somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে রূপকথার রচয়িতা স্বয়ং ঈশ্বর

১০ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এটি একটি বিলম্বিত পোস্ট। গতকালকের উপলক্ষে আজ লিখছি। আমার জানামতে, নিচের গল্পটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম রূপকথা।
আজ থেকে বহু বছর আগে, কোন এক কলেজের এক তরুণ শিক্ষক এক্সাম হলে ডিউটি দিচ্ছিলেন। হঠা দেখলেন, এক পরীক্ষার্থীনী লেখা বন্ধ করে বসে আছে। কৌতুহলী শিক্ষক জানতে চাইলেন, "কী ব্যাপার, তুমি কিছু লিখছো না কেন?"
"দেখছেনই তো স্যার, কলমের কালি শেষ। কী করে লিখব?"
"তুমি চাইলে আমার কলমটা নিতে পার। তবে পরীক্ষা শেষে আবার ফেরত দিয়ে যেতে হবে।"
"আপনার কলম অযথা রেখে দেওয়ার কোন কারণ আছে? এখন আপাতত দেন। লিখে নিই। পরীক্ষা শেষে পেয়ে যাবেন।" সাহসিনী শিক্ষার্থীর নির্বিকার জবাব।
তরুণ শিক্ষকটি ছাত্রীর এহেন উত্তরের ধরণে খানিকটা আশ্চর্য হলেন। কলমটা দিয়ে দিলেন। পরীক্ষা শেষে ফেরতও পেলেন। দুজনই সময়োচিত গাম্ভীর্য বজায় রেখে কলম আদানপ্রদান সারলেন।
কিন্তু খাতা দেখার সময়ে সেই বিশেষ এবং আপাত-উদ্ধত ছাত্রীটির খাতা সনাক্ত করতে তার এক সেকেন্ডও সময় লাগল না। আর তাই দেখে বিধাতাপুরুষ মুচকি হাসলেন। কারণ এই আপাত গম্ভীর তরুণ এবং এই শিক্ষার্থিনীর জীবনের স্ক্রিপ্ট যে তারই লেখা!
পুরো কলেজে মুডি বলে পরিচিত মেয়েদের প্রতি উদাসীন সেই মাস্টারমশাই ওই অদ্ভুত মেয়েটিকে ভুলতে পারলেন না। মেয়েটি একটু বেশিই অন্যরকম। সাজগোছের বালাই নেই। মনোযোগ আকর্ষণের কোন চেষ্টা নেই। নিজের চেহারাকে সুন্দর করে তোলার কোন বাড়তি প্রয়াস নেই। বাইরে বের হওয়ার আগে মনোযোগ দিয়ে আয়নাটা দেখে কীনা সন্দেহ! এমনও অদ্ভূত মেয়ে হয় পৃথিবীতে!
আর ঠিক এই কারণেই এই অনন্য মেয়েটিকে ভোলা তার পক্ষে সম্ভব হল না।
বাকিটা ছিল শুধু সময়ের ব্যাপার। স্ক্রীপ্ট এগিয়ে চলল। আর দশটা রুপকথার শেষে যেমনটা হয়, তেমনটাই হল।
ধুমধাম করে দুজনের বিয়ে হল।
অর্থে নয়, বিত্তে নয়, কিন্তু ভালবাসার সাম্রাজ্যে তারা রাজা এবং রাণী। তাদের কোল্ আলো করে আসার কথা ছিল এক ফুটফুটে রাজকন্যার। তার বদলে এল একটি বিশুদ্ধ বাঁদর।
রাজা আর রাণী ভালবেসে সেই বাঁদরের নাম রাখলেন সুস্মিতা শ্যামা।
গতকাল রাজা-রাণীর বিবাহবার্ষিকী ছিল। রাণীমাকে মা দিবসের শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৪২
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×