বিশ্বাসঘাতক ও একজন ৪ তারকা জেনারেল
বাংলাদেশে “বিশ্বাসঘাতক” শব্দটা যেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরনো হয় না। প্রজন্ম বদলায়, সরকার বদলায়, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতার গল্পটা অদ্ভুতভাবে বারবার ফিরে আসে। ইতিহাসের এই পুনরাবৃত্তি মাঝে মাঝে মনে করিয়ে দেয়—আমরা বোধহয় ভিলেন তৈরিতে বেশ দক্ষ।
বর্তমানে আলোচনায় রয়েছেন একজন ৪ তারকা জেনারেল। এ দেশের নিরাপত্তার সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে থাকলেও আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, তাকে ঘিরেই এখন সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠছে, আবতির্ত হচ্ছে দেশের সবকিছু কেউ বলছেন তিনি নিরপেক্ষ, কেউ বলছেন তিনি নির্লিপ্ত, আর অনেকে আবার ফিসফিস করে বলছেন—আসলে তিনি “খুব বেশি সচেতন", এপ্রশ্নগুলো উঠছে তার ইদানিংকালের দৌড়-ঝাপের কারণে।
বাংলাদেশে দায়িত্বে থাকা সেনাপ্রধানকে নিয়ে এমন গুঞ্জন নতুন কিছু নয়। তবে জনগণ যখন আস্থা হারাতে শুরু করে, তখন বিষয়টা শুধু গুঞ্জনেই সীমাবদ্ধ থাকে না। তখন তা রূপ নেয় অভিযোগে, হতাশায়, আর কখনো কখনো অভিশাপেও।, হাত-পা গজাতে থাকে চারিদিকে
আমাদের ইতিহাসে যেসব মানুষ বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন, তাদের নাম আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারণ করা যায় না। বরং তারা রয়ে গেছেন ঘৃণার উদাহরণ হিসেবে। তাই আজকের এই ৪ তারকা জেনারেলের জন্যও প্রশ্নটা একই রকম—তিনি কি ইতিহাসে সম্মানের আসনে বসবেন, নাকি ধীরে ধীরে ভিলেনদের তালিকায় ঠাঁই নেবেন?
সময় কিন্তু খুব বেশি উদার নয়। যারা দেশের সঙ্গে খেলা করেছেন, ইতিহাস তাদের শেষমেশ ক্ষমা করেনি। তাই এখনো সময় আছে—চাইলে তিনি দেশপ্রেমিকের জায়গায় থাকতে পারেন। তবে যদি ভুল পথ বেছে নেন, তাহলে তার জন্য জনগণের একটাই রায় অপেক্ষা করছে—“বিশ্বাসঘাতক” শব্দটি, যা হয়তো তার নামের সঙ্গেই চিরদিন উচ্চারিত হবে।বেছে নেওয়ার দায়িত্ব তাঁর। দেখি তিনি কি করেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



