এই কবিতাটি CSE FESTIVAL 2008 এর ম্যাগাজিন এ প্রকাশিত হয়েছিল | লেখার কিছু পাচ্ছি না তাই এটাই দিয়ে দিলাম |
একান্ত একাচরী
মনে নেই প্রথম যেদিন কেঁদেছিলাম,
মনে নেই প্রথম হাসির স্মৃতি।
ভুলে গেছি প্রথম স্বপ্নের কথা,
ভুলে গেছি শেষ লেখা কবিতা।
আর কিছুক্ষণ পর মন্দিরের ঘন্টা বাঁজবে,
গীর্জার খোপ থেকে বের হয়ে আসবে
ভয়ংকর সুন্দর ভ্যাম্পায়ার গুলো
আর মাত্র কিছুক্ষণ পর মাটি ভেদ করে,
আবির্ভূত হবে ডাইনোসর গুলান
তাদের পুর্বপুরুষের অপমানের বদলা নিতে।
মাত্র কিছুক্ষণ পর পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে
শেষ সবুজের চিহ্ন........................
আর কিছুক্ষণ আছে তারপর নারী আর শিশুর
অভিশাপে বাতাস ভারী হবে – সেই
অভিশাপ বের হবে ফিকে হলুদ হয়ে আর
ঢুকবে রক্ত লাল হয়ে । ব্যাস এটাই
দুনিয়ার শেষ রক্ত বিন্দু , শেষ লাল।
রক্তের জন্য হাহাকার বয়ে যাবে এদিক ওদিক
ঠিক তখনি মধ্য আকাশ থেকে এক দল সুকন্ঠ
গাতক গাতিকার একসাথে কর্কশতর কন্ঠে কোরাস গাইবে-
“আজ লাইনে দাঁড়া, ভাগ্যহারা
বেঁচব দামে কিনবি খামে
লাল রঙের রক্তহারা ।”
তাদের এই কোরাসে পৃথিবীর অহংকারী সাংগীতরাও
সুর মেলাবে-
“আজ লাগুক আগুন, নাইবা ফাগুন
আজ পুড়ুক অনল ,সবুজ শ্যামল।”
এই তো শেষ হল বলে, এই তো বাঁজল বাঁশি
এক্ষণি মন্দিরের শ্রেষ্ঠ পুরোহিত চেঁচিয়ে উঠল বলে,
“আজ নিভুক অনল নগ্ন রবির
আজ থামুক কলম সকল কবির।”
তখনও কি পড়বে মনে দ্বিতীয় জীবনে,
প্রথম মৃত্যুর আগের.......
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




