আমাকে ক্লান্ত করে দিনলিপির পাতা,
দীর্ঘশ্বাসের ধূয়াশা হৃদপিন্ডে হামাগুড়ি দেয়,
ছুঁয়ে দেখা দুরত্বে আমি,আর মনিটরে মুখোমুখি অপরিচিত মৃত চোখ ।
এই সব ফালতু নির্জীব দুপুর,মেছোহাটায় দরাদরি;
ঘুম ভাঙলেই খবরের কাগজ,আঙুল আর দূ:স্বপ্নে মাখামাখি
ক্যামিকেলে বাচিঁয়ে রাখা তোড়া তোড়া বৃন্তহীন গোলাপের অশ্লীলতা,ফুটপাত জুড়ে ...
ক্রমাগত বড়ো হয়ে ওঠার গন্তব্যহীন যাত্রা;
আরো যতো ইতংবিতং,ক্রমান্বয়ে ভুল পাঠ।
গেরুয়া নয়,বরং বিষন্নতার ধূসর আচ্ছাদন
আমাকে মুড়ে রেখেছে আজীবন;
চৌকাঠ ডিঙোলেই অন্য পৃথিবী;
দীর্ঘশ্বাস বদলে নিয়ে অনায়াসে
পেয়ে যাবো দীর্ঘসন্যাস;
গুহাশ্রয়ী রক্তে বয়ে আনা আদিম বিষ্ময়
এক ঝাক প্রজাপতি আলতো ছুয়েঁ দিলে
হাত ভরে উঠবে ডানারঙ আল্পনায়।
তবু আর চৌকাঠ ডিঙানো হলো কই?
কই হলো পঞ্চমীর মেটে জোৎস্নায় ঘর ছাড়া?
কই হলো সব কিছু পাশে ঠেলে বলে ওঠা-দূর ছাই !
আমাকে আটকে রাখেনি জীবনের ধারা,
আমাকে আটকে রাখেনি নির্জীব চৌকাঠ;
আমাকে শুধু আটকে দিলি তুই ।
জীবনের চেয়ে বিশাল এই বাধা ডিঙিয়ে
কিভাবে আমি তবে আমাকে ছুঁই ?
--------------
১৭ অক্টোবর,২০০৭
নিকেতন,ঢাকা ।