এই ধারাবাহিকতায় শেষ সংযোজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের নিরীহ ছাত্র আবু বকর। দরিদ্র পরিবারের সন্তান আবু বকর ছাত্ররাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না, ছুটির সময় গ্রামে কৃষিকাজ করে পড়াশোনার খরচ জোগাতেন এই তরুণ। কিন্তু ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের শিকার হয়েছেন এই নিরপরাধ মানুষটিও।
এবার আসেন বিস্তরিত জানি-
নারী নিযাতন-
১। ১ এপ্রিল ২০০৯ এ লক্ষিপুরের বামনীতে যুব,ছাত্র এবং তরুন লীগের সদস্যরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গনধর্ষন করে, পরিবার মামলা করলে সন্ত্রাসীরা হামলা করে।
২। পিরোজপুরে দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে পেলে ধর্ষন করে জেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক টাইগার মামুন। পরে সে এর ডিডিও ছাড়ে বাজারে।
৩।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ জুন প্রকাশ্য ছাত্রী লান্চনা করে চিহ্নিত লীগ ক্যাডার মনিরুল।
৪।৩১শে মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীর উপর প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা করে লীগ মাস্তান রাজু ও তার তিন সহযোগী।
রেহাই পাননি শিক্ষকরা
ভর্তি বাণিজ্যে বাধা দিতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অনুপম হীরা মণ্ডল। রাবির পাশাপাশি ঢাবির শিক্ষকদেরও লাঞ্ছিত করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। ভুয়া পরীক্ষা দিতে সহায়তা না করায় ঢাবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মাযহারুল আনোয়ারকে লাঞ্ছিত করে সূর্য সেন হলের ছাত্রলীগ সভাপতি সাঈদ মজুমদার। এছাড়া বিভিন্ন কলেজে ভর্তি বাণিজ্যের জন্য প্রতিদিনই শিক্ষকরা হুমকি ও লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন।
সাংবাদিক নির্যাতনেও এগিয়ে আছে ছাত্রলীগ
সাংবাদিক নির্যাতনেও পিছিয়ে ছিল না ছাত্রলীগ। খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ইউএনবির ঢাবি ক্যাম্পাস প্রতিনিধি জুয়েল সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তার ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। গত বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি .........গতকালও চবিতে ইত্তেফাক প্রতিনিধিকে জবাইের হুমকী দেয় লীগ ক্যাডাররা। এ ছাড়া জনকন্ঠ প্রতিনিধিকে বেদম মারধর করা হয়।
সংখ্যালঘু নির্যাতনেও পিছিয়ে ছিল না ছাত্রলীগB:-) B:-) B:-)
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের তহবিল থেকে চাঁদা দাবি করেন কলেজ ছাত্রলীগ নেতারা। শুধু নড়াইলই নয়, সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে খোদ রাজধানীতে। সম্প্রতি ঢাবির ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিত ওই সংখ্যালঘুর নাম গৌরাঙ্গ চন্দ্র বীর। গৌরাঙ্গ চন্দ্র ঢাবি ক্যাম্পাস সংলগ্ন নীলক্ষেতের গাউসুল আজম সুপার মার্কেটের ১৬ নম্বর দোকানটি সর্বস্ব দিয়ে ক্রয় করেন। গৌরাঙ্গ চন্দ্র রুমটি ভাড়া দেন বরিশালের জনৈক ফারুক হোসেনের কাছে। ফারুক মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও দোকানটি হস্তান্তর না করে ছাত্রলীগের নেতাদের ডেকে এনে হুমকি-ধমকি দেয়। এরপর সর্বশেষ গত ৪ জানুয়ারি সশস্ত্র মহড়ায় একদল ছাত্রলীগ নেতা গৌরাঙ্গকে অপহরণ করে নিয়ে যায় শহীদুল্লাহ হলে। এরপর জোর করে তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয় সময় বর্ধিতকরণের। বিষয়টি গৌরাঙ্গ চন্দ্র ছাত্রলীগ নেতৃত্ব ও পুলিশকে জানিয়েও প্রতিকার পাননি।
এরপরও কি ছাত্রলীগে দেশের জন্য অপরিহার্য?
আরও অপকম আজকের কালের কন্ঠের রাজকূট ম্যাগাজিনে পাবেন।
সুত্র- কালের কন্ঠ (http://www.kalerkantho.com/)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:২৪