বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা বাংলাদেশে বা অন্যান্য দেশে তাদের প্রিয় জনদের সাথে কথা বলতে বিভিন্ন টেলিফোন কোম্পানীর সেবা গ্রহন করেন, যা ইন্টারনেট ফোনের তুলনায় অনেক ব্যায়বহুল। ইন্টারনেট ফোন ব্যাবহার করে আমরা আমাদের টেলিফোন খরছ অন্ততঃ 75% কমাতে পারি। যারা এখনও ইন্টার নেট ফোনের ব্যাবহার সমন্ধে জানেন না তাদের জন্যই আমার এই লেখা।
ইন্টারনেট ফোন কয়েক ভাবে ব্যাবহার করা যায়। কম খরচে সাধারন ব্যাবহার করতে হলে প্রথমেই আপনার প্রয়োজন হবে একটি আই পি টেলিফোন সেট । আই পি টেলিফোন সেট দেখতে অনেক টা সাধারন টেলিফোন সেটের মতই, তবে এতে ইন্টারনেট কানেকশনের জন্য একটি মডেম লাগানো থাকে। তারপর আপনার প্রয়োজন হবে ইন্টারনেট কানেকশন। সাধারন ইন্টারনেট লাইনে এটা ব্যাবহার করা যায়, তবে ডি এস এল ইন্টারনেট লাইন হলে সবচেয়ে ভাল হয়। বিভিন্ন কোম্পানীর রিসিভার বাজারে পাওয়া যায়, কনফিউগারেশন করার পদ্বতি রিসিভার কোম্পানী বা রিসিভার সরবরাহকারী আপনাকে জানিয়ে দিবে। এই ধরনের রিসিভারের বাজার মূল্য 150 থেকে 200 ডলার। এর পর আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে যারা ইন্টারনেট ফোন কার্ডের ব্যাবসা করে তাদের সাথে। 100 ডলারের একট কার্ড দিয়ে আপনি প্রায় 1000 মিনিট আনর্্তজাতিক লাইনে কথা বলতে পারবেন। কার্ডের এজেন্টদের সাথে আলাপ করলেই আপনি জানতে পারবেন কোন ধরনের রিসিভারের দাম কত, এবং কি ভাবে আপনি তা পেতে পারেন।
দ্বিতীয় পদ্বতিটির খরচ একটু বেশী হবে,এই পদ্বতিতে আপনি একসাথে অনেক গুলো রিসিভার ব্যাবহার করিতে পারিবেন। এই পদ্বতিতে আপনি একসাথে 10/12 টি সাধারন বা কর্ডলেস রিসিভার ব্যাবহার করিতে পারিবেন। আপনার যদি ডি এস এল ইন্টারনেট লাইন থেকে থাকে তাহলে 500 ডলার খরছ করলেই আপনি এই সিস্টেম ব্যাবহার করিতে পারিবেন। এই দুটো সিস্টেম ছাড়াও অতি সম্প্রতি কলবেক সিস্টেম একটি পদ্বতি বাজারে এসেছে যাহা ব্যাবহার খুবই সহজ।এই পদ্বতিতে আপনাকে একটি নাম্বারে মিসড কল দিতে হবে এর পরপরই আপনি একটি কলবেক পাবেন যাহা রিসিভ করলে আপনাকে আপনার কাঙ্খিত নাম্বারটি ডায়াল করতে বলা হবে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আপনি আপনার ডায়ালকৃত নাম্বারটিতে কথা বলতে পারবেন। এই ছাড়াও আপনি আপনার কম্পিউটার থেকেও এই ফোন দিয়ে কথা বলতে পারবেন, আর এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি হেডসেট। তবে এই সব সিস্টেম গুলোর সবকটির জন্যই আপনার নিকট থাকতে হবে অধিক গতি সম্পূর্ন ইন্টারনেট লাইন এবং আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে ইন্টারনেট ফোনের কার্ড বিক্রেতার সাথে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যারা বসবাস করছেন তারা সবাই এই ফোন ব্যাবহার করিতে পারেন, হয়ত নিজের ব্যাক্তিগত ব্যাবহারের জন্য বা কর্মসংস্থানের জন্য। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কি ভাবে আপনারা কার্ড বিক্রেতার ঠিকানা পাবেন? নিচের দেওয়া ই-মেইল এড্রেসে যোগাযোগ করলে আপনি পেতে পারেন একজন কার্ড বিক্রেতাকে।
[email protected]
আমার এই লেখা থেকে যদি কেউ উপকৃত হন তাহলে দয়াকরে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাইবেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




