somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিক্ষার মানোন্নয়নের অতিপ্রাকৃত কল্পনা

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সন্তানদেরকে তাদের নিজ বিদ্যালয়েই পড়ানোর বিষয়ে নির্দেশনা থেকে মনে হয় যে, সরকারী প্রাথমিকের মান নিম্নগামী হওয়ার মূল কারণ শুধু শিক্ষক। শিক্ষকরা তাদের সন্তানকে নিজ সরকারী প্রাথমিক স্কুলে পড়াইলে স্কুলের পড়ালেখার মান বৃদ্ধি পেয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আসলেই কি তাই? আমার মতে সরকারী প্রাথমিকের মান নিম্নে থাকার পিছনে কারণগুলো নিম্নরূপঃ
ক) ক্লাসরুমে মাত্রাতিরিক্ত (কন্ট্রোলের জন্য উপযোগী শিক্ষার্থী সংখ্যার তুলনায় বেশী) শিক্ষার্থী;
খ) অবকাঠামোগত দুর্বলতা(স্কুল ভবন, বাথরুম ইত্যাদি);
গ) শিক্ষণ-শিখন কার্যক্রমের বাইরে অন্য সরকারী কাজ শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেয়া;
ঘ) শিক্ষকদের কম বেতন।
আমি একবার একটা প্রজেক্টের অধীনে সিলেটের একটা প্রাইমারী স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। হেডমাষ্টারের সাথে আলাপের সময় সে জানালো শিক্ষকতার প্রথম দিকে তিনি কয়েকবার জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হয়েছিলেন। তার স্কুল থেকে প্রতি বছরই টেলেন্টপুলে বৃত্তি পেত৷
তো আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এখন পারেন না কেন?
উত্তরে জানালেন, "তখন আমি অবিবাহিত ছিলাম। দায়িত্ব কম ছিল। সম্পূর্ণ মনযোগ আমি স্কুল এবং শিক্ষার্থীদের উপর দিতে পারতাম। স্কুলের সময়ের পরও আমি ভাবতাম কিভাবে স্কুলের ভালো করা যায়, কিভাবে স্টুডেন্টদের ভালো রেজাল্ট করানো যায়৷ আমি স্কুলের সময়ের বাইরেও স্টুডেন্টদের ভালো মন্দের বিষয়ে খোঁজ খবর করতাম।
কিন্তু এখন আমার পরিবার বড় হয়েছে, সন্তান আছে। যদিও এগুলো বিদ্যালয়ের মান নিম্নগামী হওয়ার জন্য মূল কারণ না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের মৌলিক চাহিদা মেটানোর চিন্তা। রাষ্ট্র আমাকে যে বেতন দেয় সেই বেতন দিয়ে পরিবারের চাহিদা মেটানো বা তাদের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব না। তাই বিদ্যালয় ছুটির পর আমাকে অতিরিক্ত উপার্জনের বিষয় নিয়ে ভাবতে হয়। প্রতিদিন বাজারে যেতে হয়, পরিবারের ছোটখাটো কাজগুলোও আমাকেই করতে হয়। যদি আমার বেতন আরো বেশী থাকত, তাহলে আমি একটা ফ্রীজ কিনতে পারতাম, সপ্তাহের বাজার একদিন করে রাখতে পারতাম। আমার বেতন আরো বেশী থাকলে অতিরিক্ত ইনকাম করা নিয়ে আমাকে চিন্তা করতে হত না। তখন আমার সময় বেঁচে যেত, সেই সময়টা আমি বিদ্যালয়ের পাঠদানের মানোন্নয়ন নিয়ে আরও চিন্তা করতে পারতাম। রাষ্ট্র আমার পরিবারের মৌলিক চাহিদা মেটানোর দায়িত্ব নিক, আমি সুশিক্ষায় শিক্ষিত জনবল গঠনের দায়িত্ব নিব। "

উপরে বর্ণনা করা অল্প কয়েকটা সমস্যা সমাধান করা শিক্ষকদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। সেক্ষেত্রে নিজ সন্তানকে নিজ স্কুলে ভর্তি করালেই যে স্কুলের শিক্ষার মান বেড়ে যাবে এটা ভাবাটা ভুল বলেই মনে হয়।

বস্তুত প্রাথমিকের শিক্ষকদেরকে নিজ সন্তানকে নিজ বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে বাধ্য করাটা মূলত শিক্ষার নিম্নমানের জন্য সরাসরি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঠদানকেই দায়ী করা বোঝায়। এটা ঠিক না।
নিজ স্কুলে নিজ সন্তান পড়ানোর বাধ্যবাধকতা দেয়ার আগে কিছু বিষয় নজরে রাখা দরকারঃ
১) শিক্ষার্থীর বাসস্থান থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব। একবার একটা স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সময়টা বর্ষাকাল ছিল। বৃষ্টির পানির তোড়ে স্কুলে আসার রাস্তাটার একটা অংশ ভেসে গিয়েছিল। আমি আর অপর পরিদর্শক মূল রাস্তা থেকে ধানক্ষেতে নেমে হাঁটু পানি মাড়িয়ে স্কুলে যেয়ে দেখি কোন শিক্ষক নেই। যাদের কয়েকজনের বাসা বিদ্যালয়ের কাছে থাকা সত্ত্বেও আসেনি। এটা তাদের গাফলতি। কিন্তু দুইজন শিক্ষিকা আসতে পারেনি বিদ্যালয়ে আসার রাস্তা ভেংগে যাওয়ার কারণে। তারা শহরে থাকে, স্বাভাবিকভাবে তাদের সন্তানরাও শহরের কোন স্কুলে পড়ে। যেটা বাসা থেকে কাছে। যেখানে পিতা-মাতার পক্ষেই বিদ্যালয়ে যাওয়া সময়ে সময়ে অসম্ভব সেখানে শিক্ষার্থীর পক্ষে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাওয়া সম্ভব হবে কি করে?
বস্তুত শিক্ষকের সন্তান হোক বা অন্য কারো, বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বাসস্থান থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্বটাই মূখ্য হওয়া উচিৎ, পিতা-মাতার এর চাকুরীস্থল নয়। শিক্ষার মানোন্নয়নের নামে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে গিনিপিগ বানানোর কোন মানে হয় না।
২) শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পোস্টিং। প্রাথমিক স্তরের বেশীরভাগই শিক্ষিকা। আর তাদের বেশীরভাগ পরিবারেই তারা ২য় উপার্জনকারী এবং স্বামী প্রথম এবং প্রধান উপার্জনকারী । সাধারণত স্বামীর উপার্জনস্থলেই সন্তান-সন্ততিরা থাকে। আর শিক্ষিকাদের পোস্টিং এর ক্ষেত্রে সকল স্তরে তাদের আবাসস্থলকে বিবেচনা করা হয় না। আমি অন্ততঃ দুইজন শিক্ষিকাকে চিনি যারা তাদের পরিবার থেকে দূরে থেকে শিক্ষকতা করছেন। সন্তানদেরকে ঢাকায় রেখে বেটার স্টাডির সুযোগ দেয়ার জন্য সারাজীবন পরিবার থেকে বহুদূরে থেকে চাকরি করছেন। আবার গতকালেই আমার এক বন্ধুর বড়বোনের কথা জানলাম, যিনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন, চাকরির শেষ বছরে তাকে ৪০০ কিঃমিঃ দূরে উত্তরবংগে পোস্টিং দেয়া হয়েছিল। কারণ জানা নাই। ধারণা করা হয়, বিশেষ কাউকে ঢাকায় আনার জন্য তাকে বদলী করা হয়েছিল দূরে। শেষে অনেক কষ্টে নিজ পূর্বপুরুষের বাড়ি নরসিংদী থেকে রিটায়ারমেন্টে যেতে পেরেছিলেন, যদিও তার বাড়িঘর, সন্তান সন্ততি সব ঢাকার যাত্রাবড়িতে। তার চাকরিজীবনে তাকে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়েছিল।
আমি আসলে বিভিন্ন জেলায় শিক্ষকদের পোস্টিং এর বিপক্ষে নই, কিন্তু তার সন্তানকে তারই স্কুলে পড়তে হবে এমন নির্দেশনার পূর্বে এই সমস্যাটার সমাধান জরুরী।
৩) অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের বিদ্যালয়ে নিজ সন্তানকে পড়ানোর অধিকার সব পিতামাতারই থাকা উচিৎ, সে শিক্ষক হোক বা ডাক্তার। সরকারী বিদ্যালয়ের সব সমস্যা দূর করে যদি সেগুলো ভালো স্কুলে পরিণত হয়, তাহলে এরকম আদেশ জারী করার দরকার নেই, এমনিতেই সবাই ভালো সরকারী বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে চাইবে। এ বিষয়ে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদাহরণ উল্লেখযোগ্য। প্রাথমিকের অন্য সমস্যা থেকে চোখ সরিয়ে শিক্ষকদের পাঠদানকে মূল দোষী সব্যস্ত করে তাদের সন্তানকে সরকারী স্কুলে ভর্তী করানোর বাধ্যবাধকতা আরোপ করে মানোন্নয়ন সম্ভব নয় বলেই মনে হয়।
৪) আমার ছাত্রজীবনে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সন্তানকে নিজ স্কুলে পড়াতে দেখেছি অনেক। আমার ক্লাসমেটও ছিল এমন। একজনকে দেখেছি, যোগ্যতা না থাকার পরও সে ক্লাসে সবসময় ১ রোলের অধিকারী। সব শিক্ষকের স্পেশাল নজরদারীতে থাকে তারা। শিক্ষক-শিক্ষিকার সন্তান নিজ স্কুলে পড়ানো মানে এটা না যে পুরো শ্রেনীর শিক্ষন-শিখন কার্যক্রমের কোন উন্নয়ন সাধন হত। তবে উক্ত শিক্ষার্থীর উন্নতি হতই। ডায়েরীতে তার পড়া লিখে দেয়া, ভালো করে পড়া বুঝিয়ে দেয়া, বিশেষ আদর পাওয়া, পরীক্ষার খাতা দেখার সময় স্পেশাল কেয়ার নেয়া এমনকি পরীক্ষার হলেও বিশেষ সহায়তা পাওয়া একটা নৈমত্তিক এবং সাধারণ ব্যাপার ছিল। এর ফলে কিন্তু শিক্ষার মান বাড়েনি। সবাই একরকম নয় এটাও জানি, আমার এক বন্ধু তার মাতার স্কুলে ক্লাস ওয়ান থেকে এস এস সি পর্যন্ত থাকার পরও পরীক্ষা এবং পরীক্ষার খাতা দেখায় কোন বিশেষ সুবিধা পায়নি। কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সন্তানদের প্রতি স্পেশাল সুবিধা দেয়ার মতো দুর্নীতি দেখেছি। (এটা দুর্নীতিই)।

উপরের লেখাগুলোর মানে এটা না যে আমি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ানোর বিরোধী। আমি নিজে প্রাথমিক স্তরে তিনটা ভিন্ন ভিন্ন বিদ্যালয়ে পড়তে বাধ্য হয়েছিলাম, যার দুইটা সরকারী বিদ্যালয়। ঐ বিদ্যালয় তিনটা আমার সারাজীবনের সুখস্মৃতির অংশ, এবং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার জন্য আমার মধ্যে কোন হীনমন্যতা নাই। তবে এও সত্য যে, উক্ত তিনটা বিদ্যালয়ের মধ্যে বেসরাকারী বিদ্যালয়ে আমি শিখেছি বেশী। সেটা কেজি স্কুল ছিল, কিন্তু তারপরও আমি কিন্ডারগার্ডেনে পড়ার বিরোধী। কেজি স্কুল আমার পছন্দ না হওয়ার মূল কারণগুলো হচ্ছেঃ
বাচ্চার উপর পড়ার অতিরিক্ত চাপ,
সিলেবাস বহির্ভূত বই,
অতিরিক্ত ইংরেজী পড়ানো
ইত্যাদি।

বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজী মিডিয়াম, বাংলা মিডিয়াম নামে প্রাথমিক স্তর পরিচালনা করে, সেখানেও সিলেবাস বহির্ভুত বই পড়ানো হয়, এটা একটা সমস্যা।

এবার আসুন চিন্তা করে দেখি, আমাদের দায়িত্ব কোন স্তরের বা কোন বিদ্যালয়গুলোর উপর থাকা উচিৎ। আসলে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আমাদের মূল বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিৎ না। বরং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষণ-শিখন কার্যক্রম পরিচালনাকারী সকল কে.জি., বেসরকারী প্রাথমিক, সরকারী প্রাথমিক, আরবী মাধ্যম ইত্যাদি সকল ধরণের বিদ্যালয় এবং তার শিক্ষার্থীরাই আমাদের বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিৎ। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্যা দূর করার সাথে সাথে কে.জি. স্কুল এবং বেসরকারী বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর অতিরিক্ত বই চাপিয়ে দেয়া, অতিরিক্ত ইংরেজী পড়ানোর মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রেশার দেয়া বন্ধ করা উচিৎ।

কেজি স্কুলে না পড়িয়ে নিজ বিদ্যালয়ে পড়ানোর বাধ্যবাধকতা আসলে কেজি স্কুল গুলোকে সম্মানিত করেছে, পরোক্ষভাবে তাদেরকে ভালো বলাই হয়েছে। অতিরিক্ত বই, অতিরিক্ত সিলেবাস এবং অতিরিক্ত প্রেশারের কথা বাদ দিলে আসলেও কিন্তু ভালো পড়ায় তারা। তাই না?

ক্লাসরুমে লিমিটেড শিক্ষার্থী, স্পেশাল কেয়ার, স্নেহ-মমতা প্রদান ইত্যাদি স্পেশাল এক্টিভিটিস তাদের অবস্থানকে উপরে উঠিয়ে দিয়েছে।

প্রাথমিক স্তর ছাড়াও একই রকম সমস্যা মাধ্যমিক স্তরেও আছে।
শিক্ষার কোয়ালিটি ডেভেলপ করার জন্য শত শত কোটি টাকা খরছ করে বিভিন্ন প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়। উদাহরণ হিসেবে মাধ্যমিক স্তরের একটা প্রজেক্ট "সেসিপ" এর কথা উল্লেখ করা যায়। শিক্ষার মানোন্নয়ন এর মাধ্যমে দেশকে চেঞ্জ করে ফেলবো এরকম আশা আর প্রতিজ্ঞা নিয়ে সেসিপে জয়েন করেছিলাম। অনার্স-মাস্টার্সে অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগের সুযোগ আর দেশ গঠনের স্বপ্নকে এক করে সেসিপে চাকরিকালীন সময়ে বেশ থ্রীলড ছিলাম। সেসিপে থাকাকালীন সময়ে আমার আরও বেশ কয়েকটা সরকারী প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড এবং উচ্চ বেতনের ব্যাংক জব পেয়েছিলাম, কিন্তু শিক্ষার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারার নেশার কারণে ঐ জবগুলোতে জয়েন করিনি। কিন্তু হঠাৎ টের পেলাম প্রজেক্ট রিনিউ করা হবে না। আন্দোলনে নামতে হলো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শত শত প্রথম শ্রেনী মর্যাদার কর্মকর্তাকে। কিন্তু শেষে লাভ হয়নি। প্রজেক্ট ক্লোজ হয়ে গেল।
তার মানে এটা না যে উক্ত কাজ শেষ হয়ে গেছে। নতুনভাবে নতুন নাম দিয়ে একই কাজের জন্য শত শত কোটি টাকার নতুন প্রজেক্ট স্টার্ট হয়। আগের প্রজেক্টের বেশীরভাগকেই নতুন প্রজেক্টে নেয়া হয় ঠিকই কিন্তু নতুন প্রজেক্ট বিধায় চাকরীরত কর্মকর্তাদের পার্মানেন্ট হওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। নতুন প্রজেক্টে জয়েন করেছিলাম ঠিকই কিন্তু আনসারটেইনিটিতে ভয় পেয়ে গেছিলাম। সেসিপে জয়েন করা শিক্ষায় চার বছরের অনার্স আর এক বছরের মাস্টার্স করা শত শত কর্মকর্তা সুযোগ খুজতে থাকে অপেক্ষাকৃত সারটেইন কোন জবে চলে যাওয়ার। অল্প কয়েকজন ছাড়া বেশীরভাগই চাকরি ছেড়ে দেয়। পরের প্রজেক্টও কন্টিউনিউ করা হয় না। আবার একই কাজের নিমিত্তে শত শত কোটি টাকার নতুন প্রজেক্ট শুরু হয়। কিন্তু প্রজেক্টগুলো সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা করা দক্ষ কর্মীদের রাখতে পারছে না। তাহলে মানোন্নয়নের কান্ডারীদের অসন্তুষ্ট করে কিভাবে উন্নয়নের আশা করা যায়!!
কিছুদিন আগে খবরে পড়লাম শিক্ষার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত শত শত কোটি টাকা দিয়ে বিদ্যালয় গুলোতে লিফট লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে।

এর মানে কি দাঁড়ালো। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য হাজার কোটি টাকাও ব্যয় হয়। কিন্তু মানোন্নয়ন হয় না। শত সহস্র কোটি টাকার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে উন্নয়ন নিশ্চিত হত। শেষে শিক্ষকদের বাধ্য করা হচ্ছে তাদের সন্তানকে নিজ বিদ্যালয়ে পড়ানোর।
আমি আসলে নিজ বিদ্যালয়ে সন্তানকে পড়ানোর আদেশের বিরোধিতাকারী নই। তবে এরকম আদেশের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান হাজারটা সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে শুধু শিক্ষকদের পাঠদান প্রক্রিয়াকে দোষারোপ করার বিরোধী, যেখানে শিক্ষা ক্ষেত্রের অনেক সমস্যার সমাধান করার এখতিয়ারই তাদের নেই।

অফটপিকঃ
কক) বিদ্যালয়গুলোতে কাউন্সিলিং এর জন্য শিক্ষক এবং কমিটি গঠন করা বাধ্যতামূলক করা হোক।
খখ) বিদ্যালয়গুলোতে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল গঠন বাধ্যতামূলক করা হোক।

# #
একবারে লিখেছি, তাই বানান ত্রুটি, সঠিক লাইনে না থাকা, খেই হারিয়ে ফেলা, গ্রামার ত্রুটি, বাংলিশ ইত্যাদিতে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি প্রত্যাশী।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:২৬
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×