কিছুই যখন আর ভালো লাগতে চায় না, যখন থেমে থাকে সময় গুলি, সত্যি ই খুব ইচ্ছে করে হারিয়ে যেতে তখন। এক বন্ধু হারিয়ে যাওয়ার নতুন এক ঠিকানার কথা বলছিল বেশ কিছু্ দিন আগে থেকেই। সময় করে উঠতে পারছিলাম না এবং এটা বর চেশিই স্বাভাবিক, বাস্তবতা কখনই পেছন থেকে টেনে ধরে থামিয়ে দিতে ভুল করে না। সেদিন সব বাস্তবতা উপেক্ষা করতে পেরেছিলাম কিছু সময় নিজের মত করে থাকার তিব্রতা টা বেশি থাকার কারনে। বন্ধুটি বলতেই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম ঢাকার অল্পদূরে নতুন হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা জল জঙ্ঘলের কাব্য নামের একটি পাগলা গারদে । এটাতেও পাগলদের অভয়ারন্য বললে খুব বেশি ভুল ও হবেনা হয়ত। জল জঙ্গলের স্পনদ্রষ্টা অবসরপ্রাপ্ত বৗমানিক কামল মামা সহ ওখানকার বাসিন্দা আরও ২০/২১ টি পরিবারের সবাই মোটামুটি পাগল। আপনি ওখানে যাওয়ার পর থেকেই এই পাগল গুলো আপনাকে একটু ভাল থাকার জন্য এমন কিছুই ই নেই যে তারা কারার চেষ্টা করবে না। আপনাকে একটু খানি ভালো অনুভূতি দিতে এদের আন্তরিকতা শেষ বিন্দু দিয়ে এরা চেষ্টা করে যায়। আমরা যখন জল জঙ্গলের কােব্যর প্রবেশ মুখ দিয়ে কেবল ডুেকছি তখন ওরা সবাই যার যার মত করে পাগলামি শুরু করে দিযেছিল। পাগলদের মধ্যে এক দল ছিল যারা গান গাইতে পারে এই দলটা আমাদের জন্য আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল আমরা জল জঙ্গলে ঢোকার সাথে সাথেই যে গান শুরু করেছে আর এক মুহূতের জন্যেও গান খামায়নি এরা ্ওদের দল টা ও বেশ বর । ওদের মধ্যে একটা দল সারা রাত ই আমাদের কার কি লাগবে এই কাজে নিয়জিত ছিল বলেই রাত ৩ টায় যখন অল্প বৃষ্টি হচ্ছিল তখনও আমাদের হাতে কফির মগ ছিল। কিছক্ষন আগেই মুরগির বার-বি-কিউ আর চালের গুরি দিয়ে বানানো বিভিন্ন পিঠা, রুটি এবং কালিজিরা দিয়ে বানানে অদ্ভুত কিছু্ খাবার এর স্বাদ নেয়ার পর গুরি গুরি ব্রষ্টি তে এই শীত এমন একটা বাশের মাচায় বসে কফি খাওয়ার যে কি মজা তা না হয় না ই বললাম। বুষ্টি থামার পর পাগলদের গুরু কামাল মামা এসে হাজির, এতক্ষন তিনি ঘুমোচ্ছিলেন। উনি এসেই যেই প্রস্তাব দিয়েছিল ওটা শুনে আমার মনে পরে গেল আমি নিজেই তো একটা পাগল। ্ওনার প্রস্তাবে রাজি হয়ে ৪ টায় আমরা গাড়ী নিয়ে বের হয়ে পরলাম ২০ কি.মি দূরে এক গ্রামে যেখানে তখনও গান হচ্ছিল।অসম্ভব সুন্দর ছিল ঐই ড্রাইভ টা। আমরা যখন ফিরে আসি ততক্ষনে সূয্যে উঠে গেছে। পাগলদের দুজন পাশের এক গ্রাম থেকে খেজুরের রস জোগার করার চেষ্টা করে সেষমেস ব্যার্থ । রস খেতে না পেরে কাল মূল করে সূয ্ওঠা দেখছিলাম আর মন খারপ হয়ে যাচ্ছিল কারন আমাদের চলে আসার সময় হয়ে যাবে একটু পরই । আমারা চলে আসার আগে নিজেরা জল জঙ্গলের পুকুর থেকে মাছ ধরেতে চেয়েছিলাম, সাতার কেটেতে চেয়েছিলাম জল জঙগলের বিল এ,সময়ের কারনে করা হয়নি তাই বলে ক্রিকেট খেলতে ও ভুলিনি জল জঙগলের মাঠে। যখন চলে আসছিলাম মনে হব্ছিল পাগল গুলোর চোখে পানি ছিল, এত অল্পতেই মানুষ কিভাবে অন্যজনকে অাপন করে নিতে পারে!!!!। কিছুক্ষন এই ছোট্র বিষয টা আমার মাথায় ছিল । পরে মনে পড়লো ওরা তো আর আমাদের মত মানুষনা ্ওরা তো আসলে পাগল। সত্যিই ওরা পাগল, আমাদের মানুষদের থেকে ভিন্ন চিন্তা করতে পারা, অন্যকে আপন করত পারা, কোন স্বর্ধ ছারাই অন্যকে ভালোবাসাতে পার, মানুষের মত দেখতে ওদরে আমি পাগল না বলে পারিনি।আমার ও বর ইচ্ছে করে, আমিও তোমাদের মত হতে চাই। নিজেকে মানুষ পরিচয় দিতে আমার আর ভালো লাগেনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




