দেখিয়া শুনিয়া যাহা বুঝিতে পাইলাম, আমরা নিয়মে গা ভাসাইয়া দিতে খুব দক্ষতার সহিত শিখিয়া গিয়াছি । যদিও সম্প্রতি ছাত্রসকল ভ্যাটের বোঝা হইতে মুক্তি লাভ করিয়াছে সফল আন্দোলন দ্বারা, তবে গণপরিবহনে যে ভ্যাট আরোপ হইয়াছে এবং যে হারে হইয়াছে তাহা যেন ছাত্রসকলের সিলেবাস ভুক্ত নহে । পূর্বে মিরপুর হইতে পল্টন অবধি ছাত্র ভারা ছিলো ১০ টাকা মাত্র আর এখন বর্ধিত ভারা ১৯ টাকা তাহার সহিত স্বেচ্ছাচারিতা যুক্ত হইয়া ২৫ টাকা নেওয়া হইতেছে, জানালার গ্লাসে সাফ সাফ লেখা, ’হাস পাস নাই’ যদিও যে সকল পরিবহণ পূর্বে ছিলো মহা লোকাল, এখন সাজিয়াছে মহাদরবেশ । এরূপ উদাহরণ প্রতিটি গনপথে ।
.....................
.....................
প্রসঙ্গত, সরকার কর্তৃক-অঘোষিত বানী হইলো.. ‘ছাত্রসকল, পালাইবি কোথায় ?
যাহা চাই, তাহা ঘুরাইয়া পেচাইয়া হইলেও তাহাই চাই’
.........
প্রশ্ন উঠিতে পারে এই ক্ষেত্রে সরকারের হস্ত কোথায় ?
৳৳ তেলের মূল্য হ্রাস পাইয়াছে অথচ স্বদেশে তাহা স্থিতিশীল, মনো বেদনা তবুও লাঘব হইতো যদি তাহা বর্ধিত প্রাপ্তি গ্যাসের মূল্যের সহিত সমন্বয় করিয়া জনজীবনে আর চাপাইয়া না দিত ।
৳৳ তাহারা পরিবহন সমিতির এরূপ স্বেচ্ছাচারিতায় হস্তক্ষেপে করিতে পারিত
৳৳ তাহারা ছাত্রদের বর্ধিত ভারা হইতে মুক্ত রাখিত পারিত
৳৳ লোকাল বাস সমূহ সিটিং করিবার ভণিতায় শত শত গণসাধারণ ভুক্ত ছাত্র সাধারণ, পথে দাঁড়াইয়া থাকে সকাল এবং সায়াহ্নে, সে সকলের কথা বিবেচনা করিয়া বি. আর টি. সি চাহিদার পরিপূরক স্বরূপ ছাড়িতে পারিত ।
শেষ অবধি প্রশ্ন এই থাকে যে...সরকার কি অপেক্ষায় রত আন্দোলনের, অথবা ছাত্ররা কি অপেক্ষায় রত প্রকাশ্যে ভ্যাট আরোপের ?