somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শান্তিতে নোবেল পৃরষ্কারের ইতিবৃত্ত

৩০ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড বার্নহার্ড নোবেল ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন তার নানা আবিষ্কারের জন্য। তার অন্যতম আবিষ্কার হল ডাইনামাইট। যদিও তিনি যে উদ্দেশ্য নিয়ে এটা আবিষ্কার করেছিলেন তাতো পুরোপুরি ব্যহত হয়ই উল্টো তা ভয়াবহ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। যা থাকে মর্মাহত করে। তাই মৃত্যর আগে তিনি তার সকল আয় (বর্তমান মুদ্রামান হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন ইউ.এস ডলার) উইল করে যান ৫টি ক্ষেত্রে (রসায়ন, পদার্থ, মেডিসিন, সাহিত্য এবং শান্তি) যারা অবদান রাখবে সেসব ব্যক্তিদের পৃরষ্কার দেয়ার জন্য।পরবর্তীতে ২০০১ সালে থেকে অর্থনীতিকেও আরেকটি ক্ষেত্র হিসেবে অন্তভুক্ত করা হয়।

কিভাবে এল শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার: একজন রসায়নবিদ এবং প্রকৌশলী হিসেবে তিনি কেন শান্তিতে পৃরষ্কার প্রদান করার ইচ্ছে তার উইলে লেখে গেছেন তা অনেকের মাঝে প্রশ্ন হিসেবে কাজ করে। যতদূর জানা যায় অস্ট্রি়য়ান শান্তিকর্মী Bertha von Suttner ( তিনি নিজও ১৯০৫ সালে শান্তিতে নোবেল পান) তার বন্ধু আলফ্রেড নোবেলকে শান্তিতে পৃরষ্কার দিতে তাকে প্রভাবিত করেন।

কেন নরওয়ে: তিনি অন্য সকল পৃরষ্কার দেয়ার দায়িত্ব সুইডেনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে দিয়ে গেলেও শান্তি পৃরষ্কার দেয়ার দায়িত্ব নরওয়ের উপর অপর্ন করেন। কিন্তু কেন সুইডেন নয়? যতটুকু জানা যায় তখন সুইডেন এবং নরওয়ে দুইটি দেশ হলেও একই ফেডারশ ভুক্ত ছিল। তাছাড়া নানা দেশ ও জাতির মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নরওয়ে তখন থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তাই তিনি শান্তিতে পুরষ্কার দেয়ার ক্ষেত্রে উপযুক্ত স্হান হিসেবে নরওয়েকে বেছে নেন।

বাছাই প্রক্রিয়া: Parliament of Norway পাঁচজনকে নিয়োগ দান করেন এই পৃরষ্কার প্রদানের জন্য। পরবর্তীতে সেই কমিটি গুরুত্বপূর্ণ নানা ব্যক্তিদের কাছ থেকে যোগ্য নমিনেশনের জন্য নাম আহ্ববান করেন। মনোনয়ন পাওয়ার জন্য নোবেল কমিটি যে মাপকাঠি বিবেচনা করে তা হল:
"In addition to humanitarian efforts and peace movements, the Nobel Peace Prize has been awarded for work in a wide range of fields including advocacy of human rights, mediation of international conflicts, and arms control."
যদিও আমাদের দেশের একজন রাজনৈতিকের ভাষ্য অনুযায়ী শুধু মাত্র 'যুদ্ধ থামানো'কে একমাত্র মাপকাঠি হিসেবে কমিটি বিবেচনা করে না।
সাধারণত ফেব্রুয়ারীর শুরুতে মনোনয়নকারীরা (nominator) নরজিয়ান নবেল কমিটির (the Norwegian Nobel Committee) কাছে নাম জমা দেয়। পরবর্তীতে এই কমিটি দীর্ঘ যাচাই বাচায়ের পর প্রতি বছর ডিসেম্বরের ১০ তারিখে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে। যদিও য়ে সব ব্যক্তি পৃরষ্কার পাওয়ার জন্য নমিনেশন পায় তা নোবেল কমিটি পরবর্তী ৫০ বছর গোপন রাখে।

পৃরষ্কার হিসেবে যা বিজয়ীকে দেয়া হয়: শান্তিতে নোবেল বিজয়ীকে একটি award ceremony এর মাধ্যমে একটি মেডেল, একটি ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট এবং ১০ মিলিয়ন সুডিশ ক্রোনের (১৪ লক্ষ মার্কিন ডলার সমপরিমান) একটি চেক প্রদান করা হয়।

বির্তক: শান্তিতে নোবেল পৃরষ্কার নিয়ে কিছু বির্তক আছে। যার মধ্যে অন্যতম হল মাহাত্না গান্ধীকে এ পুরষ্কার প্রদান না করা। যদি ও ১৯৩৭, ১৯৩৮, ১৯৩৯, ১৯৪৮ এবং ১৯৪৯ সালে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয় এবং ১৯৪৯ সালে পৃরষ্কার বিজয়ী হিসেবে নাম ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তার হঠাৎ মৃত্যতে সেবছর তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে এ পৃরষ্কার অন্য কাউকে দেয়া থেকে বিরত থাকা হয়।

চিজ স্যান্ডউইচ এবং হোয়াইট ওয়াইনের ভূমিকা: আমাদের দেশের একজন স্বঘোষিত জ্ঞানী এ পৃরষ্কার পেতে হলে চিজ স্যান্ডউইচ এবং হোয়াইট ওয়াইনের ভূমিকার কথা বলে তার জ্ঞানের যে গভীরতা প্রকাশ করেছেন তা যে কতটা হাস্যকর তা শান্তিতে নোবেল বিজয়ীদের ( হাতে গুনা কয়েকজন বাদে) নামগুলো দেখলেই বুঝা যায়। বর্তমানে শান্তিতে নোবেল পৃরষ্কারকে এ গ্রহের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরষ্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এ পৃরষ্কার পাওয়ার কারনে কাউকে যদি সম্মানহানী করার চেষ্টা করা হয় তাতে তার সম্মান য়ে বিন্দু পরিমান কমবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না।শুধু বলবো আমাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

তথ্যসূত্র: ১. এখানে ক্লিক করুন
২. এখানে ক্লিক করুন
৩.এখানে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৫২
৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামাস বিজয় উৎসব শুরু করেছে, ইসরায়েল বলছে, "না"

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:০৮



গতকাল অবধি হামাস যুদ্ধবিরতী মেনে নেয়নি; আজ সকালে রাফাতে কয়েকটা বোমা পড়েছে ও মানুষ উত্তর পশ্চিম দিকে পালাচ্ছে। আজকে , জেরুসালেম সময় সন্ধ্যা ৮:০০টার দিকে হামাস ঘোষণা করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×