একটি রাষ্ট্রকে স্বাধীন আমরা তখনই বলতে পারি যখন রাষ্টটি সার্বভৌমত্বের অধিকারী হয়। আর সার্বভৌমত্ব বলতে সেসব রাষ্টকে বুঝায় যেসব রাষ্ট চরম ক্ষমতার অধিকারী,যে রাষ্টের ক্ষমতা অসীম,যেখানে বহি:বিশ্বের অবৈধ হস্তক্ষেপ থাকবে না এবং আর্ন্তজাকিত বাধা-নিষেধ মেনে চলতে হবে।কিন্তু পাকিস্তান, ইয়েমেন, সোমালিয়া, আফগানিস্তানের মত স্বাধীন রাষ্টের উপর নির্বিচারে প্রকাশ্যে ড্রোন হামলার মাধ্যমে সন্ত্রাসী হামলা করে হত্যাকান্ড চালাতে থাকলে আমরা কী ঐসব রাষ্টকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট বলতে পারি?
ড্রোন হামলাকে একটি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গণ্য করার মত বিবেচ্য বিষয়। বিশ্বের কোনো দেশই নিজের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন বিষয়টি পছন্দ করে না।একটি দেশ অন্যায়ভাবে আরেকটি দেশের উপর সুপরিকল্পিতভাবে অর্তকিত হামলা ও বাজে অজুহাতে নিরীহ মানুষ হত্যা করা নিঃসন্দেহে ঐদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের আঘাত করা এবং নির্বিচারে গণহত্যার নামান্তর ছাড়া আর কিছু নয়।আর এই ড্রোন হামলা উল্টো ফল বয়ে আনছে। হামলা যত বাড়ছে, সন্ত্রাসী তার চেয়েও বেশি বাড়ছে। চালকবিহীন বিমান হামলার কারণে বিশ্ব নিরাপত্তা আজ বিপন্ন।যুক্তরাষ্ট্রের চলমান ড্রোন হামলার কারণে বিশ্বের আরো বহু দেশ এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। ড্রোন হামলায় বিপুল সংখ্যক নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে বহু নারী ও শিশুও রয়েছে।
নিঃসন্দেহে ড্রোন হত্যার কাজে ব্যবহার হচ্ছে।ওবামা সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ওতাহ অঙ্গরাষ্ট্রে ড্রোনের মাধ্যমে নানা উপায়ে তথ্য সংগহনের একটি সংগ্রহশালা তৈরী করেছে। একজন মানুষ কখন, কোথায় কি করছে, কিভাবে করছে, কি বলছে তার সমস্ত কিছুই সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। এইভাবে তথ্য সংগ্রহ করে রেখে খুব বেশি একটা লাভ করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র।তবে ড্রোন দিয়ে তথ্য সংগ্রহে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ব্যর্থ হলেও মানুষ খুনে তারা সফল।মার্কিন প্রশাসন এই হত্যাকান্ডে নিজেদের সফল মনে করছে। ড্রোন ব্যবহার করে হত্যাকান্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কৌশলটি বিস্ময়কর। মনে করেন- যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোনের ক্যামেরায় ধরা পড়ল, একদল যুবক কোথাও কিছু একটা করছে। মার্কিন সেনা কর্মকর্তাদের যদি ব্যাপারটা ভীতিকর মনে হয় তাহলে সমাধান সোজা। ড্রোন হামলায় খুন হবেন ওই মানুষগুলো।এইভাবে ড্রোন হামলা চালিয়ে নাগরিক স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এইভাবে খুন-হত্যা থেকে একটা জাতির মানসিকতা বোঝা যায়।
গত কিছু বছরের আমেরিকার ড্রোনের নারকীয় হত্যাকান্ডের পরিসংখ্যান দেখলে আমরা বুঝতে পারি আমেরিকার অভানীয় হত্যাকান্ডের চিত্র যা কখনো কাম্য নয় । ২০০৪ সালের পর থেকে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী ও তালেবানের বিরুদ্ধে উত্তর ওয়াজিরিস্তানসহ আফগান সীমান্তে ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এই ড্রোন হামলাকে পাকিস্তান তাদর সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে মনে করে।
নিউ আমেরিকা ফাউন্ডেশনের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত আড়াই বছরের মধ্যে গত বছরই ১৭টি ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০১২ সালে ৪৮টি এবং ২০১১ সালে ৭৩টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন এইচআরডব্লিউ তার প্রতিবেদনে বলেছে, তারা ইয়েমেনে মার্কিন ড্রোন হামলার যে ছয়টি ঘটনার তদন্ত করেছে, তাতে মোট ৮২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৭ জনই বেসামরিক নাগরিক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ ধরনের হামলার নির্দেশ দিলেও আমেরিকার সব নাগরিক যে ড্রোন হামলাকে সমর্থন করছেন তা নয়। লন্ডনভিত্তিক আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, মার্কিন ড্রোন হামলায় পাকিস্তানে বেআইনি হত্যাকান্ড ঘটেছে। এর মধ্যে কিছু ঘটনা যুদ্ধাপরাধের শামিল। এর জন্য মার্কিন কর্মকর্তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।
এদিকে পৃথকভাবে মধ্যপ্রাচ্যের ইয়েমেনে মার্কিন ড্রোন হামলার ছয়টি ঘটনা তদন্ত করেছে আরেক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। সংগঠনটি বলেছে, দুটি ঘটনায় নির্বিচারে বেসামরিক লোকদের হত্যা করা হয়েছে, যা আর্ন্তজাতিক আইনের লঙ্ঘন। মানবাধিকার সংগঠনটি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তার শিরোনাম, ‘উইল আই বি নেক্সট? ইউএস ড্রোন স্টাইকস ইন পাকিস্তান’ (আমিই কি পরবর্তী শিকার? পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলার)। প্রতিবেদনটিতে ড্রোন হামলার শিকার বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যাঁরা নিরস্ত্র ছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে ড্রোন হামলায় নিহত হন ৬৮ বছর বয়সী মামনা বিবি। ঘটনার সময় তিনি নাতিদের নিয়ে খেত থেকে সবজি তুলছিলেন। নিরস্ত্র ও নিরাপরাধ ব্যক্তিদের হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে আহ্বান জানানো হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক সমালোচনা সত্ত্বেও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটির দাবি আর্ন্তজাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদা ও তালেবানের অনুসারীদের বিরূদ্ধে যুদ্ধে তাদের সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র হচ্ছে ড্রোন। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে তারা এটি অব্যাহত রাখবে। সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ সম্পর্কে সাম্প্রতিক বির্তকের সময় জাতিসংঘ সনদ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। যেখানে বলা আছে, ‘কেবলমাত্র একটি দেশ বহিঃশত্রুর আক্রমণের শিকার হলে আতœরক্ষা করাটা তার অধিকার হয়ে দাঁড়ায় এবং শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সে আগ্রাসী দেশের ওপর হামলা চালাতে পারে’। এ ছাড়া, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদিত হলেই কেবল অন্য দেশের ওপর হামলা চালানোর অধিকার তৈরি হয়।
কিন্তু এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান, ইয়েমেন, সোমালিয়া আফগানিস্তান, ও ফিলিস্তিন অঞ্চলে বেসামরিক নিরীহ জনগণের উপর বছরে পর বছর ধরে ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে।এধরনের সামরিক শক্তি প্রয়োগ ও অযাচিত বল প্রয়োগের মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক সম্পদায়ের কাছে ঘৃনার উদ্রেকের বিষয়বস্তু হয়ে দাড়িয়েছে। এই আগ্রাসন আর্ন্তজাতিক আইন ও নৈতিকতার পরপন্থী। যেমন আমরা যদি লক্ষ করি যে, জাতিসংগের সনদে ২(৪) বলা আছে, ‘আর্ন্তজাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্য কোন রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের ভীতি প্রদর্শন থেকে নিবৃত্ত থাকবে’। ১৯৮০ সালের আর্ন্তজাতিক আইন কমিশন কর্তৃক পেশকৃত উৎধভঃ অৎঃরপষবং ড়হ ঝঃধঃব জবংঢ়ড়হংরনরষরঃু এর অনুচ্ছেদ এ বলা আছে, ‘যে রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধিত হয়েছে সে রাষ্ট্রের যদি পূর্ব সম্মতি থাকে তাহলে অপর রাষ্ট্র অন্যায়কারী বলে বিবেচিত হবে না’। যেমন সৌদি আরবের সম্মতিক্রমে সেখানে আমেরিকার সেনাবাহিনীর অবস্থান। অবশ্যই সৌদি আরব আমেরিকা মাগনা দালাল বলে পরিচিত । কিন্তু পাকিস্থান, ইয়েমেন কিংবা আফগানিস্থান কোন দেশই তার দেশের উপর হামলার অনুমতি দেন নাই কিংবা সন্ত্রাস নিমুর্লের কথা বলেন নাই। আমেরিকা তার নিজস্ব উদ্যেগে এসব সন্ত্রাসী কার্যকালাপ করে থাকে। কোন দেশকে আমেরিকা পরোয়া করে না। আর্ন্তজাতিক আইন হর-হামেশায় ভঙ্গ করে যাচ্ছেই । আমারা যদি আর্ন্তজাতিক আকাশ আইন লক্ষ্য করি যে যেখানে বলা আছে,‘ আকাশ স্বাধীনতা বলতে বুঝায় একদেশ কর্তৃক আরেক দেশের আকাশ সীমা ব্যবহার করা’। তবে এ স্বাধীনতা শুধু বেসামরিক কাজে ব্যহার করা যাবে কোন সামরিক কাজে ব্যবহার কর যাবে না। কিন্তু আমেরিকা প্রতিনিয়তই অন্য রাষ্ট্রের উপর আর্ন্তজাতিক আইন লঙ্ঘন করে সামরিক কাজে আকাশ সীমা ব্যবহার করছে এবং খর্ব করছে অন্য দেশের স্বাধীনতা ও সার্বোভৌমত্ব। ১৯৬০ সালের ইউ-টু-কেস এ বলা আছ,ে‘আকাশ সীমানায় সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখা যে কোন দেশের অধিকার এবং বিশেষত একটি সামরিক বিমানের অনুপ্রবেশের বিপরীতে রাষ্ট্র যে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারে । সুতরাং কোন অবকাশ ছাড়াই বলা যায় যে আমেরিকার ড্রোন হামলা আর্ন্তজাতিক আইন লঙ্ঘন করছে,যাহাকে আর্ন্তজাতিক সন্ত্রাসবাদ বললে ভুল না হওয়ারই কথা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ড্রোন হামলার ব্যাপারে স্বচ্ছতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি।খুব শিগগির পাকিসানের মাটিতে চালকবিহীন মার্কিন ড্রোন হামলা বন্ধ হবে বলে আশা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। পাকিস্তান সফরকালে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেন. ড্রোন কার্যক্রম গোপনে চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দায়মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। গত ২৩ মে ওবামা এক ভাষণে বলেছিলেন, ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের ফলে ‘আফগান যুদ্ধ মঞ্চে’ ড্রোন হামলার প্রয়োজনীয়তা কমবে। তবে ড্রোন হামলা পুরোপুরি বন্ধের বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
ড্রোন হামলা বন্ধের দাবিতে পাকিস্তান খাইবার পাখতুন খা প্রদেশে ন্যাটোর রসদ পরিবহনের পথ অবরোধ করেছে তেহরিক-ই- ইনসাফ দলের সমর্থকরা। এই রুট দিয়েই ন্যাটো সৈনিকদের ৭০ শতাংশ রসদ আফগানিস্তান নিয়ে যাওয়া হয়। মার্কিন ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে লাহোরেও। ড্রোন হামলাকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বলে অভিযোগ করে এ হামলা বন্ধ না হলে সবগুলো ন্যাটোর রুট বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
জঙ্গি দল লস্কর ই তৈয়বা ও ইসলামী সংগঠন জামাত উদ দাওয়ার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ মোহাম্মদ সাইদের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভে অংশ নেয় কয়েকশো মানুষ। কিন্তু তাতে আমেরিকার মাথা ব্যথা নেই বরং অন্যের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে যার কার্যকরী ঔষুধ শুধু আমেরিকাই দিতে পারে।
এ প্রসঙ্গে স্যাটেলাইট নামের কানাডার একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নোয়াম চমস্কি বলেন, ‘কাকে খুন করা হবে, কি হবে না তা নিয়ে একটি তালিকাও নির্ধারণ করে তারা। এইভাবে খুনের তালিকা প্রণয়নে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেন ওবামা। তাই ড্রোন হামলা করে কাউকে খুন করা হলে ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার মত রাষ্ট্রনায়কদের বিচারের আওতায় আনা যেতে পারে।’
আর্ন্তজাতিক সামরিক রাজনীতিতে ড্রোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তেও ড্রোন নিয়ে বিতর্ক সা¤প্রতিক সময়ে তুঙ্গে উঠেছে। সামরিক উচ্চাকাঙ্খা নিয়ে গোপনে ৫০০ ড্রোনের বিশাল বহর গড়ে তুলেছে ব্রিটেন। ২০৩০ সালের মধ্যে রাজকীয় ব্রিটিশ বিমানবাহিনী যাতে বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী দেশ হতে পারে এ লক্ষ্য নিয়েই ব্রিটেন এসব ড্রোনের বহর গড়ে তুলছে।
পরিশেষে বলা যায় যে ড্রোন হামলা যেমন একটি নিন্দাজনক কাজ ঠিক এ সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করার জন্য আশু পদক্ষেপ গ্রহন করা আবশ্যক।আজ পাকিস্তান , আফগানিস্তানের মত রাষ্টের উপর হামলা হচ্ছে কাল যে বাংলাদেশে তালেবান জঙ্গীর নাম করে হামলা করবে না তার কতটুকু নিশ্চয়তা আছে? সুতারং আমেরিকার এ অন্যায় আগ্রসনের বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। আর তার জন্য বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংগঠনগুলোর পাশাপাশি জাতিসংঘের মূখ্য ভূমিকা একান্ত প্রয়োজন।
একতরফা ড্রোন হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করে বিষয়টিকে আর্ন্তজাতিক আইনের আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। অন্য দেশের অভ্যান্তরে অনিয়ন্ত্রিত ড্রোন হামলা গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান মুন। কিন্তু জাতিসংঘ ড্রোন হামলা সমালোচনা করলেও মুখের বুলিতে কথাগুলো ফ্রেমেই বন্দি হয়ে থাকে যার কোন কার্যকরী ভূমিকা নেই। শুধু নিতান্ত ফটোগ্রাফির মতো ফ্রেমেই মানায়।