"শিশু-বুলি" বলতে একটা বিষয় আছে।
শিশু'রা যখন নতুন নতুন কথা শিখে, তখনের বিষয়। শিশু-বুলি'র দিক দিয়া, পৃথিবীর সমস্ত বাচ্চারই কিছু না কিছু নিজস্বতা থাকে। উদাহরণ দেই।
- ছোটবেলায় আমার দিকে কেউ তাকাইতে পারতো না। আমার দিকে তাকাইলেই আমি কান্নাকাটি কইরা দুনিয়া একাকার করে ফেলতাম। আর বলতে থাকতাম, "বপন দিছে"। বপন দিছে মানে হইলো, ধমক দিছে।
- প্রিয়'র মা তার এক খালাকে ডাকে ততমনি। এই নামটা সে শিশুকালে নিজেনিজে দিয়েছে।
-০-
এই শিশু-বুলি নিয়া একটা ঝামেলা হচ্ছে ঘরে।
প্রিয়'র নিজস্ব একটা শিশু-বুলি ডিকশেনারী আছে। নান্নি মানে সিএনজি। নান মানে নানু। প্রিয় তার মামা'র বাড়ীতে যখনই গেছে, সারা দিন নানু'র পিছনে ঘুরছে আর ডাকছে, নান নান নান। এই " নান" শব্দটার প্রতি প্রিয়'র নানু'র একটা মায়া পড়ে গেছে। সমস্যা হইলো, প্রিয় এখন একটু বড় হইছে। নিজে নিজেই শব্দের আগে, পরে আকার, ঈকার লাগায়। যেমন আমাকে ডাকে - বাবা, বাবা, বাপু, বাপু...। ঐদিন সে তার নানুকে নিজেনিজেই "নানি" ডাকা শুরু করছে।
এই "নানি" ডাকটা তার নানু কিছুতেই মেনে নিতে পারতেছে না। বারবার শিখায়ে দিচ্ছে
- প্রিয়, আমি হইলাম তোমার নান, না--ন। নান, ন---ন।
তারপর আবার প্রিয়কে জিজ্ঞাসা করে
- বলোতো আমি তোমার কী হই!
প্রিয় একটা দুষ্টু দুষ্টু হাসি দেয় আর বলে
- নানি, না--নি, নানি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




