somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিয়ানমার আর রোহিঙ্গাদের কথা

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সম্রাট বাহাদুর শাহ্‌
১৮৫৮ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ্‌ জাফরকে প্রথমে দিল্লী থেকে কোলকাতায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাঁকে জাহাজে করে রেঙ্গুনে নির্বাসনে পাঠানো হয়। ১৮৬২ সালের ৭ নভেম্বর তিনি রেঙ্গুনে মৃত্যুবরন করেন (শ্রী পারাবাত, ১৩৭১ বাংলা)। সম্রাট বাহাদুর শাহ্‌ যখন দিল্লী থেকে রেঙ্গুন আসেন তখন তাঁর সাথে অল্প কয়েকজন সভাসদ এবং পরিবারের সদস্যরাই শুধুমাত্র এসেছিলেন। তেমনি রাজা থিবেউ যখন মান্দালে থেকে ভারতে নির্বাসিত হয় তাঁর সাথে ও অল্প কজন সদস্য স্বেচ্ছায় গিয়েছিল। ক্ষমতায় থাকলে চারিদিকে অনেক সভাসদ সভাকে ঘিরে রাখে, একমাত্র ক্ষমতা থেকে সরে গেলেই বোঝা যায় প্রকৃত অনুসারী কারা। এটা নির্মম সত্য, যা মানতে কষ্ট হয়। এই ঘটনার পর ভারতে আর কখনো মুঘল শাসন আসবে না ঠিক তেমনি, ১৮৫২ সালে দ্বিতীয় ইঙ্গ -বর্মী যুদ্ধের পর রেঙ্গুন সহ বার্মার নিম্নাঞ্চল এবং পুরো উপকূলীয় এলাকা ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। এরপর পুরো বার্মা দখল করতে ব্রিটিশদের আরও একটা যুদ্ধ করতে হয়। ১৮৮৬ সাল, বার্মার রাজার সাথে পর পর তিনটা যুদ্ধের শেষে পুরো বার্মা ব্রিটিশদের অধীনে চলে আসে।


মান্দালে রাজ প্রাসাদ
সেই সময় ব্রিটিশরা রেঙ্গুনকে ব্রিটিশ বার্মার রাজধানী বানিয়ে বার্মায় তাদের শাসন কাজ পরিচালনা করছে। তারা বার্মার শেষ রাজাকে যুদ্ধে হারিয়ে দিয়েছে। কোনবং বংশের বার্মার শেষ রাজা থি বেউ কে ২৯ নভেম্বর ১৮৮৫ সালে বার্মার মান্দালে থেকে ভারতে নির্বাসনে পাঠানো হয়। তখন তাঁর বয়স ছিল ২৮ বছর। পশ্চিম ভারতের কঙ্কান উপকুলের রত্নাগিরি শহরে তিনি আমৃত্যু নির্বাসিত জীবন যাপন করেন (থান্ট মিন্ট উ, ২০০৪)। বার্মার রাজতন্ত্রে চিরতরে যবনিকা পড়ে যায় এই ঘটনার মাধ্যমে। এর পর বার্মা আর কখনো আগের মত থাকবে না । শুরু হয়ে গেছে নতুন এক বার্মার অভ্যুদয়।
কি বিচিত্র মিল, বার্মার শেষ রাজা থিবেউ মিনকে ব্রিটিশরা ভারতে নির্বাসনে পাঠিয়ে বার্মার কোনবং রাজবংশের যবনিকা টেনে দেয়। ঠিক তেমনি, ১৭৫৭-৫৮ সালের বিদ্রোহ ভারতের সাড়ে তিনশ বছরের মোঘল শাসনের ইতি টেনে আনে। যবনিকা পড়ে মুসলিম শাসনের, দিল্লী ব্রিটিশদের পদানত হয়। বৃদ্ধ সম্রাট বাহাদুর শাহ্‌ ব্রিটিশদের কাছে তাঁকে মক্কায় পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন, তবে ব্রিটিশ শাসকরা তা প্রত্যাখ্যান করে। ভারতের শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ্‌ জাফর ব্রিটিশ রাজের বন্দী হিসেবে তার শেষ জীবন বার্মায় নির্বাসনে কাটাতে বাধ্য হয়েছিলেন।


সম্রাট বাহাদুর শাহ্‌ জাফরের মাজার, ইয়াঙ্গুন
এর পর এই দুই দেশেই ব্রিটিশরা তাদের নিরঙ্কুশ অধিকার নিয়ে জাঁকিয়ে বসে নির্বিবাদে শাসন ও শোষণ চালাতে থাকে। শুরু হয় উপনিবেশিক শাসন, ইংরেজ শাসিত ব্রিটিশ ভারত আর ব্রিটিশ বার্মা। ভারত আর বার্মার শাসন ব্যবস্থায় এক ধরনের পরিবর্তন শুরু হয় যাতে আর পেছনে ফেরার কোন উপায় থাকে না। ভারত থেকে মুসলিম শাসনের অবসান হয় আর বার্মা থেকে রাজতন্ত্র চিরতরে বিলুপ্ত হয়। ভারতে ব্রিটিশদের পর আর কোন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি এবং বার্মায় রাজতন্ত্র ও আর ফিরে আসেনি। এর পরের ইতিহাস গণতান্ত্রিক ভারতবর্ষ আর আধুনিক বার্মার ইতিহাস। অবশ্যই তা ব্রিটিশদের এই উপমহাদেশ আর বার্মা ছেড়ে চলে যাওয়ার পরের কথা।


বার্মার শেষ রাজা থিবেউ মিন
বার্মা সম্বন্ধে লিখতে গেলে এর রাজবংশ গুলোর কথা বাদ দেয়া যায় না। এই অঞ্চল কে সুসংহত করে পরিচালনা করেছিল এই রাজারা। বার্মার ইতিহাসে তিন টা প্রধান রাজবংশের শাসন উল্লেখ যোগ্য, এগুলো হল,পাগান রাজবংশ (১০৪৪-১৩২৫),টংগু রাজবংশ (১৪৮৬- ১৭৫২) এবং কোনবং রাজবংশ (১৭৫২-১৮৮৫) (সিকিন্স, ২০০৬)। রাজা আলুংপায়া (১৭৫২-১৭৬০) ছিল কোনবং রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। (সিকিন্স, ২০০৬)। ১ জানুয়ারী ১৮৮৬ সালে ব্রিটিশরা বার্মা দখল করে এবং বার্মা ৪ জানুয়ারি ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ৩০ মার্চ ২০১১ সাল থেকে বার্মার নতুন সংবিধান চালু হয়।
বর্তমানে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, স্টেট কাউন্সিলার অং শান সু কি, ভাইস প্রেসিডেন্ট- ১ মিন্ট সয়ে, ভাইস প্রেসিডেন্ট- ২ হেনরি ভন থিও এবং সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইন । বর্তমান বার্মায় ৬৮ শতাংশ বামার , ৯ শতাংশ শান, ৭ শতাংশ ক্যারেন , ৪ শতাংশ রাখাইন, ২ শতাংশ মন এবং ১০ শতাংশ অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর লোক বাস করে।


রাজধানী নে পি দ



যুক্তরাষ্ট্রের হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের গনহত্যা প্রতিরোধ সেন্টার, মার্চ ২০১৫ সালে বার্মায় গণহত্যা সংঘটনের ব্যাপারে পূর্ব সংকেত তাদের প্রকাশিত মাগাজিনে উল্লেখ করেছে। এই সংস্থার প্রতিনিধিরা ২০১৫ সালে বাস্তু চ্যুত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করে এই সংকেত জানায়, এই গুলো রোহিঙ্গা নেতা এবং বেঁচে যাওয়া মানুষের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছিল। সেগুলো হলঃ
- রোহিঙ্গা জনগণের উপর শারীরিক নির্যাতন, তাদের ঘরবাড়ী এবং ব্যবসার উপর আক্রমন
- রোহিঙ্গা দেরকে অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর মানুষদের থেকে আলাদা করে রাখা
- মানবিক সাহায্য এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে বাধা প্রদান
- বাস্তু চ্যুত রোহিঙ্গাদের শোচনীয় জীবন যাপনের ব্যবস্থা
- রোহিঙ্গা এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে অবাধ ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য
- চলাচলে/যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা
- নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেয়া
- মসজিদ ধ্বংস করা, রোহিঙ্গাদের দিয়ে মসজিদ মেরামত কিংবা জোর করে কাজ করানো এবং ধর্ম পালনে বাধা প্রদান
- চাঁদাবাজি এবং অবৈধ কর আরোপ
- ভুমি আত্মসাৎ
- দুই সন্তান পলিসি এবং কিছু কিছু এলাকায় বিয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা
- নিরাপত্তা বাহিনী কতৃক রোহিঙ্গাদের বাড়ীতে হানা দিয়ে তাদের জিনিসপত্র চেক করা
- যৌন নিপীড়ন, অবাধ গ্রেপ্তার এবং আটক
- আটককালীন হয়রানি এবং অত্যাচার
- আইনগত ও অন্যান্য দলিল দস্তাবেজ প্রত্যাহার করে নেয়া
- জীবন যাপন এবং ব্যবসার সুযোগ সুবিধায় বাধা প্রদান
- শিক্ষার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা
- ভোট দেয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা
- সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের খবর আদান প্রদানের উপর নিষেধাজ্ঞা
২৫ আগস্ট ২০১৭ র পর মিয়ানমার বহিঃবিশ্বের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানের ফলে রাখাইন প্রদেশের প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। তাদের নিজেদের বাসভূমিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন চালিয়ে তাদেরকে বাড়ী ঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করে এবং পরে তাদের ঘর বাড়ী ও গ্রামে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। সেই গৃহ হারা , স্বজন হারা , নির্যাতিত, ধর্ষিত, আহত মজলুম মানুষগুলো বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাদার অব হিউমিনিটি, তাদেরকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় দেন এবং তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য প্রথমে নিজস্ব সম্পদের সাহায্যে এবং পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন। প্রায় ১০ লাখের ও বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু, বাকী বেশির ভাগ বৃদ্ধ। সক্ষম যুবকদের অনেক কেই মিয়ানমার সামরিক বাহিনী সেদেশেই হত্যা করেছে।
২৯ আগস্ট ২০১৭ তে মিয়ানমারের সৈন্যরা নৌপথে বুথিডং জেটিতে নামে। ২৫ আগস্টে ঘটা কথিত রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির আক্রমনের জবাব দিতে এই সৈন্য দের আগমন (ঢাকা ট্রিবিউন, ২৮ জুন , ২০১৮)। ১৭৮৪ সালে রাজা বোধাপায়ার সৈন্যরা যে রকম আরাকান আক্রমন করেছিল তেমনি মিয়ানমার সেনাবাহিনী এইবার তাদের জনগণের উপর আক্রমন করে, সে সময় বৌদ্ধ রাখাইন এবং রোহিঙ্গা সবাই এই আক্রমনের শিকার হয়েছিল আর এবার এই আক্রমনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানেরা। এই আক্রমনের নেতৃত্বে ছিলেন কমান্ডার মিয়ানমার ডিফেন্স সার্ভিস সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাই এবং কমান্ডার অব আর্মি ভাইস সিনিয়ার জেনারেল সো উইন। পরবর্তীতে ২৫ জুন ২০১৮ তে হেড অব ওয়েস্টার্ন কমান্ড ইন রাখাইন, মেজর জেনারেল মং মং সো কে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে মে ২০১৮ সালে ব্যুরো অব স্পেশাল অপারেশন নং ৩ এর , এই অপারেশন পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত আরেকজন জেনারেল লেঃ জেনারেল অং কিঅ জ পদত্যাগ করেন। কমান্ডার ৮ম সিকিউরিটি পুলিস ব্যাটালিয়নের জেনারেল থান্ট জিন ওও মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং পরিকল্পিত ভাবে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ী পোড়ানোর জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছে এবং কানাডা সরকার এর সাথে আরও চার জন জেনারেল পদ মর্যাদার কর্মকর্তার কানাডা ভ্রমনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে এবং তাদের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে ( ট্রিবিউন, ২৭ জুন , ২০১৮)।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪১
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×