মা' কথাটি বা শব্দটি এই পৃথিবীর সবচেয়ে আপন। এই ধরনীর সকলেই মায়ের আদরেই বেড়ে উঠতে চায়। সন্তানের প্রতি মায়ের ই থাকে অকুন্ঠ ভালবাসা! সন্তানের জন্য ব্যাকুল থাকে মায়ের মন। ঠিক তেমনি ভাবে মায়ের আদর, স্নেহ, আর অকুন্ঠ ভালবাসা সকলের মানব হৃদয়কে উদ্বেলিত করে তুলে। একজন মা' কে অনেক চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে সন্তানকে আদর এবং মমতা আর সোহাগে মানুষ করার প্রানান্তকর চেষ্টা করে থাকে। আর এই মায়েদের মধ্যে একটি বিভাজন আছে বলে আমি দেখি। তা হল- মা- আর চাকুরী জীবি মা! এই দুই প্রকার মায়ের আদর প্রদানের ভাগ সমান নয় বলে আমার কাছে মনে হয়। একজন - যে মা ' টি শুধু ঘর সামলানোর কাজ এবং সন্তানকে মানুষ করার কাজে প্রানান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকেন। আরেকজন যিনি চাকুরী করেন- তিনি চাইলে ও ঐ মায়ের সমপরিমান আদর, স্নেহ, মায়া, মমতা করতে পারেন না। বা সেক্ষেত্রে কিছু ঘাটতি থেকেই যায়। ঠিক এই দুই প্রকার মায়ের মাঝে আমি দ্বিতীয় প্রকার মায়ের স্নেহেই বড় হয়েছি। আজ আমাদের মানুষ করতে গিয়ে এই চাকুরী করেছেন ! ব্যপারটি এমন নয়। এই চাকুরী না করলে আমরা আরো বেশি আদর, মায়া, মমতা পেতাম। কিন্তু এই চাকুরী করতে করতে আজ তিনি নানা রকম রোগব্যাধীর শিকার। হ্যা এই রোগ তো আর চাকুরীর জন্য হয়নি ! এমনটাই অনেকে ব্যখ্যা করবেন। আমি বলবো যে হ্যা। কিন্তু এই চাকুরী করতে গিয়ে অনেক সময়ই তাকে স্বাস্থ্যর প্রতি বেখেয়াল থাকতে দেখেছি। তাই এখন আমার মনে হয়। মায়েদের চাকুরী বিহীন ই থাকা উচিত। তাহলেই আদরের ভাগ সীমাহীন হতে পারে। নিজের জীবন গড়ার ক্ষেত্রে মায়ের ভুমিকাই সবচেয়ে বেশী। সন্তানের পরীক্ষা! চিন্তা বেড়ে যায় মায়ের। অসুস্থতার সময়কার কথা না হয় নাই বললাম। চিন্তাই করা যায় না! স্কুল থেকে বৃষ্টিতে ভিজে আসলে '' জ্বর'' না আসার জন্য মায়ের পদক্ষেপ! ভুলা যায়? পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করলে তার আনন্দ মাখা মুখ! কল্পনা করা যায়? রাতে না খেয়ে ঘুমালে কি পেরশানি! মনে পড়লে রক্তের প্রবাহের গতি কি কম থাকে? মা'''' কত অতুলনীয়!
মা' দিবসে সকল মা, কে শুভেচ্ছা। আর মায়েরা যেন সন্তানদের কাছেই থাকে............ আদরের ঘাটতি আর নয়। তবে জীবনের প্রয়োজনে চাকুরি করা যেতেই পারে। সকল মা ই যেন সুস্থ্য থেকে পরিবারকে আগলে রাখে পরম মমতায়।
এই অনিবার্য ব্যক্তিটি আগলে রাখতে অক্ষম হয়ে পড়লে তখনই কেবল এর যথার্থতা কড়ায় গন্ডায় বুঝা যায়। তাই আমার কামনা কোন মাকে যেন চাকুরী করতে না হয়! প্রিয় মা! আগলে রাখেন পরিবারকে পরম মমতায়!
লেখাটি গতকাল পোষ্ট করার চিন্তা করলেও পড়াশেনার চাপে চ্যাপ্টা হয়ে আর সোজা হয়ে দাড়াতে না পারার কারনে আজ পোষ্ট করা হল।
মায়ের আদর আর সন্তানের প্রতি অকুন্ঠ ভালবাসা বনাম একজন চাকুরী জীবি মা!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২২টি মন্তব্য ৯টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য
ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার
(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন
সম্পর্ক
আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭
ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।
এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
একাত্তরের এই দিনে
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে
তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন