আমাদের মধ্যে একটা ট্রেন্ড আছে তা হল - কয়েকজন যদি খুব কনফিডেন্টলি কিছু একটা করতে শুরু করে.....খুব দ্রুতই তা অন্যান্য মানুষগুলো ফলো করতে শুরু করে; কি করা হচ্ছে, কেন করা হচ্ছে, এটা করা আদৌ যৌক্তিক/ অর্থপূর্ণ কিনা, এর পরিনাম টা ই বা শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়াবে................ইত্যাদি ভাবার কারো কোন অবকাশ নেই। এভাবে যখন ব্যপারটা অনেকের মধ্যেই প্রচলিত হয়ে যায়, তখন নিজের অজান্তেই বাকিরাও তা গ্রহন করে ফেলে।
হয়তো কেউ কেউ ভাবি যে, "আমরা যা করছি তা কেন করছি?আমরা কি ঠিক কাজ করছি?" যদি উত্তর পাই যে "ঠিক", তাহলে একটা প্রশান্তি পাই। যদি মনে হয় যে "না, পুরোপুরি ঠিক না / অর্থহীন/ কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অনেকের জন্য কষ্টকর বা ক্ষতিকর ও বটে"- তখন? তখন মনে একটা চাপা অশান্তি আসলেও ...... যেহেতু সমাজের সকল সামাজিক জীবের মধ্যে এটাই প্রচলিত সেহেতু আমরাও ব্যাপারটায় অভ্যস্ত হয়ে পড়তে বাধ্য হই।
এতোগুলো কথা বলার পিছনে আজকে আমার একটা উদ্দ্যেশ্য আছে। তা হল- আমরা বিজয় দিবস বা এধরনের বিশেষ বিশেষ দিন গুলিতে কি করি/ কেন করি তা নিয়ে একটু ভাবা। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস, বছর ঘুরে আমাদের খুব কাছে চলে এসেছে আবার। ছোটবেলায় দেখতাম সবাই পতাকা দিয়ে চারদিক সাজিয়ে তুলতো, বিজয়ের আনন্দ কী তা ঐ মুহূর্তে উপলব্ধী না করতে পারলেও - একধরনের আনন্দ আমিও পেতাম।
এখন দেখি শুধু পতাকা দিয়ে চারদিক সাজালেই হবে না, নিজেকেও সাজতে হবে জাতীয় পতাকার রং-এ রঙ্গীন বেশভূষায়! জামাকাপড় কেনার প্রতি আমার আগ্রহ তুলনামূলক কম। তার পরও নতুন জামা পরে বাইরে ঘুরতে যাওয়া নিশ্চয়ই মজার ব্যাপার! কিন্তু ছুটির দিনে ঘরে বসে অলস সময় কাটানোর মায়ায় এসব কখনো করা হয়নি।বিজয় দিবসের মত একটা বিশেষ দিন কে আমি অন্যদের মত করে উদযাপন করিনি এর আগে, কিন্তু তার মানে কি এই দাড়ালো যে- আমি বিজয় দিবস উদযাপন করতে আগ্রহী নই বা আমার দেশকে আমি ভালোবাসি না?
প্রায়ই আমি ভাবতাম যে আমি যদি আমার চারপাশের অসহায় মানুষদের পাশে দাড়াতে পারতাম! ভাবা পর্যন্তই...............কখনো তেমন কিছু করা হয়নি কারো জন্য।কারন- "দশের লাঠি একের বোঝা, জোট বাধিলে সবই সোজ"। এখন আমি তাই জোট বেধেছি " কমিউনিটি অ্যাকশন " এর সাথে। যার উদ্ভব হয়েছে "Even a smile is charity" - এই বিশ্বাস থেকে। এর মেম্বার দের প্রত্যেকে যার যার সুযোগ সুবিধা মত যে কোন vacation বা নিজের free time এ কিছু না কিছু কাজ করার চেষ্টা করে, এমন কিছু- যা অন্যের মুখে হাসি ফোটায় আর তা দেখে নিজের মুখেও হাসি ফুটে ওঠে নিজের অজান্তেই
মানুষের জন্য কিছু করতে হলে কোন বিশেষ দিবসের প্রয়োজন নেই- তা ঠিক। তবে বিজয় দিবসে যদি আমরা সাজ সজ্জা/ বেশভূষা কে প্রাধান্য না দিয়ে কারও উপকারার্থে কিছু করি- তা তে তো কোন ক্ষতি নেই........তাই না? গতবার তাই কমিউনিটি অ্যাকশন এবং 1di কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল, যেমন- বিনামূল্যে-- রক্ত দান কর্মসূচি, রক্তচাপ মাপা, ঔষুধ বিতরন, শীতবস্ত্র বিতরন, এতিমখানার শিশুদের জন্য লাইব্রেরী স্থাপন ইত্যাদি(বিস্তারিত )। এতে পাশে এসে দাড়িয়েছিল প্রায় ৪৩ টি অর্গানাইজেশন, যেমন- Labaid Group, Institute of Business Administration (IBA) ইত্যাদি ছাড়াও অংশগ্রহন করেছিল সিলেটের একটি রিকশা গ্যারেজের রিকশা চালকেরা -যাদের সাহায্যে ১০০ এরও বেশি জন কে ফ্রি ঔষুধ বিতরন করা সম্ভব হয়। (বিস্তারিত )
এবার আশা করা যাচ্ছে যে এধরনের আরেকটু বেশি কিছু কাজ করা সম্ভব হবে (বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন )
কেননা এবার CommunityAction, 1di এবং BYEI একত্রে আরো নতুন নতুন পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছে । গতবারের মত এবারো রয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি বা অর্গানাইজেশন এর এ কাজে অংশগ্রহনের সুযোগ। আপনিও চাইলে সাহায্য করতে পারেন এ ধরনের কাজে, voluntary work, donation, new or better idea/ information দিয়ে। ঘরে বসেই আপনি অংশ নিতে পারেন! কোরতে পারেন সেবার মাধ্যমে বিজয়ের প্রকাশ (বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)
বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা আমাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করবো, এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে?
এছাড়াও দেখুন এ সম্পর্কিত অন্যান্য পোস্টঃ
সোহায়লা রিদয়ানের ব্লগ
বোহেমিয়ানের ব্লগ
নাবিলা ইদ্রিসের ব্লগ
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




