আর তারপর প্রতি রাতে, প্রতি ভোরে,
প্রতিটি সন্ধ্যার আলো আধারে,
মাতম উঠে নিঃসঙ্গতার নিঃস্ব কাহারে,
আহাজারি আর আহত শরীরে।
ছুয়ে যাওয়া কিছু মিছে বাতাসে,
সব ভুলে আত্মা আর দেহতে যায় যে মিশে,
অথবা যায় যে অবেলায় অনুভূতি ভেসে,
তবু পূজারীরে চায় কি, দেবী সে।
সেও তো দু হাজার বছর আগে,
আর কয়েকশো মাইল পুবে,
পাহাড় চুড়ো আর আগ্নেয়শিলাতে,
গুহার অভ্যন্তরে রেখে দেয়া মমিতে।
কটিতে কিংবা বাহুতে স্বর্নালংকার,
কন্ঠাতে উঠে মিষ্টি শব্দের ঝংকার,
দু চোখে শত সহস্র বছরে পুরনো কামনার,
পদলেহনে ভেসে চলা রাজকীয় রমনীর অহংকার।
তারপরেও ইতিহাসে একাকীত্বে,
বলা হয়ে উঠে না কোনো লিপিকারের লিপিতে,
মরমের ধ্বনি বর্বরতার চুড়ান্তে,
কি হবে ভ্রমরহীন ফুলেল শোভাতে।