আমাদের দেশে অনেক লোক আছেন যারা পীর, অলি আউলিয়া, গাউছ কুতুব, ফকির কিংবা তাদের মাজার, দরবার বা দরগায় যান নিজের মুক্তি কিংবা বিভিন্ন ধরনের কিছু পাপ্তির বা মুক্তির আশায় । যেমনঃ নিঃসন্তান দম্পতি সন্তানের আশায়, জটিল রোগী রোগ মুক্তির আশায়, চাকুরী বিহীন চাকুরীর জন্য, পড়ালেখা না করা আড্ডাবাজ ছাত্ররা ভাল ফলাফলের আশায়, বিদেশ না যেতে পারা ব্যাক্তি বিদেশ যাওয়ার জন্য, অলস কর্মকর্তা কর্মচারীরা পদোন্নতির আশায়, ভেজাল ব্যাবসায়ীরা ভাল ব্যাবসার আশায়, এই রকম আরও হাজারও আশা আকাঙ্খা নিয়ে অনেক লোক জমা হন অলি আউলিয়াদের দরবারে কিংবা মাজারে। এই সমস্ত দরগাহ বা মাজার গুলো আজ পরিনত হয়েছে শিরককারীদের আস্তানায়। ইসলামী শরীয়তে উপরোল্লেখিত বিষয় গুলো শিরকের আওতাভূক্ত, আর শিরককারীকে আল্লাহতালা ক্ষমা করিবেন না। আপনার চাওয়া পাওয়ার সকল কিছু হচ্ছে মহান আল্লাহতালার নিকট, আল্লাহর নিকট না চেয়ে পীর,গাউছ,অলি আউলিয়ার নিকট চাওয়া হচ্ছে মহান আল্লাহকে এড়িয়ে চলা বা অস্বীকার করা। সুতরাং আপনার মূল্যবান অর্থ এবং সময় অপচয় করে এই সমস্ত পীর গাউছদের কাছে না যেয়ে নিজ ঘরে বসে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করুন, তিনিই পারেন আপনার সকল আশা আকাঙ্খা পূরন করিতে। কিছু দিন আগে একটি জাতীয় দৈনিকে পড়েছি জনৈক পীর সাহেবের মাজার জিয়ারত করে ফেরার পথে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় বেশ কিছু লোক প্রান হারিয়েছেন, কয়েকদিন আগে এক ইন্ডিয়ান টিভি চ্যানেলে একটি সিরিয়াল দেখেছি এ সিরিয়ালটিতে সব সময় সমাজে ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনা গুলো তুলে ধরা হয়, যাতে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ থেকে আজমীর শরীফ যাওয়ার পথে বাংলাদেশী একভদ্র মহিলা কিভাবে কলকাতার একটি রেলওয়ে ষ্টেশনে রেলওয়ের ষ্টাপ কৃর্তক ধর্ষিত হয়েছেন। পরে দিল্লীর একটি মানব অধিকার সংস্থা ভারতীয় রেলওয়ের বিরুদ্বে কলকাতা হাইকের্াটে মামলা করে ঐ মহিলাকে আইনী সহায়তা দিয়েছে এবং ভারতীয় রেলওয়ে থেকে ক্ষতিপূরন আদায় করে দিয়েছে। ঘটনাটা দেখার পর খুব খারাপ লেগেছে নিজের কাছে, আমাদের দেশের মানুষ এখনও কত অন্ধকারে ডুবে আছে। আল্লাহর সানি্নধ্য পাওয়ার আশায় কত লোক এখনও নিজের জান মাল বিসর্জন দিয়ে এই সমস্ত গাউছ কুতুব অলি আউলিয়া এবং ফকির দরবেশের মাজার বা তাদের দর্শনে যায় কিন্তু এতে তাদের আল্লাহর সানি্নধ্যতো অর্জন মোটেও হয় না বরং বিভিন্ন ধরনের শিরকের মাধ্যমে তারা আল্লাহর সানি্নধ্য থেকে আরও দুরে সরে পড়ে।
কোন পীর অলি আউলিয়া গাউছ কুতুব ফকির দরবেশকে খারাপ বলা আমার এই লেখার উদ্দেশ্য নয়, আমার এই লেখা পড়ে যদি কোন পীর অলি আউলিয়া ভক্ত লোক মনে কষ্টপান তাহলে ক্ষমা করিবেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




