ক্যাপ্টেন মাজহারুল হায়দার, সম্ভবত বিডিআর বিদ্রোহে শহীদ হওয়া সেনা কমকর্তার মধ্য সবছেয়ে কম বয়স্ক এবং হতভাগা। হতভাগা বলার কারন প্রথমেই বলি কারন শব্দটা কারও কাছে আপত্তিকর মনে হতে পারে কারন শহীদ হওয়া সবার ভাগ্যে জুটেনা বা তার সৌভাগ্য সবার হয়না। হতভাগা বলার কারন ক্যাপ্টেন মাজহারুল হায়দার শুধু নিজেই মারা যাননি সাথে তার শেষ করে দিয়ে যান বাধনের সাথে তার মাত্র ৩ মাসের ছোট্ট সংসারী জীবন। বিডিআর বিদ্রোহের মাত্র ৩ মাস আগে ক্যাপ্টেন মাজহারুল হায়দারের সাথে বিয়ে হয় বর্তমান পুলিশের আইজি নুর মুহাম্মদের আদরের মেয়ে নুসরাত বাধনের সাথে। তার মানে এক হত্যাকান্ডের শিকার দুই দুইটা প্রান। কতই বা বয়স হয়েছিলো ক্যাপ্টেন মাজহারুল হায়দারের? ২৮ কিংবা ২৯। আপনারাই বলেন এত অল্প বয়সের একটা প্রাণ এভাবে চলে যাওয়াটা কি মেনে নেয়া যায়? মাত্র আড়াই মাসের বিবাহিত জীবন.… এ বিষয়ে আর কিছু বলার ভাষা আমার নাই…কারন অশ্রু আমার ছোখে হানা দিয়ে ফেলেছে মনের অজান্তে।
হত্যাকন্ডের দিন ক্যাপ্টেন মাজহারুল হায়দার ছিলো ডিজি বিডিআর এর ঠিক পিছনে কারন তার পোস্টিং ছিলো গুরত্বপূর্ন ‘এডিসি’ পোস্টে। একজন নিষ্ঠাবান ও দায়িত্ববান অফিসার হবার কারনেই ডিজিকে বাঁচাতে চেয়েছিল ক্যাপ্টেন মাজহারুল হায়দার , সেনাপ্রধানের এডিসির কাছে মোবাইলে এসএমএস করে শেষ মূহূর্তেও ডিজিসহ সবার জীবন রক্ষা করার চেষ্টা করেছিল। এটা কি তার অপরাধ? এজন্য কি তার এমন মৃত্যু প্রাপ্য ছিল যে মৃত্যুর পরেও তার উপর অত্যাচার করা হলো(একটি ছোখ উপরে ফেলা হয়)… তাকে সুয়্যারেজের লাইন দিয়ে ভেসে যেতে হলো???
আমাদের ক্ষমা করে দিও মাজহার , আমরা তোমার যোগ্য মর্যাদা দিতে পারিনি। এই দেশ তোমাকে মূল্যায়ন করতে পারলনা। তোমার তো অনেক অনেক দূর যাবার কথা ছিল, এই দেশকে অনেক কিছু দেবার ছিল… অনেকেই জানলনা যে তারা কি হারাল।
আর লিখার শক্তি নেই, মন ভালো হলে আবার হয়তো কখনো এই বীর শহীদদের নিয়ে লিখবো। যতোদিন হাত অকেজো হবেনা ততদিন এই বীরদের নিয়ে লিখে যাবো। ইনশাআল্লাহ।
লেখা শেষ করছি মোঃ কুদ্দুসুর রহমানের(সেনা অফিসার)একটি উক্তি দিয়ে-
এখন থেকে প্রতি ফেব্রুয়ারীতে আমি এভাবেও গান গাইবঃ
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো পঁচিশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি?”
লেখাটি তৈরী করতে এই লিংকের সাহায্য নেয়া হয়েছে-http://www.cadetcollegeblog.com/rahman6197/4789
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১২