১৯৭১, ১৯৫২ সালের কথা যে দিন জেনেছিলাম তখন মনটা গর্বে ফুলে উঠেছিল। ইসস!!! আমাদের ছাত্ররা এত ভাল... আমার মন থেকে একটাই প্রতিজ্ঞা আসছিল তখন যে আমিও একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি জড়াবো। স্কুল কলেজ পার হয়ে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই তখন দেখি যে সব ক্যামন জানি ওলট পালট, ঘটনা টা না বললেই না " বিশ্ববিদ্যালয়ে যে দিন প্রথম ভর্তি হলাম তখন সবাই এক ছিল। তো, এক এক করে দিন কাটছিল যে যার মত করে ক্লাস করত। হটাৎ করে একদিন দেখি যে আমার ক্যাম্পাস এর ভিতর তুমুল মারামারি কি কারনে তারা এভাবে মারামারি করছে টা তখন বুঝতে পারিনাই। আমি জানতাম যে ক্যাম্পাস এ মারা মারি হয় কিন্তু এটার কারন কি তখন বুঝিনাই। পরের দিন আমার এক বন্ধু কে জিজ্ঞাস করাতে সে বলে যে যাকে পেটানো হচ্ছিলো সেই ছেলেটা B.N.P দলের সমর্থক তাই তাকে পেটানো হয়েছে। এই কথা টা শুনে আমি হতবাক !!! সামান্য দলের সমর্থন করাতে এভাবে মার খেতে হল ? এটাই তার দোষ ? সামান্য সমর্থনই তো করেছে কাউকে খুন তো করে নাই। আমাদের দেশ এ মনে হয় দল সমর্থন করা খুনের থেকেও বেশি পাপ। " আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও আমারা এখন কিছু রাজনৈতিক দলের কাছে পরাধীন। ১৯৫২,১৯৭১ আমাদের পরাধীনতা শেখায় নাই। সেই সময় ছাত্ররা রাজনীতি করত দেশ এর জন্য এখন তারা রাজনীতি করে নিজের পকেট ভরার জন্য। আগে ছাত্ররা রাজনীতি করত নিজের মা, বোন কে বাঁচাবার জন্য এখন তারা রাজনীতি করে অন্য জনের মা, বোন কে ভোগ করার জন্য। আমি জানি রাজনীতি ক্যান দরকার, রাজনীতি দরকার নিজেকে, নিজের দেশ কে, সম্পূর্ণ বিশ্ব যে বুঝার জন্য। রাজনীতি দরকার দেশ এর চাহিদা মিটাবার জন্য। কিন্তু এটা এখন কোথায়? যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েই প্রথমে সাক্ষাৎ হয় সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের VP এর সাথে। তার কাছে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হতে হয় যাতে আমরা তাকে দল নেতা মানি নইলে ভবিষ্যতে কঠিন বিপদ এর হাতছানি। এখন আমার প্রশ্ন আপনাদের কাছে, প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি রাজনীতি করবেন নিজের জন্য নাকি দেশ এর জন্য? আমি জানতে চাই আপনাদের সুস্থ বিবেক কি বলে আসুন আমরা কপট ছাত্র রাজনীতিকে না বলি, সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে আসি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৫