চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৪মে সংগঠিত সংঘর্ষ নিয়ে ১৬মে প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদ দেখে অবাক হয়েছি। আমরা প্রথম আলোর নিয়মিত পাঠক কিন্তু সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ায় একজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকে সংবাদের কতটুকু অতিরঞ্জিত করতে পারে সেদিন দেখেছি। আমরা যারা সাধারণ শিক্ষার্থী তারা কোন ছাত্র সংগঠনের অনৈতিক কর্মকান্ডকে সমর্থন করি না। এবং চবিতে আধিপত্যবাদী ছাত্র সংগঠনের আদিপত্যের অবসান হোক আমরা ও চাই। কিন্তু তা অছাত্রের মাধ্যমে নয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং প্রশাসনের মাধ্যমেহোক। সে দিনের সংঘর্ষে আমার অনেক পরিচিত ছাত্রলীগ কর্মী ছিল যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়। যা ঐ প্রতিনিধির জানা থাকা সত্ত্বেও তিনি সংবাদে উল্লেখ করেনি।।তাছাড়া আমরা অনেক ঘটনার সময় ঐ রিপোর্টারকে ঘটনাস্থলে দেখি না। ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হয়ে এ ধরনের বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করলে সাংবাদিকতার উপর যেমন কালিমা লেপন হবে তেমনি সংবাদপত্র পাঠকের বিশ্বস্ততা হারাবে। একজন সাংবাদিকের কখনোই রাজনৈতিক মতাদর্শ কে সামনে রেখে, প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার মানসিকতা নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা উচিত নয়। প্রথম আলোর বর্তমান শ্লোগান “বদলে যাও বদলে দাও” যা যুব সমাজকে আকৃষ্ঠ করেছে। এবং চলমান শপথ সংগ্রহ অভিযান আরো প্রশংসনীয়। আমরা চাই প্রথম আলো এ অভিযান শুরু করবে নিজেদের দিয়ে। সব সাংবাদিকের একটাই শপথ নেয়া উচিত সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




