মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী অবশেষে ডঃ ইউনুসের প্রতি তাঁর পুষে রাখা ক্ষোভের সফল বাস্তবায়ন ঘটালেন। ইউনুস সাহেব একটা নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এই দোষে তাঁকে এভাবে অপদস্থ করাটাকে রঙ হেডেড মস্তিষ্কের কাজ বলেই মনে হচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, যত দোষ আসলে ওই নোবেল পুরস্কারেরই।
বাজারে এখন ব্যাপক প্রচারনা যে, শেখ হাসিনার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিলো প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে নোবেল প্রাইজ জেতার। সেটা ব্যর্থ হওয়াতেই নাকি তিনি এতদিন ধরে এই তীব্র ক্ষোভ পুষে রেখেছিলেন মনের মধ্যে। সময় ও সুযোগমত সেই ক্ষোভের জ্বালায়ই আজকে ইউনুসের উপর চরম প্রতিশোধ নিলেন।
আমার কথা হচ্ছে, শেখ হাসিনার কিন্তু এখনো সুযোগ আছে ইতিহাসে নাম লেখানোর! হ্যাঁ, প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে নোবেল প্রাইজ পাওয়ার সুযোগ আর নাই বটে; কিন্তু প্রথম বাংলাদেশী নারী হিসাবে নোবেল প্রাইজ পেয়ে ইতিহাসের ভিতরে ঢুকে যাওয়ার সুযোগ কিন্তু এখনো আছে। সময় থাকতে থাকতেই এই সুবর্ন সুযোগটার সদ্ব্যবহার করে ফেলাটা বুদ্ধিমানের মত একটা কাজ হবে নিশ্চিত।
তাই প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করছি, খামোখা আর ওই চোর-বাটপার ইউনুসের পিছনে লেগে থাকার দরকার নেই! এর চাইতে বরং আপনি নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পিছনে সময় ব্যয় করতে থাকেন। আমি তো আরো বলবো যে, আপনার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার দরকার কি? ওইটাতো একজন বাংলাদেশী ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন। আপনি বরং সাহিত্যে অধিক মনোনিবেশ করেন। আমি আপনার 'জেল থেকে বলছি' বা এই জাতীয় নামের একটা সাহিত্য পড়েছিলাম কিছুদিন আগে। আপনার ভাষা, শব্দ চয়ন, উপমা প্রয়োগের নিদর্শন দেখে সত্যি বেশ চমৎকৃত ও একই সাথে অভিভূত হয়েছিলাম। আপনাকে দিয়ে হবে - এটা আশা করা যায়!
তাই অনুরোধ করছি, এই সাহিত্য রচনায় আরো একটু বেশী সময় ও মনোযোগ নিবেশ করেন। আমরা দেশবাসী দোয়া করবো যেন এই সামনের বারেই আপনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়ে প্রথম বাংলাদেশী নোবেল বিজয়ী নারী হিসেবে ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবেন এবং গোটা জাতিকে ব্যাপক আনন্দের একটা উপলক্ষ তৈ্রি করে দিবেন!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




