বাংলাদেশে নামাজিরও অভাব নেই, ঘুষখোরেরও অভাব নেই
১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আর কিছু থাক বা না থাক। বাংলাদেশে অন্তত দুইটি জিনিসের অভাব নেই। এক : নামাজি এবং দুই : ঘুষখোর। নামাজের সময় মসজিদে মুসল্লির অভাব নেই। যে কোন শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদে দেখা যায় পাঁচ ওয়াক্ত যে কোন নামাজে জামায়াতের সাথে নামাজ পড়তে চাইলে ভীষণ ভীড়। জামায়াত শুরু হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে অযুখানায় ঢুকলে লাইন দিয়ে অযু করতে হয়। অযু শেষে জামায়াত শুরুর একটু আগে মুসল্লির ভীড়ে মসজিদের ভিতর প্রবেশই করা যায় না। ভালো কথা বটে- মসজিদ ভরা মুসল্লি। আর শুক্রুবার জুমা’র নামাজের দিনে একেবারে অন্য রকম। শহরের বহু মসজিদের সামনের হাইরোডগুলোও বন্ধ করে বসতে দেয়া হয় মুসল্লিদের। তিন তলা-চার তলা মসজিদেও মুসল্লিদের দুই রাকাত নামাজ পড়ার জায়গা হয় না। গাড়ি চলাচল করে এঁকে বেঁকে অন্য কোন অলি গলির পথে। এক দিক থেকে ভাবতে ভালো লাগে। মুসলমান প্রধান দেশের মানুষ মসজিদমুখী হবে এটাই কামনা। কিন্তু দুঃখ একটাই এতো মানুষ মসজিদে তবুও খারাপ মানুষের অভাব নেই দেশে। ঘুষখোর দিয়ে দেশটা যেন ঠাসাঠাসি। কোন সরকারী অফিসে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না। এমন কি অনেক ঘুষখোরকে বলতে শোনা যায়- যা দিবেন দেন জামাত ধরতে হবে। অবিশ্বাস্য যে মানুষটি জামায়াতের সাথে নামাজ আদায়ে অভ্যস্ত সেও ঘুষকে নিজের প্রাপ্য মনে করে। কোন লজ্জাও করে না ঘুষ চাইতে। একজন বেনামাজি ঘুষখোরের চেয়ে নামাজি ঘুষখোর অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। কেননা- বেনামাজির খোদা ভীতি সৃষ্টি হলে ঘুষ খাওয়া ছেড়েও দিতে পারে। কিন্তু নামাজির সে সম্ভাবনাটুকুও থাকে না। কারণ- ওর আল্লাহ সম্পর্কে ভয় কেটে গেছে। আর নামাজিরা যে কোন অন্যায়ের সাথে জড়িত হলে তা সমাজে খুব বেশি মারত্নক প্রভাব পড়ে। ধর্ম-কর্ম সম্পর্কে মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারনা সৃষ্টি হয়।
মসজিদে আগত এতো নামাজি মানুষের অর্ধেকও যদি ভালো মানুষ হতো তবে কি আমাদের সমাজটা এতো অস্থির আর মানুষের জন্য কষ্টদায়ক হতো ?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের...
...বাকিটুকু পড়ুন আমি আমার ব্লগিং শুরু করি
প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা...
...বাকিটুকু পড়ুন ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়...
...বাকিটুকু পড়ুন লিখেছেন
নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা
ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।
একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন...
...বাকিটুকু পড়ুনলিখেছেন
করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।
স্বৈরশাসকের বন্দীএই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে...
...বাকিটুকু পড়ুন