somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন মানুষকে শেষ বয়সে কী কী কারণে ভিক্ষা করতে হয় ?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সমাজে যত ভিক্ষুক আছে, তারা কেউ ভিক্ষুক হয়ে জন্মায়নি। আবার সবাই ভিক্ষুকের ঘরেও জন্মায়নি। অনেক ধনী মানুষকেও শেষ জীবনে ভিক্ষা করে খেয়ে মরতে দেখা গেছে।
কারণ কী ?
যে যে দোষে মানুষকে শেষ বয়সে ভিক্ষা করতে হয় :
০১. খুব বেশি বদরাগী হলে।
০২. আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করলে।
০৩. টাকা পয়সা ও সময়ের অপচয় করলে।
০৪. ধার-দেনা করে বিলাসীতা করলে।
০৫. যৌবনকালকে সঠিক পথে ব্যবহার না করলে।
০৬. স্বামী-স্ত্রী পরস্পর অত্যন্ত দুর্ব্যবহার ও কলহ-বিবাদে জড়িয়ে পড়লে।
০৭. সামর্থের চেয়ে বেশি সংখ্যক সন্তান গ্রহন ও সন্তাদের মানুষ করতে না পাড়লে।
০৯. নিজের কাজের চেয়ে অন্যের কাজকে বেশি গুরুত্ব দিলে।
১০. জীবনে বড় রকমের কোন নৈর্সগিক দূর্ঘটনা ঘটলে।
১১. নিজের বা সংসারে কোন প্রিয়জনের দুরারোগ্য ব্যাধি হলে; যার চিকিৎসায় সম্পদ নষ্ট
করতে হয়।
১২. বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম গ্রহন করলে।

এগুলোর মধ্যে যত বেশি সংখ্যক দোষ একজন মানুষের মধ্যে থাকবে, তার শেষ জীবনে ভিক্ষুক হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। ভিক্ষুকের ঘরে জন্ম নেয়া ভিক্ষুক হওয়ার কারণের মধ্যে পড়ে না। কেননা, আল্লাহ্ একজন মানুষকে যদি বিকলাঙ্গ করে পৃথিবীতে না পাঠান তবে ভিক্ষুকের ঘরে জন্ম গ্রহন করলেও তার নিজের সুস্থ দেহের চেয়ে দামী সম্পদ মানুষের আর দ্বিতীয়টি নেই। আর সুস্থ দেহে যখন যৌবন আসে তখন বুঝতে হবে স্রষ্টা তাকে আরো একটি মূল্যবান সম্পদ দান করেছেন। একজন মানুষের যদি একটি পয়সারও বৈসয়িক সম্পদ না থাকে, আর সে যদি নিজের যৌবনের শক্তিকে সঠিক পথে ব্যবহার করে তবে, ভিক্ষুক হয়ে হয়ত তাকে মরতে হবে না।

[উল্লিখিত কারণগুলো নিতান্তই লেখকের ব্যক্তিগত অনুভূতির প্রকাশ মাত্র। এখানে কোন গবেষণার ফলাফল লিপিবদ্ধ করা হয়নি। সুতরাং অনেক সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। আর অন্য কোন পাঠকের মতের সাথে একটি কারণেরও মিল নাও থাকতে পারে। আবার কেউ কেউ প্রতারণামূলক বাণিজ্যিক কারণে ভিক্ষা করে, তারাও এ লেখার বিষয়বস্তু নয়। ]
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০০
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×