somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালোলাগার মানুষটি যখন ‘ভালো লাগেনা’ রোগটির কারন !!!

২২ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


খেয়াল করে দেখেছেন, কিছু মানুষ কিন্তু নির্দিধায় অনধিকার চর্চা করে যাচ্ছে আমাদের সাথে … শরীর, মন, মস্তিষ্কের অনেক খানি জায়গা জুড়ে নিয়ে বসে আছে ওরা । না তারা সেখান থেকে যায় … না অন্য কাউকে সেই জায়গাটার দখল নিতে দেয়। রাতের ট্রেনে চেপে বাড়ি ফিরছেন। জানলা দিয়ে অনমনে তাকিয়েই আছেন … হয়ত বাইরে অনেক অন্ধকার, কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। তবুও আপনি তাকিয়ে আছে… কিন্তু এই ত্রিমাত্রিক জগৎটা নিয়ে আপনার কোন মাথা ব্যাথা নেই। আপনার সর্বোচ্চ মনোযোগ ঐ দ্বিমাত্রিক ছবিটার দিকে যেটা আপনার অবচেতন মন আপনার মস্তিষ্কে একেই চলেছে। কিন্তু কি আশ্চর্য !!! এখানেও সেই মানুষটা ছাপান্নটা দাত বের করে হাসছে । আপনি একটু নড়ে চড়ে বসলেন … মন থেকে তাড়াতে চাইলেন অসভ্য মানুষটাকে। হয়ত এক্সাম হলে বসে আছে… খুব অল্প সময় বাকি, শেষ সেটটা লিখছেন। হঠাৎ খেয়াল করলেন আপনার ঠোটের কোনায় কিভাবে যেন এক চিলতে হাসি চলে এসেছে। নিজেকেই বকা দিয়ে বসলেন… ধুর, এটা কি ওর কথা মনে হবার মত সময়। বিছানায় গিয়েছেন হয়ত সোয়া বারোটাই, ঘুমোতে ঘুমোতে আপনার বেজে গেল একটা পঞ্চান্ন … কল্পনা যেন ফুরোতেই চায়না !!!

একটা অবুঝ শিশু হয়ে জন্মাবার পর আমরা যখন পরিবেশ থেকে শিখতে থাকি , আমাদের মস্তিষ্কে ক্ষুদ্র জায়গা জুড়ে নিউরনের কানেকশান একটা নিদিষ্ট অংশের জন্য ডেডিকেটেড হয়ে যায়। এবং ঐ ডেডিকেটেড অংশটুকু কেবলমাত্র ঐ নিদির্ষ্ট কাজটাই সম্পাদন করে। সায়েন্টিফিক্যালি নিয়েন না … আমার কেন জানি মনে হয় আমাদের শরীরের কোন এক খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ ফাংশান এক্সিকিউট করবার মত ঐ অসভ্য মানুষটাকে মস্তিষ্কে একটা ডেডিকেটেড জায়গা করে দিয়ে বসি। এরপর ক্ষুধা পেলে মস্তিষ্ক যেমন খাবারের কথা মনে করিয়ে দেয়, বিপদ আসলে আত্মরক্ষার কথা স্মরন করিয়ে দেয় ঠিক তেমনি একা সময়গুলোতে আমাদের মস্তিষ্ক ঐ অসভ্য মানুষটার কথা মনে করিয়ে দেয়।

আমাদের আশেপাশে দশটা পাচটা মানুষ যেমন আমরা একই না … ঠিক আমাদের চাওয়া পাওয়া গুলাও ভিন্ন, আমাদের ভালোবাসাটাও ভিন্ন… ভালোবাসার ধরনটাও ভিন্ন। কিছু মেয়ের কাছে বিকেলের জানালা খুলে ওপাশের বাড়ির ছেলেটার আনমনে গিটার টিউন করতে দেখাটাও ভালোবাসা। হয়ত কিছু ছেলের কাছে ভালোবাসার মানে হয় একটা মেয়েকে রোজ ওর টিউশানে যাবার পথে ফলো করা … আপনাকে আমাকে এটা এডমিট করতেই হবে যে এক-পাক্ষিক ভালোবাসা বলে কিছু একটা আছে। কখনো অপর মানুষটির ভালোবাসেনা, কখনো কখনো সে জানতেই পারেনা… আরেকটা সেটা বোকার মত জানাতেই পারেনা। স্বেচ্ছায় একাকিত্ত্ব বরন করে নেবার অনেক গুলা কারনের মধ্যে একটা বেশ উল্লেখযোগ্য একটা। সময় অসময় ঐ মানুষটিকে খেয়াল আসে … বৃষ্টি এলে মনে হয় ওকে যদি বৃষ্টিতে ভিজতে দেখতে পারতাম, কুয়াশা বাড়লে মনে হয় ইশ , ওকে যদি আমার চাদরটা দিয়ে জড়িয়ে দিতে পারতাম। কিছুই ভালোনা, না শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা না রিচার্ড মার্ক্সের গান। ধীরে ধীরে এই মানুষগুলোই স্বপ্রোনোদিতভাবে “ভালো লাগেনা” রোগিতে পরিনত হয় … তার পরবর্তী পর্যায়ে স্বঘোষিত “অসামাজিক”।

তবুও ‘ভালো লাগেনা’ রোগীগুলা এই অসভ্য মানুষগুলাকে ভুলতে চায় … ওরা বুঝে যে এই বিচ্ছিরি প্রতিবিম্বগুলা শুধু ক্ষতিই করে চলেছে। ভুলতে গিয়ে কেউ কেউ ঘরের ত্রিমাত্রিক কোনে নিজেকে গুটিয়ে ফেলে , কেউবা বিষাক্ত নিকোটিন অমৃতের মত রোজ ফুসফুসে নিয়েই চলেছে। তবে সময় থেমে নেয় … ধীরে ধীরে অনেক জল বয়ে যায়। কোন একটা দিন এদের অনেকেই মস্তিষ্কের হারিয়ে ফেলা ঐ অংশটুকু অসভ্য মানুষটার থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় … কিন্তু কিছু অভ্যেস এরা ছাড়তে পারেনা। মেয়েটা ঘরের ত্রিমাত্রিক কোনটাকেই বেছে নেয় বেচে থাকার ভালো লাগা গুলো শেয়ার করবার জন্য… ছেলেটা হয়ত “তামাক পাতা” ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৯
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×