বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ছেলে ও মেয়েদেরকে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে। এবং এ ধরনের শিক্ষা ও সামাজিক কালচার বৈবাহিক জীবনকে করছে দুর্বিসহ।
প্রকৃতপক্ষে নারী পুরুষ পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। একটিকে ছাড়া অন্যটি মূল্যহীন। স্ত্রী ছাড়া স্বামীর জীবন মূল্যহীন এবং স্বামী ছাড়া মূল্যহীন স্ত্রীর জীবন। সম্পর্কটি একটি ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। একটি কলমে দুইটি অংশ থাকে। একটি লেখার অংশ যেখানে নিব থাকে এবং অপরটি হলো খাপ। খাপ ছাড়া কলম দোখানে থাকলে তা বিক্রি হবে না। এবং কেই ওই কলম দিয়ে লেখার জন্য ক্রয় করতে ইচ্ছে পোষন করবে না। আবার, নিব অংশ বাদ দিয়ে শুধু খাপ বিক্রি করা সম্ভব নয়। ফলে কলমটি যে উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে অর্থাৎ লেখার কাজে হয়ত কোন দিনই ব্যবহৃত নাও হতে পারে। কেননা খাপ বিহিন কলম কেউ শার্টের পকেটেও রাখতে পারবেন ওটা নিয়ে কেউ নিজের শার্টও নষ্ট করতে চাইবে না। তাই কলম মানেই দুটো অংশের একক অবস্থা। তেমনি দাম্পত্য জীবন মানেই স্বামী স্ত্রীর একক আত্নার এক সমন্বিত অবস্থা। এখানে কে দামী কে অদামী এ প্রশ্ন মূর্খতার নামান্তর। কেউ দামী নয় অথবা দুজনেই দামী। এই দৃষ্টিভঙ্গতে যদি আমরা দেখার চেষ্টা করি তবে দম্পত্য জীবন সুখের না হয়ে পারে না, যদি না আল্লহ্ বিশেষভাবে কারো জীবনে দুঃখ লিখে রাখেন।
ধন্যবাদ প্রিয় পাঠকদের।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




