সাকিবকে নিয়েই একান্ত ব্যাক্তিগত একটা কথা। তবে তার আগে দুইখান কথা
১) ১৯৫২ সালে আইনষ্টাইনকে ইসরাইল এর প্রেসিেডন্ট বানানোর প্রস্তাব দেওয়া হলো। তিনি ফিজিক্সের প্রতি ভালোবাসার টানে রাষ্ট্রপধান হওয়ার বাসনা সম্মানের সাথে ফেরত দিলেন।
২) তখন বৃটিশরা জ্ঞান,গরিমায় সমস্ত দুনিয়া দখলে নেমেছে। বিশাল এই অর্থ ভান্ডার সামলানো সহজ বিষয় না। সাথে কয়েন জাল হওয়ার ঘটনা বাড়তে থাকলো। "রয়েল মিন্ট" কয়েনের এই কাজটি বৃটিশ সরকারের হয়ে করে। প্রয়েজনের কারনেই বিজ্ঞানী নিউটন ৫৪ বছর বয়সে ১৬৯৬ সালে রয়েল মিন্টে কাজ শুরু করেন। কেউ কি জানতেন ৩০ টা বছর (আমৃত্যু) এই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞানী তার দেশের জন্য টাকশালে চাকরী করে কাটান?
আমাদের দেশ ক্রিকেট পাগল দেশ। এই অর্থে সাকিবই আমাদের আইনষ্টাইন, নিউটন। কিন্তু তার মেন্টালিটিতে কোথাও কি দেশ মাতৃকা আছে? দেশের প্রতি, দশের প্রতি ন্যুনতম নম্রতা বোধ, ভদ্রতা বোধ আছে?
দেশের সবচাইতে দামী গাড়ী সে কিনেছে এই অহংবোধেইতো ফাঁটে! দেশের সবচাইতে বেশী ভালোবাসাটা যে সে পেয়েছে তা তো কেয়ারই করেনা! আরে ভাই, চোর বাটপারওতো আজকাল দামী গাড়ীতে চড়ে। ভাই লোকেরা তো দুবাইয়ে এর চাইতেও দামী গাড়ীতে চড়ে। নিজেকে কোন সব লোকের সাথে তুলনা করতে ভালো লাগে তার! অহংকার পতনের মূল।
ভালোবাসা অতিরিক্ত থাকার রেজাল্টও কিন্তু অতিরিক্ত ভয়ংকর। কারন ভালোবাসা আর ঘিন্না কিন্তু মূদ্রার এপিঠ ওপিঠ। বাড়াবাড়ি করে মূদ্রা ওল্টাবে কি না তা সাকিবেরই বিষয়। জনগন দুইটাই দেখাতে উস্তাদ।