প্রিয় বন্ধু গণ
আমি কোন কবি বা লেখক নই। বাংলায় ব্লগ দেখেই আমার কিছু লিখতে ইচ্ছে হল। আমি মাত্র দু মাস হল কানাডায় এসেছি। দেশে দীর্ঘদিন বাংলায় লেখার অভ্যাস থাকলেও এখানে আমার কম্পিউটারে কোন বাংলা সফটওয়্যার নেই । ইন্টারনেটে ফ্রি বাংলা সফটওয়্যার খোঁজার সময় ব্লগটি খুঁজে পেলাম। হঠাৎ মনে হল আমার নতুন দেশে আসার অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করি একই সাথে আমার বাংলা কিবোর্ডের চর্চাও চালু থাক।
কানাডা সম্পর্কে কারো কিছু জানার থাকলে নিঃসংকোচে আমাকে জিজ্ঞেস করবেন। যদি আমার জানা থাকে তবে নিশ্চই আমি তা জানবো। সেই সাথে আমার নতুন নতুন অভিজ্ঞতার কথাও ধারাবাহিক ভাবে আপনাদেরকে জনাবো।
কিভাবে কানাডায় এলাম
২০০৫ সালের কথা। আমি তখন একটি ব্যাংকে চাকুরী করি। ঢাকার আজিমপুর মেটারনিটিতে আমার জন্ম। জন্ম থেকেই আমি ঢাকার ব্যস্ততা এবং জটীল নাগরিক জীবন সম্পর্কে পরিচিত ছিলাম। ধীরে ধীরে আমার মনে হল ঢাকা শহর ক্রমেই বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। বর্তমানে ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব কত তার সঠিক পরিসংখ্যান আমার জনা নেই তবে সারা দেশের গড় ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে দুই হাজারেরও বেশী সেবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। অথচ কানাডার জন সংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র তিন জন। অর্থাৎ বাংলাদেশের তুলনায় কানাডার নাগরিকদের মাথাপিছু জমির পরিমান ২০০০/৩ গুন বা ৬৫০ গুনেরও বেশী। পরিসংখ্যানটি ভেবে দেখার মতই।
বাংলাদেশের গড় বার্ষিক মাথা পিছু আয় যেখানে প্রায় ১৬০০ ডলার সেখানে কানাডার গড় মাথপিছু আয় ৩৩০০০ ডলারেরও বেশী। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষের তুলনায় কানাডার নাগরিকদের গড় আয় ২০ গুনেরও বেশী।
কানাডাকে বলা হয়ে থাকে ওয়েলফেয়ার স্টেট। অর্থাৎ কানাডার নাগরিকদের কল্যানের জন্য সরকার কর্তৃক বিভিন্ন রকম সামাজিক সুযোগ সুবিধা (যেমন খাদ্য, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান কিংবা বেকার ভাতা, শিশু লালন পালন ও শিক্ষার জন্য অনুদান এবং ঋনের ব্যবস্থা ইত্যাদি) করা হয়েছে।
এসব তথ্য জনার পরে আমার মনে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করার ইচ্ছা জাগে। আবেদনপত্র আরো বেশী গ্রহনযোগ্য এবং নিশ্চিত করার জন্য একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে "নো ফি বিফোর ভিসা" শর্তে ৪০০০ ডলার পারিশ্রমিক এর চুক্তিতে আবেদন করি। দীর্ঘ ৫ বৎসর অপেক্ষার পর অপ্রত্যাশিতভাবেই আমি ভিসা পাই এবং শর্ত অনুযায়ী ৪০০০ ডলার ফি প্রদান করে যথারীতি সপরিবারে কানাডার টরোন্টোতে চলে আসি। বিশাল কানাডার টরোন্টোতে আসার মূল কারণ হল মেরু অঞ্চলের শীত প্রধান কানাডার টরোন্টো শহরই সবচেয়ে বেশী গরম এবং সবুজ। যদিও ভ্যাঙ্কুভার এর তাপমাত্রা টরন্টোর চাইতে বেশী কিন্তু সেখানে অধিকাংশ লোক ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলায় ভাষাগত সমস্যার কথা ভেবে বেশীরভাগ বাংলাদেশী মানুষ টরন্টোর ছোট্ট একটি অংশে বসবাস করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




