কারণ কী ?
যে যে দোষে মানুষকে শেষ বয়সে ভিক্ষা করতে হয় :
০১. খুব বেশি বদরাগী হলে।
০২. আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করলে।
০৩. টাকা পয়সা ও সময়ের অপচয় করলে।
০৪. ধার-দেনা করে বিলাসীতা করলে।
০৫. যৌবনকালকে সঠিক পথে ব্যবহার না করলে।
০৬. স্বামী-স্ত্রী পরস্পর অত্যন্ত দুর্ব্যবহার ও কলহ-বিবাদে জড়িয়ে পড়লে।
০৭. সামর্থের চেয়ে বেশি সংখ্যক সন্তান গ্রহন ও সন্তাদের মানুষ করতে না পাড়লে।
০৯. নিজের কাজের চেয়ে অন্যের কাজকে বেশি গুরুত্ব দিলে।
১০. জীবনে বড় রকমের কোন নৈর্সগিক দূর্ঘটনা ঘটলে।
১১. নিজের বা সংসারে কোন প্রিয়জনের দুরারোগ্য ব্যাধি হলে; যার চিকিৎসায় সম্পদ নষ্ট
করতে হয়।
১২. বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম গ্রহন করলে।
এগুলোর মধ্যে যত বেশি সংখ্যক দোষ একজন মানুষের মধ্যে থাকবে, তার শেষ জীবনে ভিক্ষুক হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। ভিক্ষুকের ঘরে জন্ম নেয়া ভিক্ষুক হওয়ার কারণের মধ্যে পড়ে না। কেননা, আল্লাহ্ একজন মানুষকে যদি বিকলাঙ্গ করে পৃথিবীতে না পাঠান তবে ভিক্ষুকের ঘরে জন্ম গ্রহন করলেও তার নিজের সুস্থ দেহের চেয়ে দামী সম্পদ মানুষের আর দ্বিতীয়টি নেই। আর সুস্থ দেহে যখন যৌবন আসে তখন বুঝতে হবে স্রষ্টা তাকে আরো একটি মূল্যবান সম্পদ দান করেছেন। একজন মানুষের যদি একটি পয়সারও বৈসয়িক সম্পদ না থাকে, আর সে যদি নিজের যৌবনের শক্তিকে সঠিক পথে ব্যবহার করে তবে, ভিক্ষুক হয়ে হয়ত তাকে মরতে হবে না।
[উল্লিখিত কারণগুলো নিতান্তই লেখকের ব্যক্তিগত অনুভূতির প্রকাশ মাত্র। এখানে কোন গবেষণার ফলাফল লিপিবদ্ধ করা হয়নি। সুতরাং অনেক সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। আর অন্য কোন পাঠকের মতের সাথে একটি কারণেরও মিল নাও থাকতে পারে। আবার কেউ কেউ প্রতারণামূলক বাণিজ্যিক কারণে ভিক্ষা করে, তারাও এ লেখার বিষয়বস্তু নয়। ]
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০০