পানকোড়ি আটকে আছে গাছে, ঘুড়ি উড়ানোর সূতায়। মর্নিং ওয়াকে যাওয়া মানুষজন ভীড় করে দেখছে। একজন রিক্সাওয়ালা তার রিক্সা রস্তার পাশে সাইড করে, একটা বাঁশ হাতে নিয়ে উঠে পড়লো গাছে। আমি মনে মনে বললাম, সাবাশ বাঙ্গালী। বাঁশের টানে সূতা ছিড়লো ঠিকই, সূতা সহ পাখীটা পড়ে গেলো নীচে। প্রাণের ভয়ে দৌড় দিয়ে লুকানোর চেষ্টা করলো। দর্শকদের মধ্যে একজন পাখীর সূতা খোলায় ব্যস্ত।
ভাবলাম, ভালো কাজের পুরস্কার থাকা উচিৎ। ৫০ টা টাকা রিক্সাওয়ালার হাতে দিলাম। আরেকজন দিলেন ১০ টাকা। রিক্সাওয়ালা বিরক্ত হয়ে বললো
- আপনাদের এইডা কোন বিবেক হইলো? এতক্ষণে ১০০ টেকা কামাইতে পারতাম।
ভীরের মধ্যে একজন টিপ্পনি কেটে বললো
- তুই কি পাখীটা খাওয়ার উদ্দেশ্যে গাছে উঠছিলি!
বয়ষ্ক এক ভদ্র মহিলা বললেন
- বিপদে পড়া জীবটারে তুমি বাঁচাইলা। তারে জবাই কইরা খাওয়ার জন্য?
পাখীটার সূতা খোলা শেষ। ছেড়ে দেওয়া হলো। ডানায় ব্যথা নিয়েও পাখীটা সুন্দর উড়ে উড়ে দিগন্তে মিশে গেলো। উপস্থিত সবাই এই দৃশ্য দেখেলাম মুগ্ধ হয়ে। শুধু রিক্সাওয়ালা মন খারাপ করে উল্টা দিকে হাটা দিলো।
(ছবি তুলতে গিয়ে মন সায় দিলো না, পাখীটার জন্য মায়া লাগলো। তাই নেট থেকে কপি করা ছবি দিলাম)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:২১