এবারের বইমেলায় ইতিমধ্যে একবার গিয়েছি। বইও কেনা হয়েছে বেশকিছু। আজকের যাওয়াটা ছিল এক বিশেষ কারণে। ইদানিং অন্তর্জালে এক নব্য দার্শনিকের কিছু লেখা পড়ে বেশ অবাক হচ্ছি। বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য, ধর্ম – এমন কোন বিষয় নেই যা তিনি জানেন না! একজন মানুষের জ্ঞান কি অসীম হতে পারে? কি করে সম্ভব? মানুষ এই মহাজগতের অতি ক্ষুদ্র একটি প্রাণী। তার ক্ষমতাও অতি তুচ্ছ। বিশাল জ্ঞানসমুদ্রের পাড়ে নুড়ি কুড়াতেই তার বেলা শেষ হয়। এই মধ্যবয়স্ক আরব ভদ্রলোককে দেখে আমার সে বিশ্বাস প্রশ্নবিদ্ধ হয়, আবেগে আমি বাকরুদ্ধ হই। কোথায় যেন পড়েছিলাম এই মহান দার্শনিকের দুটি বই বেড়িয়েছিল বইমেলায়। যদ্দূর মনে পড়ে একটির নাম ‘একচিমটি লাদিমাখা আরব নারী তৃষ্ণা’ এবং আরেকটির নাম ‘ এক আরব সঙের নানা রঙের গল্প’। মূলত এই বই দুটি কিনতেই আজ বইমেলায় গমন। বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের সামনে থেকে বিশাল লাইনে দাড়াতে হলো। সে এক বিশাল লাইন। সাপের মতো একেবেকে ধীরে ধীরে চলেছে বইমেলার দিকে। দাড়িয়ে থাকতে থাকতে পা গেল ব্যথা হয়ে। কিন্তু দুইটি অসামান্য বইয়ের জন্য আমি সব কষ্ট সহ্য করতে পারি। সব কষ্টের অবসান হলো বইমেলার গেটে এসে। ঢুকেই মনে করার চেষ্টা করলাম স্টলটার নাম কি। কি যেন নাম.. কি যেন নাম?? পাশে একজন হঠাত করে চিত্কার দিয়ে উঠতেই স্টলের নাম মনে পড়লো “উচুস্বর”। খুজতে শুরু করলাম উচুস্বর। ভীড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে বেশ কিছুক্ষণ খুজাখুজি করতেই পেয়ে গেলাম উচুস্বরকে। স্টলে গিয়ে স্বর বেশ উচু করে জানতে চাইলাম, “আপনাদের কাছে ‘একচিমটি লাদিমাখা আরব নারী তৃষ্ণা’ আছে”। ভাবলাম বইয়ের নাম শুনে হয়তো দোকানীরা আমার রুচি সম্পর্কে বেশ উচু ধারণা পোষণ করবে। কিন্তু একি? আমার প্রশ্ন শুনেই বিক্রেতা কেমন যেন অবাক হয়ে তাকালেন। আমাকে কোন কথা না বলে আবার পাশের বিক্রেতাকে কানে কানে কি যেন বললেন। পাশের বয়স্ক বিক্রেতাটি প্রথমজনের চেয়েও বেশী অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন। আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করবো। এবার জিজ্ঞেস করলাম, “এক্ আরব সঙের নানা রঙের গল্প’ এই বইটি কি আছে?” বয়স্ক বিক্রেতা বেশ গম্ভীর হয়ে উত্তর দিলেন, “এই নামের কোন বই আমরা কখনো প্রকাশ করিনি এবং কখনো নামই শুনিনি"”।আমি বেশ অস্বস্তি বোধ করছিলাম। কারণ আমি মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম এই প্রকাশনীর কথাই ওই মহান দার্শনিক বলেছেন। তো কি আর করা। উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে লাগলাম মেলা প্রাঙ্গণে। কিছুক্ষণ পর হালকা টয়লেট চাপলো। জিপার লাগাতে লাগাতে ভদ্রলোকরা বেড়িয়ে আসছেন এইরকম একটা চিপা দেখে ঢুকে পড়ি। ছোট কাজ সারতেই চোখে পড়লো পানির বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের জন্য অনেকগুলো কাগজ স্তুপ করে রাখা। একটা কাগজ টান দিতেই আস্ত একটা বই বের হয়ে আসলো। অদ্ভূত! বই কিভাবে মানুষ টয়লেট পেপার হিসেবে ব্যবহার করে? কি এমন বই যার ভাগ্যে এই পরিণাম ঘটেছে দেখার জন্য বইয়ের প্রথম পৃষ্টাটা খুজলাম। কোন কাভার নেই, ছিড়ে ফেলা। তবে প্রথম পৃষ্ঠার অর্ধেক এখনো আছে। যতটুকু বোঝা যাচ্ছে তাতে লেখা “.............খা আরব নারী তৃষ্ণা”।
আলোচিত ব্লগ
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা
সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।
হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই
সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন