তানভীর মোকাম্মেলের একটা ডকুমন্টারি-'কর্ণফুলির কান্না' বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খুব সাধারণ সত্য কথাগুলো তারচেয়েও সাধারণভাবে বলার জন্যে।
লেখা হয়নি অনেকদিন...কিন্তু পড়ছি নিয়মিতই। দেখলাম পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক অনেকগুলো লেখা, পড়লাম ও। বেশকিছু কমেন্ট পড়ে মর্মাহতও হলাম-বরাবররের মতই। এমন স্পর্ষকাতর বিষয়ে পক্ষে বিপক্ষে কমেন্ট হবে সেটাই স্বাভাবিক। ভালও লাগে-হাজারো মানুষের হাজারো মতামত, যুক্তি-পাল্টাযুক্তি গুলো পড়ে। কিন্তু যখন দেখি বেশ কয়েকজনই বলছেন দরকার হলে আর্মি দিয়ে আরো কঠিন কঠোর ব্যবস্হা নিতে হবে, আরো গ্রাম-বাড়িঘর-মানুষ পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে হবে তখন শিউরে উঠি। এমন করে কি কখনও কিছু সমাধান সম্ভব? পাকিস্হান কি পেরেছিল? কিংবা পৃথিবীর অন্য কোন দেশ? অন্য কোন জাতি? একটা জনগোষ্ঠীকে কি গায়ের জোরে দমিয়ে রাখা কোন সমাধান হতে পারে? একাত্তরে এই জনগোষ্ঠীর ভূমিকা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে কমেন্টের ফুলঝুরি দেখলাম। ইতিহাস আমি ভাল জানি না কিন্তু এটা নির্ধিদায় বলতে পারি যে তারা আমাদেরই-প্রর্তন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলতে জাতীয় সংগীত হিসেবে 'আমার সোনার বাংলা'ই গাওয়া হয়; তবে আলাদা করে চিন্তা করি কেন তাদের? যদি সমাধান চাই তবে তাদের অধিকার তাদেরকে বুঝিয়ে দিয়ে, তাদের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি-ধর্ম তাদেরকে পালন করার নিশ্চয়তা দিয়ে, তাদেরকে বাংলাদশের আর দশজনের মতই নাগরিক হিসেবে মেনে নিয়ে, যতখানি সম্ভব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে সমাধানের পথ বের করতে হবে। দমিয়ে-পুড়িয়ে কখনই কিছু হবে না-হবে কি??
বলছিলাম 'কর্ণফুলির কান্না'র কথা। আমার মনেহয়, যারা পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সাম্প্রতিক পোস্টগুলো লিখেছেন, পড়েছেন আর কমেন্ট দিয়েছেন তাদের তো অবশ্যই দেখা উচিৎ। সাথে আগ্রহী সবাইকেই বলব একবার দেখে নিতে। যদি দেখে থাকেন তহলেতো ভালই, না দেখলে এখনই দেখে নিন। ১ ঘণ্টার এই চলমান ছবিটি আমাদের দেশের নেট স্পিডে দেখা আদৌ সম্ভব কিনা জানি না, তবে যারা ভাল স্পিডের নেট ব্যবহার করেন বা প্রবাসে আছেন-তারা নিচের লিংক-এ ক্লিক করুন। আপনার ১ ঘণ্টা সময় নষ্ট হবে না, নিশ্চিত।
Karnaphulir Kanna-Teardrops of Karnaphuli

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




