জুলাইয়ের তথাকথিত আন্দোলনের পুরোটা ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন
লালবদর নীলা ইস্রাফিল এখন বলছেন ও স্বীকার করছেন যে—
জুলাইয়ের সবকিছুই ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন।
মুগ্ধের হত্যাও সেই ডিজাইনের অংশ।
অভিনন্দন।
এই বোধোদয় পেতে দেড় বছর লাগলো?
আমরা তো জুলাই–আগস্ট থেকেই বলছি—
এটা আন্দোলন ছিল না, এটা ছিল প্রোডাকশন। স্ক্রিপ্ট, কাস্টিং, ভিজ্যুয়াল, বাজেট—সব সরবরাহ ছিল ওদের দেয়া।
মুগ্ধ পানি দিচ্ছিল। -খেয়াল করেছেন—মরার আগেই তাকে ভাইরাল করা হয়েছিল?
কারণ, অচেনা লাশ দিয়ে বিপ্লব হয় না।
আগে মুখ বানাতে হয়, তারপর লাশ।
পানি বিতরণের ভিডিও বড় টাকায় বুস্ট। -আইকন বানানোর ট্রেলার। -এরপর হত্যা—মেইন শো।
আবু সাইদের দুই হাত দুই পা ছড়িয়ে দাঁড়ানো -এই ভঙ্গিটা কি হঠাৎ আবিষ্কার? -নাকি আগেই ঠিক করা ছিল— -“এই ছবিটাই পোস্টার হবে”?
আইকন বানাতে হলে একটা চেনা ভিজ্যুয়াল লাগে। -এই ভিজ্যুয়াল কেউ একজন ঠিক করেছিল।
রাফির কথা বলি। -আন্দোলনের আগে গ্রামে। -হঠাৎ ‘বিশেষ ফোন’—দৌড়ে চট্টগ্রাম। -কাকতাল নাকি কাস্টিং কল?
দিনের পর দিন একই ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে উস্কানি। -৩–৪ দিন একটানা। -পুলিশ মারেনি। -কারণ? -স্ক্রিপ্ট তখনো এক্টিভ হয়নি।
একদিন ধাক্কা। -কাঁধে তুলে মিডিয়া নাটক। -কিন্তু কাজ হলো না।
তখন প্রশ্ন— রাফিকেও কি ফেলা দরকার ছিল? -নাকি সে জানতই না, -সে কেবল ভঙ্গির অংশ?
সাম্প্রতিক ভিডিওতে রাফির গলা শুকায়। -কথা আটকে যায়। -স্বেচ্ছায় মরতে চাওয়া মানুষের ভয় এমন হয়? -নাকি টাকার অংক বাড়লে বাঁচার ইচ্ছাও বাড়ে?
আবু সাইদও একই ভঙ্গি রিহার্সাল দিয়েছে -আগের দিন, পরের দিন।
যেন কেউ শিখিয়ে দিয়েছে -“এইভাবেই দাঁড়াবে।”
আর সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার -মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে -কলকাতা থেকে আইকনিক স্কেচ ভাইরাল।
কয়েক ঘণ্টায় শিল্পী ঠিক ভঙ্গি বুঝে যায়? -নাকি ভঙ্গিটা আগেই জানানো ছিল?
শোনা যায়, এই ‘ডিজাইনের’ বাজেটের অংশ -কলকাতার বাম ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও গেছে।
তাহলে প্রশ্ন করাই কি অপরাধ -যিনি স্কেচ এঁকলেন, -তিনি কি কেবল শিল্পী? -নাকি তিনি জানতেন -আজ কোন লাশটা আইকন হবে?
এখন দেড় বছর পর এসে -“সবই মেটিকিউলাস ডিজাইন ছিল” -বলা হচ্ছে।
প্রশ্ন একটাই—এতদিন চুপ ছিলেন কেন? তখন কি ডিজাইনের অংশ ছিলেন, নাকি এখন দায়মুক্তির?
চুপ থাকাই কিন্তু অনেক সময় -সবচেয়ে বড় স্বীকারোক্তি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


