শিপটন কারবারী,আমাদের লালসিয়ামদার দুলাভাই।
কাপ্তা পাহাড়ের জঙ্গলের মাঝে বসে জিপিএস এ রুট মার্কিং করছি। আর আগ্রহ ভরে আধুনিক সভ্যতার দান জিপিএস এর ব্যাবহার দেখছেন লালসিয়াম দা। ছবি আলম ভাই।
শেরকর পাড়ার ঘরগুলো। দূরে সাদা মেঘ জমে নদীর মতো, আরো দূরের পাহাড়ের সারীটা চিম্বুক রেঞ্জের থানছির অংশ।
শেরকর পাড়ার ঘরগুলো। দূরে সাদা মেঘ জমে নদীর মতো, আরো দূরের পাহাড়ের সারীটা চিম্বুক রেঞ্জের থানছির অংশ।
অগ্যতা আবার পিঠে ব্যাকপ্যাক, স্লিপিং ব্যাগের ভারী বোঝাটা বেঁধে ছেদে নিলাম। কোয়েল খাঁ’র দুই নাতী যমজ। দুজনেরই একই রকম মিষ্টি চেহারা, একই রকম কাপড় চোপড় পড়া। ওরা অ-পাহাড়ী চেহাড়া দেখতে অভ্যস্থ না। দূর থেকে ভীত চোখে তাকিয়ে ছিল।ওদের ভয় ভাঙ্গাতে একটু আদর করার চেষ্টা করতেই দুজনেই এক সাথে ভ্যা করে কেঁদে পাড়া মাথায় তুললো।শিম্পলাম্পতি পাড়া ক্রমান্বয়ে উপরে উঠে গেছে। সামনে গিয়ে রাস্তা দু ভাগ। বাঁদিকেরটা গেছে জঙ্গলের ভিতরে দিয়ে বাঁকলাই পাড়ার দিকে। আর ডানদিকেরটা হাজার ফুটি রিজের একদম কিনারা ঘেঁষে। এখানে বাঁশের একটা ব্যারাক জাতীয় ঘর চোখে পড়লো। শুনলাম প্রায় ২০বছর আগে এটা ছিল মিজো বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আড্ডা। একসময় শান্তিবাহিনীকে পাশের দেশ পুষতো। আর বাংলাদেশ তাদের সীমানার ভেতরে মিজো বা আরাকানী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্তীত্ব দেখেও উপেক্ষা করতো। পরে ভারত যখন শান্তিবাহিনীকে সমর্থন দেয়া বন্ধ করে দিল, বাংলাদেশ আর্মিও মিজো গেরীলাদের ঝেটিয়ে বিদায় করে দিল। কিন্তু মিজো গেরীলারা এখনো তাদের মুল অর্থের উৎস কিডন্যাপিং এর জন্যে বিশাল বন পাহাড়ের দুর্গম প্রায় অরক্ষিত সীমান্ত পেরীয়ে ঢুকে পড়ে দেশের ভিতরে। ২০০৮এর অক্টোবরে রোয়াংছড়ির সিপ্পি পর্বত অভিযানে রনীং পাড়ায় পল বম এর বাসায় আমরা ৩দিন ছিলাম। নভেম্বরে মিজো গেরীলারা পল বম, মীনক্ষুপ বম এবং এক তঞ্চংগ্যা নেতা সহ ৪ আদিবাসীকে কিডন্যাপ করে র্যানসামের লোভে, আমরা যেই ঘরটায় ছিলাম সেই ঘর থেকেই। ব্যাক্তিগত সুত্রে খবর পেয়েছিলাম মিজোরা দুর্গম সিপ্পির জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল। কিন্তু সপ্তাহ খানেক পড়েই আর্মির সাথে গুলি বিনিময়ে প্রচুর অটোম্যা্টিক আর গোলাবারুদ সহ গেরীলাদের দলটা ধরা পড়ে। বেশ ক-জন ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বাংলাদেশ আর্মির গুলিতে মারা যায়। পত্রিকাতে মফস্বলের সংবাদ পাতায় ছোট করে খবরটা এসেছিল।
আমরা নামা শুরু করলাম। পাইক্ষ্যং পাড়া ঢাল, সিপ্পি আরসুয়াং ঢাল কিংবা থানছির চ্যামা খালের ঢাল, অনেক দির্ঘ বিরক্তিকর ঢাল দেখেছি, এটা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে কুতসিত পাহাড়ী ঢাল। একদম খাড়া প্রায় ৭০-৭৫ ডিগ্রি খাদ। ৮০০থেকে ১০০০ফুট একটানা নামছি। আশপাশের গাছগুলো কোনরকমে পাহাড়ী মাটি আঁকড়ে ধরে আছে। খুব সাবধানে পা টিপে টিপে খাড়া দেয়াল বেয়ে টিকটিকির মতো করে নামা। ঘন্টার পর ঘন্টা একটানা নামতে নামতে বিরক্তির চরমে পৌছে গেলাম। মাঝে আমার আর আলম ভাই দুজনেই অল্প বিস্তর আছাড় খেয়েছি। নামার সময়ই ভেবেছিলাম একটু আছাড় খেলেই পপাত ধরনীতল। কিন্তু কিভাবে কিভাবে জানি লতাপাতা আঁকড়ে বেঁচে গেছি। কোয়েল খাঁ বলছিলেন খাড়া নেমে ঘন্টাখানেক সমতলে হাটলেই থাইদুং পাড়ায় পৌছে যাবো। কিন্তু প্রায় আড়াই তিনঘন্টা ধরে টানা নামছি, ঢাল আর শেষ হয়না। সুর্যাস্তের আগেই থাইদুন পাড়ায় পৌছানোর কথা। সে জায়গায় ঢালের মাঝা মাঝি আসতেই অন্ধকার হয়ে গেল। হেডল্যাম্পের আলোয় পা কোথায় পড়ছে দেখে এগুতে প্রচুর সময় লেগে গেল। বনের মাঝে অগুনিত জোনাকির দল জ্বলজ্বল করছে।
আমরা নেমে সমতলে পৌছাতে পৌছাতে প্রায় সাতটা বেজে গেল। কৃষ্ণপক্ষের রাত জমাট অন্ধকার হয়ে আসছে চারিদিকে। একদম মাথার উপরে অনেক অনেক দূরে আকাশের তারাদের পাশে শিম্পলাম্পতি পাড়ার গ্রামের আলো জ্বলছে তারাদের সাথে পাল্লা দিয়েই।
নিপাট -নিষ্পাপ-পবিত্র। ছবিটা আমার নিজের এত ভালো লাগছে, আগে একবার দিছি, তারপরেও আবার দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না। শিম্পপ্লাম্পতি পাড়া।
এসো ম্রো/মুরং শিখি। সৌজন্যেঃ কৈননীয়া ট্রাইবাল চিলড্রেনস এডুকেশান প্রোগ্রাম।
আলম ভাইয়ের জিপিএসও পাল্লা দিয়ে গেল বন্ধ হয়ে। প্রায় দু ঘন্টা হাঁটছি, থাইদুং পাড়ার নামগন্ধও নেই। পথ ভুল করে ক্লান্তিতে বার বার শুয়ে পড়ছিলাম ঘাসের উপরে। কোথায় শুয়েছি তাও দেখার উপায় নেই। একদম আশা ছেড়ে দেবার আগের মুহুর্তে থাইদুং পাড়ার ঘেয়ো কুকুরেরা স্বাগত জানালো। অন্ধকার কিচ্ছু দেখার উপায় নেই। যা বুঝলাম প্রায় সমতল পাড়াটা লম্বাটে। পথের বাঁ দিকে মস্ত একটা কাঠের ঘর, গীর্জা কিংবা স্কুল ঘর হবে। বার্মার ধবধবে সাদা কয়েকটা শুকর চোখে পড়লো। আমাদের হাঁক ডাকে কয়েকজন বেড়িয়ে এল। এদের বাংলা জ্ঞান খুবই দুর্বল। হাত পা ইশারা ইঙ্গিতে বাংলা মিশিয়ে বুঝালাম আমরা অতিথী মুসাফির। রাতের জন্যে আশ্রয় চাই। প্রাথমিক আরষ্টতা কেটে যাবার পরে খুবই আন্তরিক ভাবে গ্রহন করলেন।
গ্রামের কারবারী আর সবচেয়ে অবস্থাপন্নলোক শিপটন কারবারী। তার ঘরেই আশ্রয় নিলাম। আমার গায়ে তখন বেশ জ্বর। ক্লান্তিতে নড়ারও এনার্জি নেই। কাঠের ঘরের মেঝেতেই ব্যাকপ্যাকে মাথা রেখে শুয়ে পড়লাম। প্রচন্ড শীত আসছিলো, জ্বরে আসছে গা কাঁপিয়ে।গ্রামের প্রায় আদ্ধেক লোকই এসে জড়ো হয়েছে শিপটন’দায়ের বাড়ীতে। মনে হলো যেন অন্যগ্রহ থেকে আসা এলিয়েনদের চাক্ষুষ করতে চায় সবাই। এরা প্রায় কেউই বাংলা বলতে জানেনা। ধিরে ধিরে বললে বোঝে কিন্তু বলতে একদমই পারেনা। ভাঙ্গা ভাঙ্গা যা বলতে পারে তিনি শিপটন’দা। প্রকান্ড একটা কালো বেড়াল কোলে নিয়ে উনি গল্প করতে এলেন। জানলাম গ্রামটা প্রায় নতুন, মোটে ২৫ বছর আগে শিম্পলাম্পতি পাড়ার কয়েকটি বম পরিবার পাহাড়ের নিচে নেমে এসে এই গ্রামটা বানায়। জানলাম আমরাই প্রথম বাইরের লোক এই গ্রামে রাত কাটাচ্ছি। তবে ব্রিটিশ এক্সপ্লোরার জিঞ্জে ফুলেন প্রথম অভিযানের সময় এখানে কিছুক্ষন রেস্ট করেছিলেন। সবার সাথে অনেক ছবি তুলেছেন।
আমি জ্বরে কাতর হয়ে পড়ে থাকায় রান্নার দায়িত্ব পড়লো আলম ভাইয়ের উপর। কোনরকমে মুখে কিছু গুজে দিয়েই স্লিপিং ব্যাগে ঘুমে অচেতন হয়ে পড়লাম।
এটা অবশ্য রেমাক্রি'তে তোলা।
এঞ্জেল অফ রেমাক্রি।
থাইদুং পাড়া গ্রামের কারবারী শিপটন বমের সুখী ফ্যামিলি।
গোধুলী বেলায় শিম্পলাম্পতি পাড়া থেকে নামার আগ মুহুর্তে। বাংলাদেশ আর বার্মা সীমান্ত। রেমাক্রি-মদক।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


