বাসা থেকে (আরমানিটোলা)লাইব্রেরী
বাসা থেকে সোজা রাস্তা গিয়েছে
বংশালে, আমি যাই ডানে সোজা;
প্রায় প্রতিদিনি; একেবারে এই
সরকারী লাইব্রেরীটাতে।
আমি আসি প্রায়ই; যদিও কেউই চেনে না
এখানে আমাকে; হাত উদ্যত করে করমর্দন
করার আগ্রহ দেখায় না; কেউ বলেও না
'কেমন আছেন ভাই?', শুধু মাঝে মাঝে বিরক্ত
গ্রন্থরক্ষক কুন্ডলীত ধোঁয়া সামলে বলে উঠেন-
'ব্যাগ টা বাইরে রেখে আসুন'।
আমি আসি প্রায়ই; প্রতিদিনই। কিন্তু কেন
জানি রোজই রাস্তাটাকে নতুন বলে মনে হয়।
দু'ধারে বাস্তব বা অর্ধ-বাস্তব মানুষেরা, বেওয়ারিশ
কুকুরগুলো, শিকড়গেড়া দোকানগুলো, শিকড়ছাড়া
পসরাগুলো; চেনা বা অচেনা রিক্সাওয়ালা কেউই
আমাকে দেখেও দেখে না।
আমি পথ বেয়ে যাই; হয়ত বড়লোকের কোন
দামী গাড়ির অহংকারী হর্ন আমাকে তুচ্ছ করে
সামনে চলে যায়; হয়ত সদ্য স্কুল ছুটি হওয়া
ছেলে-মেয়েরা রিক্সার জন্য ডাকাডাকি করে;
হয়ত ব্যস্ত অফিস মানবেরা গন্তব্যে ছোটে;
হয়ত গন্তব্যহীন সিটি-কাকেরা নন-ভেজ অন্ন
খোঁজে এখানে সেখানে; হয়ত নিয়মিত ভিক্ষুকেরা
এক কন্ঠে ভিক্ষা চাচ্ছে কিংবা মোড়ের দোকানে এই
মাত্র ক্ষুধার্ত শ্রমিক ব্যাঘ্র-শাবকের মত এক টানে
ছিঁড়ে ফেলল সস্তা বিস্কিটের প্যাকেট টা।
আমি হেঁটে যাই; আমি আর আমার ছায়া।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




