টেস্স্ট প্লেয়িং দেশ হিসাবে বাংলাদেশ দশ বছরে পা দিয়েছে। টেস্ট পরিবারে এখন আর আমাদের অনভিজ্ঞ দেশ হিসাবে ধরা যায় না। এই দশ বছরে টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছে ৬৪টি। আসুন দেখা যাক, টেস্ট ম্যাচে আমাদের ছেলেদের পার্ফম্যান্স। আগে দেখা যাক আমাদের ব্যাটসম্যানদের একটা ক্রমতালিকা...
১. গড় রানের ভিত্তিতে
গড় রানের ভিত্তিতে মাহমুদুল্লাহ এখন পর্যন্ত সবার উপরে আছেন সবাইকে অনেকটাই পেছনে ফেলে।যদিও মাহমুদুল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করতে তাকে আরো অনেক ম্যাচ খেলে যেতে হবে। তামিম আশানুরূপভাবেই দ্বিতীয়। সাকিব তৃতীয়। হাবিবুল বাশার অনেকদিন পর্যন্ত তার শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও এখন ৪ নম্বরে নেমে গেছেন।
আশরাফুল এর অবস্থান কিন্তু ১১ নম্বরে ২২.৭৮ গড়ে। ১০৩ ইনিংসে তার এই গড় প্রমান করে ক্যারিয়ারের অবশিষ্ট সময়ে তার থেকে খুব বেশী আশা করবার কিছু নেই। জাভেদ ওমরের কাতারে তার অবস্থান, এমনকি বোলার আব্দুর রাজ্জাকের গড়ও তার পর্যায়ে। আশরাফুলের উপরে শাহরিয়ার নাফিস আর মুশফিক রহিম শুধু নয়, রাজিন সালেহ, জুনায়েদ এমনকি নাফিস ইকবাল আর প্রয়াত রানাও আছেন। আশরাফুলের সাম্প্রতিক গড় হিসাব করলে সম্ভবতঃ আরো খারাপ চিত্র পাওয়া যাবে। ওয়ানডেতে রাকিবুলের অবস্থান অনেকটাই উপরে হলেও টেস্টে কিন্তু ১৯ গড়ে তার অবস্থান অনেকের নিচে।
২. টিকে থাকার বিচারে ( ইনিংস প্রতি বল মোকাবেলা)
টেস্টে ডিফেন্স করাটাও একটা যোগ্যতা। কে ধুমধারাক্কা মারতে পারে তা নয়, কে একের পর এক বল মোকাবেলা করে উইকেট কামড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা টিকে থাকতে পারে সেটা একটা জরুরী বিষয়। এবার দেখা যাক এই দৌড়ে আমাদের ছেলেদের কারা এগিয়ে।
রাজিন সালেহকে যদিও গত দুইবছরে সিনিয়র প্লেয়ারদের ঝেড়ে ফেলার নীতিতে জাতীয় দল থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, কিন্তু এই রাজিন সালেহই দেখা যাচ্ছে ৪৬ ইনিংস খেলেও শীর্ষে থেকে তার টিকে থাকার যোগ্যতা প্রমান করেছেন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অল্প ম্যাচ খেলে যদিও দ্বিতীয় অবস্থানে, সামনের দিনগুলোতে তা বহাল থাকবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে। তামিম ৩ নম্বরে । মানজারুল ইসলাম রানাও ৪ নম্বরে থেকে আমাদের স্মরন করিয়ে দেয় আমরা একজন গুণী ক্রিকেটারকে খুব জলদি চিরতরে হারিয়েছি।
টিকে থাকার যোগ্যতায় আশরাফুল আরো নিচে-১৪ নম্বরে। সাকিব, মুশফিক রহিম, শাহরিয়ার নাফিস তো আছেই, আগের প্রজম্নের হাবিবুল বাশার, আমিনুল ইসলাম জাভেদ ওমর এবং বহু দুঃসময়ের কাণ্ডারী খালেদ মাসুদ পাইলটও এই তালিকায় আশরাফুলের উপরে। ইমরুল কায়েসকে আরো উপরে আশা করেছিলাম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সে এখন পর্যন্ত আমাদের খুব একটা আশান্বিত করতে পারছে না।
কথা হোল আবেগ নয় পরিসংখ্যানই হওয়া দরকার শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি।
তথ্যসূত্র হিসাবে ক্রিকইনফোর ডাটাবেজ কে ব্যবহার করেছি। তবে এটাকে বিন্যাস করেছি নতুন ভাবে।
আগের পর্বঃ
বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানদের ক্রমতালিকা -ও.ডি.আই. (এ যাবতকালের সকল ব্যাটসম্যান)
ও.ডি.আই. রেকর্ডে বাংলাদেশের সেরা বোলারদের ক্রমতালিকা (এ যাবতকালের সকল বোলার)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:১২