সই এই তো মেয়ে মানুষের জীবন
শ্যা ম ল সো ম
সই সেই শৈশবের মেয়ে বেলা থেকেই শুরু হয়ে যায় লড়াই,
কী ভাবে কী উপায়ে এই সদ্য কুঁ ড়ি ফোঁটা নধর নরম পেলব এই
মেয়ে মানুষের শরীরকে স্বাপদের থাবা থেকে আড়ালে রাখা যায়?
আত্মীয় স্বজন পাড়া প ড়শী গাঁয়ের মাতব্বর, শহরের মাস্তান,
এমন কী জন্মদাতা ও শিকারী শেয়ালের মত লোলুভ দৃ ষ্ঠি নিয়ে,
অসহায়তার দূর্বলতার সুযোগের অপেক্ষায় ওত পেতে থাকে !
স্তুতি, প্রশংসা, কত কাব্য, আকাশ কুসুম স্বপ্নের জাল বোনা বিবাহের
প্রতিশ্রুতি বিনিময়ে বিনা পারিশ্রমিকে অন্ন্ত সহবাস, বিচারের
আদেশে ধর্ষকের সাথে বিবাহের প্রবিত্র বন্ধন, শ্বশুরের পাশবিকতায়
স্বামী হয়ে যায় পুত্র !
মুখ ফসকে যদি তিনবার উচ্চারিত হয় ভয়ংকর
একটি শপথ বাক্য ! চিরকালের মত শেষ হয়ে যায় স্বর্গিয় প্রেম
বিবাহের মহা প্রবিত্র বন্ধন ।
সই এ কেমন মেয়ে মানুষের জীবন ?
তার নিজের জীবন কী ভাবে
ব্যয়িত হবে তা নিঃধারন করবেন পুরুষ ত্রান্তিক সমাজ এই বিধান
সেই প্রাক ঐতিহাসিক যুগ যুগান্তর ধরে আবহমান কাল ধরে চলে
আসছে।
পুরাণে দ্রোপতীর কোন প্রতিবাদ করার কোন অধিকার ছিলো না
আজ ও নেই তাই পারিবারিক স্ন্মানার্থে নিঃশংস খুন ভ্রূণ হত্যা !
কী অনুশাসন সময় বিশেষে শোষণ, সামাজিক পারিবারিক ফোতয়া।
বিধান সেই সুপ্রাচীনকালেও কুলীন ব্রাক্ষ্মণের একশত বিবাহের ছিল অধিকার।
দুই তিনটে বউ পোষা ক্ষ্যামতা থাকলে সে ঐ কুকুর পোষার সামিল ক্ষমতাবান
পৌরুষের লক্ষণ তিনি সমাজে রাস্ট্রের খুব বাহ্ববা পেয়ে থাকেন।
সই আজ থাক ভাই ! আড়ালে কে জানে শুনছে ক'জন, মাতাল
লম্পট জুয়ারী অন্নদাতা পরম পূজোনিয় স্বামী শুনলে মেরে পিঠের
ছাল ছাড়িয়ে নেবে তাই চুপ করে সন্তান ধারণ রন্ধন সৌন্দর্যময়ীই
নারী সুখী গৃহকোণ শোভা বর্ধন করে,
আয় ভাই চোখের জল ও চোখেই
যাবে শুকিয়ে; নানা ভাবে ঘসে মেজে শরীরটা সাজিয়ে তুলতে হবে
সাজুগুজু না করলে কপালে দুর্ভোগ আছে তোর !
ও বাবা এইতো---
সোজা সরল গরল পান করে আয় এ ভাবেই- কাটিয়ে যাই এ দেশে,
বিদেশে সন্ত্রস্ত হেনস্থার সীমাহীন, মেয়ে মানুষের জীবন।