দাম্পত্য জীবন দিন দিন সংঘাতময় হয়ে উঠছে !
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আজকাল সমাজে দাম্পত্য জীবন যেন দন্দ্বের জীবনে রূপ নিয়েছে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝপড়াতে বড় রকমের ফারাক সৃষ্টি হচ্ছে। স্বামী স্ত্রী যেন পরস্পর পরস্পরের প্রতিদ্বন্দীতে পরিনত হয়েছে। একটা সংসারে দুজন যেন সমান্তরাল ভাবে আলাদা চলতে চায়। বিশেষ করে নারী শ্রেণীর মধ্যে চরম স্বাধীনতা বোধ এবং স্ত্রীর উপর স্বামী অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভূত্ববোধ থেকে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। বিয়ের পর কিছুদিন ভালো কাটলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পরস্পরের মধ্যে জন্ম নিচ্ছে অস্বভাবিক দ্বন্দ্ব। এবং এ দ্বন্দ্ব এক সময় মারাত্নক আকার ধারন করছে এবং শেষ পর্যন্ত রূপ নিচ্চে বিবাহ বিচ্ছেদে। সম্প্রতি একটি দৈনিকে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায় শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশনে গত ১০ বছরের হিসেবে প্রতি বছর বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে করপোরেশনে যারা আবেদনের মধ্যেমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন তাদের ৭৫ শতাংশই স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। এবং এ ধরনের তালাক মূলত: শিক্ষিত নারী পুরুষের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ছেলে ও মেয়েদেরকে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে। এবং এ ধরনের শিক্ষা ও সামাজিক কালচার বৈবাহিক জীবনকে করছে দুর্বিসহ।
প্রকৃতপক্ষে নারী পুরুষ পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। একটিকে ছাড়া অন্যটি মূল্যহীন। স্ত্রী ছাড়া স্বামীর জীবন মূল্যহীন এবং স্বামী ছাড়া মূল্যহীন স্ত্রীর জীবন। সম্পর্কটি একটি ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। একটি কলমে দুইটি অংশ থাকে। একটি লেখার অংশ যেখানে নিব থাকে এবং অপরটি হলো খাপ। খাপ ছাড়া কলম দোখানে থাকলে তা বিক্রি হবে না। এবং কেই ওই কলম দিয়ে লেখার জন্য ক্রয় করতে ইচ্ছে পোষন করবে না। আবার, নিব অংশ বাদ দিয়ে শুধু খাপ বিক্রি করা সম্ভব নয়। ফলে কলমটি যে উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে অর্থাৎ লেখার কাজে হয়ত কোন দিনই ব্যবহৃত নাও হতে পারে। কেননা খাপ বিহিন কলম কেউ শার্টের পকেটেও রাখতে পারবেন ওটা নিয়ে কেউ নিজের শার্টও নষ্ট করতে চাইবে না। তাই কলম মানেই দুটো অংশের একক অবস্থা। তেমনি দাম্পত্য জীবন মানেই স্বামী স্ত্রীর একক আত্নার এক সমন্বিত অবস্থা। এখানে কে দামী কে অদামী এ প্রশ্ন মূর্খতার নামান্তর। কেউ দামী নয় অথবা দুজনেই দামী। এই দৃষ্টিভঙ্গতে যদি আমরা দেখার চেষ্টা করি তবে দম্পত্য জীবন সুখের না হয়ে পারে না, যদি না আল্লহ্ বিশেষভাবে কারো জীবনে দুঃখ লিখে রাখেন।
ধন্যবাদ প্রিয় পাঠকদের।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
২০০১ সালে দেলাম ঘরে আগুন দেওয়া ও মন্দীরে হামলার জঘণ্য কাজ। ২০০৪ আবার দেখলাম ঘরে আগুন, মন্দীরে হামলা, মাজার ভাঙ্গা, পিটিয়ে মানুষ মারার জঘণ্যতম ঘটনা।জাতি এদেরকে মেধাবী মনে...
...বাকিটুকু পড়ুন লিখেছেন
ঢাবিয়ান, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫
সোস্যাল মিডিয়ার এই যুগে সবাই কবি, লেখক, বুদ্ধিজীবি সাজতে চায়। কিন্ত কেউ কোন দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে রাজী নয়। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটা মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে । এই... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
সোনাগাজী, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪
আমি বলেছিলাম যে, এরা ভয়ংকর, এরা জাতিকে ধ্বংস করে দেবে।
ড: ইউনুসের সরকারকে, বিশেষ করে ড: ইউনুসকে এখন খুবই দরকার; উনাকে টিকিয়ে রাখতে হলে, কোমলমতিদের থামাতে হবে; কিভাবে...
...বাকিটুকু পড়ুন এদেশে অনেক কিছুই সম্ভব।বর্তমান এলোমেলো সয়য়ে যা সম্ভব না বলে মনে করতাম তাও সম্ভব হতে দেখেছি।তবে মানুষকে কয়েক ঘন্টা ধরে পিটিয়ে মারাকে ইনিয়েবিনিয়ে জাস্টিফাই করা যায় এটা ভাবিনি।তাও মেরেছে কারা?
একদল... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
সামিয়া, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৪
মৃত্যু এখন এমনি সহজ
ভিডিও করতে করতে;
কথা বলতে বলতে
ভাত খেতে দিতে দিতে;
কনফিউজড করতে করতে
মেরে ফেলা যায়।
যার এই দুনিয়ায় কেউ অবশিষ্ট নাই
এমন একজনরে!
যে মানসিক ভারসাম্যহীন
এমন একজনরে!
যে ভবঘুরে দিক শূণ্য
এমন একজনরে!
যে...
...বাকিটুকু পড়ুন