somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রিয় প্রেমিকারা আমার (তৃতীয় পর্ব)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি আদি জল থেকে প্রস্থান করে উঠে দাড়িয়েছি ডাঙ্গার বুকে
আকাশের মাঝেও আকাশ রেখে আমি হেটে গেছি তোমার দিকে
তোমার সাহস থাকে তো আমাকে অস্বীকার করো



বহুদিন পর নবগঙ্গায় নাইতে নেমেছে সে। নদীর জল অসম্ভব রকম স্বচ্ছ। নদীর নিচের বালু পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। জলের নিচে ডুব দিলে দু একটা মাছও দেখা যায়। এই সময় নদীটির পাড় উপচে পড়ে জল। পাড়ের দিকে অজানা সব গাছ জন্মেছে। গাছগুলো এতো সবুজ যে বেশ কিছু সময় তাকিয়ে থাকলে মনে হয় সামনে আর কোনো গাছ নেই, কোনো দৃশ্য নেই। অন্যকোনো ভূবনে চলে গিয়েছি। অনেকদিন পরে শরীর উদোম জলের মধ্যে নেমেই শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদের শীত লেগে যায়। এই রকম শীত শীত অনুভুতি নিয়ে সে সেন্টমার্টিনের সাগর সৈকতে নেমেছিলো। তার পাশে থাকা সাদিয়া অন্যনা মৌ তাকে বলেছিলো ‘তুমি আসলে শীতে কাহিল’। সেন্টামার্টিন থেকে ফেরার পর তার সাথে শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদের সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু কী অজানা শক্তির উপর ভর করে সিদ্দিক মৌকে চিঠি লিখতো। সেই ঢাউস সাইজের চিঠি আদৌ মৌ পড়েছে কিনা তা তার জানা নেই। কোনোরকম উত্তরের আশায় না থেকেই সে চিঠি লিখতো। এই গুনটি সে পেয়েছিলো তার সাত খালার মধ্যে সব থেকে বয়জোস্ট বড় খালা যিনি গত বছরে সফলভাবে একশ বছর পার করেছেন তার কাছ থেকে। এক শ পার হওয়া খালা তাকে বলতেন কোনো ফলে আশায় না থেকেই মানুষের বেচে থাকা উচিত। ফল লাভের আশা থেকেই মানুষ তার বিপত্তির শুরুটা করেছে।’ শতবর্ষ পরাজিত করে টিকে থাকা খালা যিনি তার জীবদর্শায় তার সামনে সকল সন্তানকে মরতে দেখেছেন। যেহেতু তার জীবনের ল্য বলে কিছু ছিলো না, সে কারণে ফল লাভের আর কোনো আশাও তিনি দেখেননি। এই ছিলো শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদের মায়ের ব্যাখ্যা।
সেই শক্তি অবধারিতভাবে শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ পেয়েছিলো তার খালার কাছ থেকে। যিনি এক সময় দূর্দাণ্ড প্রতাপশালী দারোগার বউ থেকে ক্রমশ আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে সাত বোনোর বাসায় মাস বছর ঘুরে ঘুরে থাকতেন। আর সেইসব বাড়ির বউদের অতি তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামানোর জন্য অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বিরক্তির বড় কারণ হিসেবে নিজের নাম লিখাতেন।
শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদের বেড়ে উঠার মধ্যে খালার প্রভাবকে কখনো পাত্তা দেয়নি বলে তার সে প্রচার করে বেড়াতো। যদিও খালা তার ঐশ্চেয্যের গল্প শোনাতে শোনাতে শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদকে ডুবিয়ে দিতেন এক রুপকথার জগতে। সেখানে খালা এক অঘোষিত রানী। যিনি গোসল করতে যান সাথে দাসী বাদি নিয়ে। যে ঘাটে তিনি গোসল করেন, সেই ঘাটে সারাদিন ম ম করে সুগন্ধী সাবান।
শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ যদিও সাদিয়া অন্যান্য মৌকে একাধিক গোপন নামে ডাকতো। শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ প্রথম দিকে তাকে ডাকতো মেঘবালিকা। কিন্তু এই নামটি রাজিব আহমেদ রাজু যিনি বিশ্ববিদ্যালয় শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদের সব থেকে কাছের বড় ভাইদের একজন, তিনি এই নামে একটা খুবই জনপ্রিয় গানও লিখেছিলেন; এই নামটি যত্রতত্র ব্যাবহারের ফলে আবেদনতো ছিলোই না বরং উল্টো সস্তা উপমায় পরিণত হবার কারণে অচিরেই তাকে নামটি বদলে ফেলতে হয়েছিলো। এরপর শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ তাকে জল বালিকা নামে অভিহীত করে। কেন জলবালিকা এই ব্যাখা সে দিয়েছিলাম মুঠোফোনের এক দীর্ঘ ুদে বার্তায়। তবে তাকে তৃতীয় নামে অভিহীত করতে হলো এই কারণে যে নামটি নিয়ে শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ মুগ্ধতা যেমন বাড়ে তেমনি একই সাথে তার ইচ্ছে পূরনে তা ছিলো সহজ বাধা। অবশেষে শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ তাকে নাম দেয় রাজকন্যা। কারণ নিজেকে সে লুকিয়ে রাখলেও সব সময় রাজপুত্রই ভাবতো। সেই রাজপুত্রতো আর বেদের মেয়ে জোসনার সাথে প্রেম করতে পারে না। তার জন্য রাজকন্যারই প্রয়োজন। কিন্তু এই প্রথম সাদিয়া অন্যানা মৌ তাকে দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে জানলো যে রাজকন্যা থেকেও তার বেশি মাত্রায় পছন্দ পোড়াকপালী। রাজকন্যা অথবা পোড়াকপালী শীরোনামে তাকে দীর্ঘ একটা পত্র লেখা হয়। তবে সে লেখা সে আদৌ পড়েছিলো কিনা তা শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ কোনোদিনই জানতে পারেনি।
রাজকন্যা অথবা পোড়াকপালী শীরোনামের দীর্ঘ পত্রটি পত্রিকায় প্রকাশের এক ধরণের অনিবার্যতা তৈরী হয়। সেই অনিবার্যতার প্রধান হেতু হলো সাদিয়া অন্যান্য মৌয়ের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিলো তার ই-মেইল। সেই ই-মেইল ঠিকানায়ও যখন পত্র পৌছানো বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো তখন চিঠি পৌছে দেয়ার একমাত্র মাধ্যম হিসেবে পত্রিকাকেই বেছে নিতে হলো তার।
সেই বিশাল ঢাউস সাইজের পত্র পড়ে সাদিয়া অন্যান্য মৌয়ের কোনো ভাবান্তর হয়েছিলো কিনা তা জানার সুযোগ ছিলো না তার । মাঝে মাঝে সে সাদিয়া অন্যান্য মৌয়ের টিএন্ডটি নম্বরে পবিত্র জুমার বন্ধের দিন ফোন করতো। বেছে বেছে এমন সময় শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ ফোন করতো যখন সাদিয়া অন্যান্য মৌয়ের বাবা মসজিদে নিজের সম্পদ বৃদ্ধির জন্য দু’ হাত এতো সময় ধরে রাখতো মাঝে মাঝে মসজিদের ইমামও বিরক্ত হতেন। আর তার মা মুখে পান গুজে রান্না ঘরে রাজ্যের খাদ্য পাক করতে এতো বেশিই ব্যস্ত থাকতেন যে মেয়ে সাদিয়া অন্যান্য মৌয়ের কাছে তার সাবেক কোনো প্রেমিকা ফোন করছে কিনা তা তদারকি করার কোনো ফুসরত ছিলো না। শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ ঠিক বেছে বেছে এই সময়টিতেই ফোন করতো। আর ঠিক জানতো যে ফোনের ওপারে সাদিয়া অন্যানা মৌ বসে আছে। ফোন ধরে তার অসম্ভব শুদ্ধ রাবিন্দ্রীক উচ্চারণে বলতো ’হ্যালো কে বলছেন প্লিজ’। এই শব্দটিই ঘুরে ফিরে কয়েকবার উচ্চারণ শেষে সে বলতো ‘কী আশ্চার্য!’। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ ফোনটি কেটে দিতো। শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদের কোনোদিন সাহস হয়নি সাদিয়া অন্যানা মৌয়ের সাথে কথা বলার। তবে তার আশ্চার্য এবং একই সাথে গোপন শিহরণ জেগেছে প্রতিবার যতোবারই সে ভেবেছে সাদিয়া অন্যান্য মৌ দীর্ঘ ত্রিশটি বছর পার করেও নামের আগে মিস শব্দটি অুর্ন রেখেছে। যতোবার ভেবেছে ততোবারই সে তার একটি প্রচ্ছন্ন সম্ভাবনার ইঙ্গিত খুজে পেয়েছে।
নবগঙ্গার স্নিগ্ধ জলে নামতে নামতে শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ সেন্ট মার্টিনের সেই রাতের কথা মনে পড়ে যায়। যে রাতে সাদিয়া অন্যানা মৌয়ের সাথে সে প্রবাল দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে নেমেছিলো। রাতের তারা যেনো সৈকতে নেমে এসেছে। সাদিয়া অন্যান্য মৌ যাকে সে রাজকন্যা নামে অভিহীত করেছিলো, পাতালা নীল জল রাতের জোসনা ভেঙ্গে জলে যেনো আগুন জলছিলো। সেই আগুন জলা জল হাতের স্বচ্ছ তালুতে তুলতে পারার কারণে সে কী আনন্দ। সেই অল্প একটু সময়ের জন্য শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ প্রথমবারের মত নিজেকে রাজপুত্তুর মনে করলো। তার সামনে মহাপৃথিবীর বিস্ময়। যে বিস্ময়ে জলের উপর আগুন। সেই আগুন তার স্বচ্ছ হাতে। আগুনে জলে গেছে হ্রুদয়, তবু আগুন আরো জলবার খেদ রয়ে যায় তার মনে। শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ তার মুখে সেই আগুন জলা জল মাখিয়ে দেয়। তারপর রাত কিশোরী থেকে যুবতী হতে থাকে। সমুদ্রের বুকের উপর থাকা শীত শেষ হয়ে আসা মেঘের বুক চিরে বেরিয়ে আসে তারারা। দু একটি তারা খসে পড়তে দেখে ঢাকায় মানুষ হওয়া সাদিয়া অন্যানা মৌয়ের বিস্ময়ের ঘোর কাটে না। সেই ঘোরের মধ্যে শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ বোতল থেকে ঢালতে থাকে বার্মিজ হুইস্কি। পেটের মধ্যে পড়তেই ঘোর আরো পেয়ে বসে। আর তখন শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ তাকে আরো দশ বছর পরে কোনো এক সন্ধ্যার বৃষ্টির সময় বিসমিল্লাহ খার ঠুমরি নিয়ে আলোচনায় মেতে উঠে। সাদিয়া অন্যান্য মৌ তার হাত চেপে ধরে। নেশায় তার অসম্ভব সুন্দর ঠোট ঝুলে পড়ে। যেনো মনে হয় ঠোট দিয়ে সে খুব নিবিড় করে শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদকে আহবান করছে। শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ সেই আহবান উপো করে সমুদ্রের গর্জনের দিকে তর্জনী উচিয়ে হুঙ্কার দিয়ে বলে, ‘আমি আদি জল থেকে প্রস্থান করে উঠে দাড়িছি ডাঙ্গার বুকে
আকাশের মাঝেও আকাশ রেখে আমি হেটে গেছি তোমার দিকে
তোমার সাহস থাকে তো আমাকে অস্বীকার করো’
সাদিয়া অন্যানা মৌ তার হঠাৎ গর্জে উঠা কবিতার কী বুঝলো কী বুঝলো তা ঠাওর করা গেলো না। তবে শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদের কাধের ওপর নিজের কাধ এলিয়ে দিয়ে বললো, ‘আমিও সমুদ্র কন্যা, আজন্ম ছিলাম তোমার সাথে।’
শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ গিয়েছিলো তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষ সফরে। শিক্ষা সফর নাম হলেও তা ছিলো মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ শিা জীবন শেষ করতে গিয়ে যে কান্তি তৈরী হয়েছিলো তা কাটানোর ট্যুর। সেই ট্যুরে তারা এক সাথে ৪৩ জন শিক্ষার্থী আর তিনজন শিক মিলে প্রথম দুদিন পাড়া ডিঙ্গানোর পরে দেশের সর্ব দক্ষিনের দ্বীপের দিকে রওনা দেয়। ইতিহাস বিভাগের শিকদের সাথে শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদের কোনোকালেই ঠিকমত বা বাংলা শব্দটি যদি আরো নির্দিষ্ট করে বলা যায় তাহলো জুতসই আলাপ জমে উঠতো না। কারণ তাদের মাথার মধ্যে ছিলো রদ্দিমারা ইতিহাসের ব্যাখ্যা। সেইরকম ব্যাখ্যা নিয়ে শুধু পুরাতন ইতিহাসবিদেরা শান্তিতে দিন গুজরান করতেন না, নতুন যারা সেখানে যোগ দিতেন তারাও তাই করতেন। সেই নতুন সময় যোগ দেয়া একজন নারী শিক তাদের ট্যুরে ছিলেন। যিনি সাম্রাজ্যবাদ শব্দটি ভেঙ্গে ভেঙ্গে উচ্চারণ করতেন আর লেনিনের ‘Imperialism, the Highest Stage of Capitalism’ গ্রন্থটির বাইরে এক লাইনও বলতে পারতেন না। তারা যখন শুভ লং ঝর্না দেখার জন্য কাপ্তাই হ্রুদ পার হচ্ছিলো তখন এই আলোচনা শুরু করেন সদ্য যোগ দেয়া তরুনি শিক। আলোচনায় কোনোভাবেই তার যোগ দেয়ার ইচ্ছে ছিলো না। তার চেয়ে বরং জলের তলে কীভাবে ডুবে গেলো উন্নায়নের নামে একটি জনপদ তা নিয়ে বেশি ব্যাথিত ছিলো শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ। মাঝে মাঝে জলের নিচ থেকে উকি মারা রাজবাড়ি তাকে আরো বেশি বিমর্ষ করে তুলেছিলো। কিন্তু সদ্য যোগ দেয়া তরুনি শিক্ষীকা তাকে দৃষ্টি কাড়তে বাধ্য হয়। কারণ অনার্গল এতো বেশি ভুল ভাল কথা বলে যাচ্ছিলো যা রিতিমত বেসুরো লাগছিলো।
শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদ এরপর টানা শুভ লং যাওয়ার এক ঘন্টা ২৭ মিনিটের মধ্যে বাদ বাকি সময়টা সদ্য যোগ দেয়া তরুনী শিকিাকে সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদের উপর দীর্ঘ কাস শেষ করে যখন তাকালো, তখন শুভ লং প্রায় এসে গেছে। সবুজ পাহাড় ঘেষা আর নিচে স্বচ্ছ জলের প্রবাহ ছাপিয়ে তার যা মাথা এলো তা হলো নৌকার পূর্ব উত্তর পাশে দাড়িয়ে থাকা সাদিয়া অন্যানাকে। সাদিয়া অন্যানার গালের উপর এসে পড়েছে রোদ। সেই রোদ উপো করে সে জলের দিকে তাকিয়ে আছে। যে জলের নিচে সমতলের মতাবান মানুষদের ঘরে আলো জালাবার জন্য তলিয়ে গেছে হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি। সেই প্রাচীন জলের নিচে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সাদিয়া অন্যানার মৌ যেনো ডুবে থাকা রাজপ্রাসাদের জানালায় বসে বসে নৌকায় যাওয়া যাত্রীদের উপহাস করছে। আর তখনই শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন মাহমুদের মনে হলো ‘Cultural Imperialism’ কালচার বা সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে অহেতুক আলাপে মেতে থাকার কারণে এক প্রাচীন রাজকন্যার রাজ্য হারানোর শোক সে মিস করেছে। যেখানে সে ইচ্ছে করলেই সেই রাজকন্যার পাশে দাড়িয়ে স্বগর্ভে গোষণা দিতে পারে ‘রাজ্যের মায়ার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে, আমিতো রয়েছি।’
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা শহর ইতিমধ্যে পচে গেছে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



স্থান: গুলিস্থান, ঢাকা।

ঢাকার মধ্যে গুলিস্থান কোন লেভেলের নোংড়া সেটার বিবরন আপনাদের দেয়া লাগবে না। সেটা আপনারা জানেন। যেখানে সেখানে প্রসাবের গন্ধ। কোথাও কোথাও গু/পায়খানার গন্ধ। ড্রেন থেকে আসছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×