আনন্দময় এই ঝলমলে সকালে সবাইকে বাংলা নতুন বর্ষ ১৪২৫ সালের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি!
আবারো এলো ফিরে যেন প্রাণের সেই স্মৃতিময় সময়৷ পুরো বাংলার গ্রামীণ চিত্রগুলো সিনেমার ফ্ল্যাশব্যাকের মতো ফিরে আসছে চোখের পাতায়৷ পিঠা পুলি পায়েস খাওয়া; বৈশাখী মেলা থেকে চিনির সাজ, বাঁশি, খেলনা পুতুল, রান্না-বাড়ার হাঁড়ি পাতিল, দুইকাঠিওয়ালা ঢোলকগাড়ি কেনা আরো কত কি৷
মামা, কাকার সাথে হাত ধরাধরি করে সারা গ্রাম ঘুরে বেড়ানো, ঝিলের ধারে বিকেল বেলায় গানের প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠা, রঙ্গীন রঙ্গীন ঘুড়ি নীলাকাশে উড়িয়ে দিয়ে সূতা কাটার খেলায় আনন্দ করা৷ এই তো ছিল সেই নিপাট আবহমান বাংলার চিরায়ত রূপ৷ মানুষগুলো ছিল মাটির মতো সরল, ভালবাসায় মাখামাখি৷
সব আনন্দ মাটি করারও সংবাদ রয়েছে৷ যে মুহূর্তে আমরা নতুন বছরকে উদযাপন করছি, ঠিক সেই মুহূর্তে সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ছুঁড়ে পশ্চিমা ও তার দোসরেরা মরণখেলায় মজেছে৷ কত কত নিরীহ মানুষ, শিশু, নারী, প্রৌঢ় নির্মমভাবে মারা পড়বেন৷ যুগের পর যুগ সেই রাসায়নিক অস্ত্রের ভয়াবহ পরিণতি বয়ে বেড়াতে হবে সিরিয়াবাসীদের৷
রাজনৈতিক অপখেলাও এদেশে যথানিয়মে উপহাস করছে৷ এমন খুশির সময়েও আলোকিত ভদ্রজনদেরকে থাকতে হয় বেহায়ার ঘেরাটোপে৷ জনপ্রিয় শীর্ষ বিশ্বনেতাদেরকেও অনাহূত অপমানের বোঝা বয়ে বেড়াতে হয়৷
সরকার সবসময়ই চায় উৎসব যেন আনন্দের হয়৷ এ উৎসব কোন হায়েনার রক্তচক্ষুর পরিকল্পনায় ভেস্তে দিতে দেয়া যায় না৷ তাই বিকেল ৫ টার মধ্যে উন্মুক্ত স্থানের সকল আয়োজন সমাপ্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে৷ সবকিছুতেই নিয়ন্ত্রণ থাকা চাই৷ আনন্দেও তাই৷ সরকারকে সাধুবাদ জানাই এমন উদ্যোগে৷ সবাই দারুণভাবে ভদ্রোচিত আচরণে এই আনন্দ উৎযাপন করুক এই প্রত্যাশাই থাকবে৷
আজ দিন শেষে পবিত্র রাত শব-ই মেরাজ৷ এই রাতের পবিত্রতা রক্ষার্থে ধর্মপ্রাণ মানুষগণ মহান আল্লাহ'র এবাদতে মশগুল হবেন -এই প্রত্যাশাও থাকলো৷ শুভ হোক বাংলা নববর্ষ৷
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৫