আব্দুল্লাহ আফফান
কায়রো, মিশর।
মা - বাবা ডাকটি নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ও মধুর ডাক, অনেক আশা আর অপেক্ষা নিয়ে মানুষ বসে থাকে কখন এই ডাক শুনবে বলে, এক সময় এই সন্তান হয়ে উঠে বাবা মার এক মাত্র অবলম্বন। আরবী কবির ভাষায় যুদ্ধ আসে নবু বধুর বেশে আর ফিরে যায় বিধবার শাড়ীতে। নানা সমস্যা ও অপ্রতিকুল অবস্থার অবসানের পর মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পুন্ন হল, এখন জানা যাক এই দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কত সাধারন মানুষ প্রান হারিয়েছে, কত মায়ের কোল খালি করে এলো কাঙ্ক্ষিত এই বিজয়। ২০১১ এর ২৫ ই জানুয়ারীতে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে হাজারের ও বেশী মিশরী সহ বিদেশী নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং এর মাঝে মিশরের বিভিন্ন জেলায় কর্মজীবী বাংলাদেশেরও ৪ জন ছিলেন। তাহরীর স্কয়ারে গত বেশ কিছু দিন ধরে দেখা গেছে যে বেশ কিছু পরিবার প্রেসিডেন্ট নিরবাচন সম্পূর্ণ হয়া উপলক্ষে সেখানে অবস্থান করছেন । আমি সেখানে পেলাম দুই বৃদ্ধ অ বৃদ্ধাকে, তারা হলেন এই দিরঘ সময়ের নিহতদের এক জনের মাম বাবা আর তাদের ছেলেটি হল মিশরের মানসুরা জেলার হুসাম যে আব্বাসিয়ার ঘটনায় নিহত হয়েছেন, তার মা বাবার সাথে কথা বলে তাদের মনভাব জানতে চাওয়া হলে তারা জানান যে তাদের সন্তানকে হারিয়ে তারা আজ পাগল প্রায়, তাই তারা আজ তাহরীর স্কয়ারে এসেছেন যেনো তার সন্তান হত্যার উপযুক্ত বিচার পায় এবং সঠিক দোষীরা যেন পায় যথাযথ শাস্তি, এভাবেই বলছিলেন হুসামের মা আর অন্য দিকে সান্তনা দিচ্ছিলেন হুসামের বৃদ্ধ পিতা, এই বৃদ্ধ বয়স যখন সন্তানই হয়ে থাকে এক মাত্র অবলম্বন তখন সন্তানের এমন করুন মৃত্যু নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে হুসামের পিতা বলেন যে মাতৃভুমির জন্য শাহাদাত বরন করেছেন আমার সন্তান এটাই আমাদের জন্য বড় গর্বের বিষয়, কিন্তু মন যে মানে না তাই চলে এলাম তাহরীরে আর তখন হুসামের মা কেঁদে চলছিলেন আর তার বাবা মাকে সান্তনা দিচ্ছিলেন। অবশেষে উপস্তিত সবার কাছে সন্তানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া চাইলেন। ঐতিহাসিক তাহরীর স্কয়ারে এমনি করে অশ্রু ঝরে পড়ছে হাজারো বাবা মার, আর দীর্ঘ এই বিপ্লবের সুফল নতুন এই সরকারের সাফল্য মণ্ডিত আগামি দেখার জন্য আশায় বুক বাধছে মিশরের জনগন।
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।