তখন ভোরের কাগজে কনট্রিবিউটিং করি। কনট্রিবিউটিং মানে হলো, স্টাফ না, কিন্তু ফিচার পাতায় লেখা জমা দেই, সে লেখা ছাপা হলে মাস শেষে লেখক সম্মানী পাই। সময়টা ১৯৯৬ সাল।
সেই সময়ে ভোরের কাগজ অফিসে মিষ্টি খাওয়ার কথা মনে পড়ে। কারণ কি? কারন সে সময়ের সম্পাদক মতি ভাই হাসিমুখে এসে আমাদের খবর দিলেন পত্রিকাটির সার্কুলেশন তখন এক লাখের মাইলস্টোন পেরিয়েছে। বাংলাদেশে তখন সার্কুলেশন হিসেব করলে ভোরের কাগজ ৪ নম্বর পত্রিকা।
সে ঘটনাটি অসম্ভব রকম আলোড়িত করেছিল আমাকে। স্টাফ না হলেও নিজের পত্রিকা মনে করে ভালো লেগেছিল।
আজ তেমন আরেকটি ঘটনা দেখলাম। এখন কাজ করি বিডিনিউজে। পুরো নাম বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম। এ প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশনা। ফলে এখানে সার্কুলেশনের সংখ্যা হিসেব করার কোনো উপায় নেই। যেটি আছে তা হলো ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন কতোজন করে ভিজিটর পায় সেই হিসাব।
সারা দুনিয়ায় এ হিসাবটি রাখার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান আছে যার নাম অ্যালেক্সা। সেই অ্যালেক্সার হিসাব দেখাচ্ছে বাংলাদেশে আমাদের দেশী (মানে বাংলাদেশ থেকেই পরিচালিত হয় এমন) ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে বিডিনিউজ এখন দৈনিক ভিজিটরের হিসেবে প্রথম অবস্থানে রয়েছে।
এ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট নতুন চেহারায় এসেছে সম্প্রতি। আরো বেশ কিছু ফিচার শীগগিরই যোগ হবে। প্রতিজন কর্মীর খাটুনি বেড়ে গিয়েছে অনেক। আজকের এই ঘটনাটি যেন সে পরিশ্রমের ফল বলেই মনে হচ্ছে।
না, সেই ভোরের কাগজের মতো করে এখন কোনো উৎসব পালন করছে না বিডিনিউজ। তবে আনন্দটি ঠিকই টের পাওয়া যাচ্ছে প্রতিজন কর্মীর চেহারায়।
আমার ব্যক্তিগত অনুমান প্রযুক্তি সচেতন এবং বাংলায় লেখালেখি করেন এমন প্রায় সবাই সামহয্যারে ব্লগিং করেন। সে সচেতন ব্লগারদের অনেকের লেখাতেই, বিশেষ করে চলতি সংবাদ, ব্রেকিং নিউজ বিষয়ক পোস্টে বিডিনিউজের রেফারেন্স পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই আমার মনে হয় এটি বিডিনিউজের প্রতি আপনাদের আস্থার প্রকাশ। সে জন্য সবার আগে আপনাদের সঙ্গেই এ আনন্দ সংবাদটি শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো।
ভালো থাকুন সবাই।
ছোট্ট একটি আনন্দ সংবাদ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২১টি মন্তব্য ২০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।
মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অহমিকা পাগলা
এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
হার জিত চ্যাপ্টার ৩০
তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবনাস্ত
ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে
প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন