প্রায়ই ঈদের সময় ভূমিকম্প হয়ে আমাদের সাবধান করে দিচ্ছে। এবার ও যখন ভূমিকম্প হচ্ছিল, টের পাচ্ছিলাম। ভয় পাচ্ছিলাম, কী হতে যাচ্ছে- তা ভেবে। আলহামদুলিল্লাহ যে ভয়াবহ কিছু হয়নি। তবে ঐ মূহুর্তে আমার দৃঢ়ভাবে মনে হচ্ছিল যে, এই ঈদের সময় নিশ্চইয়ই আল্লাহ আমাদের এভাবে বিপর্যস্ত করবেন না। কিন্তু তিনি ঠিক ই আমাদের সাবধান করে দিচ্ছেন, যেন রোজার দিনের সংযম সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে আমরা ইহকাল নিয়েই অতি ব্যস্ত হয়ে না পরি।
ঈদের একদিন পর আমাদের বাসায় আমাদের একজন আত্তীয় সপরিবারে বেড়াতে এসেছেন। কথায় কথায় আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, “চাচা, ভূমিকম্প টের পেয়েছিলেন”? তিনি বললেন-
“না্, আমি টের পাইনি। তবে আমার মনে হয় কী- আল্লাহ আমাদের কে এভাবে ভুমিকম্প দিয়ে ধ্বংস্ব করে দেবেন না। কারন- যেসব জাতি কোন না কোন বড় প্রাকৃতিক দূর্যোগে ধ্বংস্ব হয়ে গিয়েছিল, সেসব জাতির বেশিরভাগ মানূষই ছিল সীমালঙ্ঘনকারি। কিন্তু আমাদের দেশে এখনও মূমিন বান্দা আছে। অসৎ লোক যেমন আছে, তেমনি সৎ মানুষও আছে অনেক। অনেক মানুষ পুরোপুরি না পারলেও, যতটুকু সম্ভব- সৎ থাকার চেষ্টা করে, আল্লাহ কে ভয় করে। এমন মানূষের সঙ্খ্যা যতদিন বেশি থাকবে, ততদিন নিশ্চয়ই আল্লাহ এভাবে গজব ফেলবেন না।”
আলহামদুলিল্লাহ, কথাগুলো শুনে আমার খুব ভাল লাগছিলো। তবুও ভয় পাই একটা হাদিস এর কথা মনে করে যেটার মূল কথা হল- কাউকে মন্দ/ অন্যায় কাজ করতে দেখলে যে সাধ্যমত বাধা প্রদান না করে, তাকেও ঐ অন্যায়ের ফলে সৃষ্ট গজবে পতিত হতে হয়। এর সত্যতার একটা উদাহরণ হল নিমতলীতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নীকাণ্ড।
মাঝে মাঝে আরেকটা ব্যাপার ভেবে আমার নিজেরই খুব অবাক লাগে।ভূমিকম্প বা যেকোন ধরনের বিপদকে আমি যতটুকু ভয় করি, পরকালের শাস্তি কে তো আরও বেশি ভয় পাওয়া উচিত। অথচ আমি তা কেন করি না?
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




