অসংলগ্ন
১.
ওরা থাকে অনেক উপরে, লাল-রঙ্গা বিশাল প্রাচীরে
ওদের মুখে জোটে মধু আর বাহনে স্বর্ন-গাড়ি,
আর তাদের অনেকে যাযাবর ঘর আছে-নেই ঘর; কেউ আবার যাযাবরত্ত ও
হারিয়েছে; এদের ঘর ই নেই।
ওরা হারতে চায় কারণ জিততে জিততে ওরা ক্লান্ত;
মুখের মধু ওদের কাছে এখন বিষ,
সোনার পালংকে তাই আজ লাশ পোঁড়া গন্ধ পায়
আর তারা কিছু চায় না কারণ তারা চাইতে জানে না।
২.
কে ভেবেছিল ঘিয়ের লোভে আসা শুকনো আর নোংরা-
মাছি গুলো ভাত টাকেই নিয়ে টানা-টানি করবে।
কেউ ভাবে নাই, যারা ভেবেছিল তারা ভাত পেয়েছে
বাকিরা সব বেকুব।
তাই এখন ঘরে ফেরার সময় হয়েছে ; সব পাখি
নাকি ঘরে ফেরে; ভুল সবাই না; কেউ কেউ
ঘরে ফেরে না কখনো।
৩.
কেউ বা বুঝেছিল শরাব-হীন শরবতের বোতলগুলো
সরব হবে কুলীন হবার জন্য; কেউই বুঝে নি।
তাদের আর দোষ কী? কতদিন আর রঙ্গিন বোতলে
নির্বিষ জল ধরে রাখা যায় ; সময় তো পাল্টায় সাদা
থেকে বেগুনি ; বেগুনি থেকে কালো তারপর...
৪ .
তাই আকাশ ফেটেছে রোষানলে; চমক বিদ্যুতের;
মাটিও কম যায় কিসে, তার ও তো ক্রোধ অনেক;
ফল তো একই - বর্ষা আর ঝর্না।
কে জানে সমুদ্রের জল কবে ফুরাবে...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




