somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অদ্ভুত আর্তনাদ...

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অর্ক খুউব বড় একটা ডিসিশন নিল । সে ঠিক করল সুইসাইড করবে।
ইফতি তাকে আর পছন্দ করে না । অর্কের পুরো পৃথিবীজুড়ে ইফতির বসবাস। ইফতি যখন তাকে আর চাইছেনা সে আর বেচে থেকে কি করবে?
সেদিন অর্ক যে কাজটা করেছিল , প্রথমেই ফরজ গোসলটা ঠিকঠাক করে নিল। মোটামুটি দেখে ভাল ড্রেস আপ (পরদিন ছবি পেপারে আসবে কিনা…) করে বেরিয়ে পড়ল মরবার উদ্দেশ্যে । গন্তব্য তার ছিল রেললাইন । রেললাইনে গিয়ে ইফতিকে একটা ফোন দিবে, তারপর সে ট্রেনে সামনে দাঁড়িয়ে সুইসাইড করবে । রাস্তা হেটে গিয়ে পৌছাল গন্তব্যে ।
কথামত সে ইফতিকে ফোন দিতে লাগল । কিন্তু ইফতি , অর্কের নাম্বার ব্লকলিস্টে রেখেছে । অর্ক কয়েকটা মেসেজ পাঠাল ইফতিকে । তাও ব্লকলিস্ট থেকে নাম্বারটা সরালোনা ইফতি ।
অর্ক আটবারের মতন ট্রাই করেছিল ট্রেনের সামনে ঝাপ দেবার কিন্তু তার ভয় তাকে বাধা দিচ্ছিল । বার বার আত্মহত্যা করলে জাহান্নামে যেতে হবে এই চিন্তা মাথায় আসতেছিল। সে ইফতিকে মেসেজ করল যে, সে পারেনাই সুইসাইড করতে। ইফতি কোন রিপ্লাই দিলনা । অর্ক ঠিক করল সে মারা গেছে ইফতির জন্য । সে আর ইফতিকে বিরক্ত করবেনা । তার ভালবাসা এখানেই শেষ । ইফতি যদি ফোন দেয় তাকে , সে কথাটা জানাবে তাকে । ইফতি আর ফোন দিলনা । অর্কও আর ফোন দিল না । অনেক কষ্ট করে নিজেকে ঠিক করে রাখল । কয়েকদিন সে নিজের সাথে নিজে অভিনয় করে বেচে থাকার ট্রাই করে যাচ্ছিল, একটাই আশা নিয়ে ছিল , ইফতি একবার ফোন দিয়ে তার সাথে কথা বলবে ।
কিন্তু ইফতি আর ফোন দেয়না । চারদিন পর অর্ক ইফতিকে মেসেজ দিল , সে একটু কথা বলতে চাই, তার সাথে । ইফতি রিপ্লাই দিলনা ।
অর্কের কষ্ট শেয়ার করার মত বা তার মনের কথা বোঝার মত কেউ ছিলনা । সে অনেক বেশি কষ্ট আর ডিপ্রেশন এর মধ্যে ছিল । শান্তিতে কাদতেও পারতনা। কাথার নিচে শুয়ে শুয়ে আস্তে আস্তে চোখ দিয়ে পানি ফেলত । অর্ক ইফতিকে আরেকটা মেসেজ পাঠাল সে বাচতে চাই । ইফতি ফোনই অফ করে দিল ।
অর্কের আর বুঝতে বাকি থাকলনা । ইফতি তাকে ভুলতে চাচ্ছে । কিন্তু অর্ক ভুলতে পারছেনা কোনভাবেই । আর পারবেও না কোনদিন ।
অর্ক বুঝতে পারল সে মারা গেলে ইফতির কিছু হবে না । সে অর্ককে ছাড়া থাকতে শিখে গেছে । সবকিছু সহ্য করা যায় , ভালবাসার মানুষের নেগ্লেক্ট করা সহ্য করা যায় না । অর্ক ঠিক করল সে সুইসাইড করবেই । তার ধর্মের কথা ভুলে যাবে । তার নিয়তিতে আত্মহত্যাই লেখা ছিল , এটাই সে মেনে নিবে । তার কষ্ট আর স্বপ্ন গুলো তার সাথেই দাফন হয়ে যাবে । ইফতির কিছুই হবে না। সে তো ভালই বাসেনি কখনও। শুধুমাত্র প্রয়োজনে ইউজ করে গেছে । অর্কের কাছে ইফতি, স্বার্থপর, মিথ্যাবাদী , ধোকাবাজ হয়েই থাকবে ।
অর্ক সবকিছু ভাবা বাদ দিয়ে দিল। আর সুইসাইড করার জন্য তৈরী হতে লাগল। সে ঠিক করল বারান্দার কাপড়ের দড়ি ফ্যানের সিলিং এ লাগিয়ে আত্মহত্যা করবে । আর যেহেতু ইফতি সবখান থেকে তাকে ব্লক করে রেখেছে , তাই সে তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট দিবে আর তার ক্লোজফ্রেন্ডকে একটা মেসেজ পাঠিয়ে দিবে তার গল্পটা তাকে পড়ার জন্য । আর তার শেষ একটা ইচ্ছার কথা তার ক্লোজফ্রেন্ডকে জানিয়ে দেবে ।
বাবা-মা-আর বোনের কথা মনে পড়ছে অর্কের । বোঝার চেষ্টা না করলেও ,তারা তাকে কিছুটা ভালবাসত । অর্ক চেষ্টা করেছিল, বেচে থাকার । ইফতি সুযোগই দিল না ...!!!
ইফতি খুউব বেশি ভাল আছে, অর্ককে ছাড়ার পর । অর্ককে তার লাইফে জায়গায় দিবেনা সে । যাই হোক, ইফতি ভাল থাকুক । অর্কের তাকে বিরক্ত করাটা উচিত হবে না । অর্কের আত্মহত্যা করাটাই বেটার । শুধু ইফতিকে কয়েকটা কথা বলার ছিল তার । হবেনা, আর । ভাল থেক ইফতি । অর্ককে মেরে ফেলার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । ভাল থেক । অনেকবেশিই ভাল থেক... !!

কিছু মানুষ শুধু কমপ্লিমেন্ট পাবার আশায় বদলে যায় । তার শেকড় পরিবর্তন করে ফেলে ।

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×