somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রকিতির কাছাকছি কিছুসময়

১৪ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেউক্রাডং ( বাংলাদেশের সবোচ্চ পাহার) অবশ্য ভিন্ন মত ও আছে। এখানে ট্রাকিং করে গর্ব বুক টা ভরে উঠে, বাংলাদেশের সবচেয়ে উচুতে নিজের পা ফেলার স্বাদ ই অন্যরকম, একমাত্র সাহসি লোকজন ই পারে কেউক্রাডং এর চুরায় চেতে। সেই ছোট বোলা থেকে এই রমক বস্তা পচা কথা শুনে শুনে কেউক্রাডং ট্রেকিং করার বাসনা শেষ মেষ কামনায় রুপান্তরিত হয়ে গিয়েছিল। এটা আমার ৩য় বারের মত ট্রেকিং করা আর ঝিরি পথে এই প্রথম। আরও কিছু পথ আছে তবে ঝিরি পথের টা সবচেয়ে বেশি রোমন্চকর। যে পথ ই ধরেন না কেন আপনাকে বগালেক হয়ে ই যেতে হবে, বগা লেক টা কেওক্রাডং এর বেস ক্যাম্প বললে ভুল হবে কিনা যানিনা তবে পাহাড় ঘেরা পাহারের আনেক উচুতে এই লেকটি দেখে মন ভরে যেতে বাধ্য। এই গল্টটি মুলত বগালেকে গিয়ে শেষ হয়ে গেছে।


ছবি নং ১

চাদের গাড়ী আমাদের নামিয়ে দিল কাঙ্খাংছড়ি ঘাটে এখান থেকে সাঙ্গু নদী পথে প্রায় দের ঘন্টা যাওয়ার পর আমরা পৈছব রুমা বাজার ওখানে রাত কাটিয়ে তার পর একদম ভোরে হাটা শুরু করব বগালেকের দিকে তাও ঝিরি পথে। ভাবতেই কেমন যেন লাগছে।

ছবিনং ২.
যাত্রা শুরু হওয়ার আগেই ঝগড়া শুরু। কেউ বলছে ইজ্নিন চালিত নৈকায় রুমা বাজার যাবো কেউ কেউ বলছে ইন্জিন ছাড়া নৈকায়।

ছবি নং ৩- হাতে তেমন সময় নেই তাই আবেগে গা না ভাসিয়ে ট্রলারে করেই রুমা বাজারের দিকে।

ছবি -৪ ,

কেউ ট্রলারের উপরে, কেউ সামনের দিক টায় গিয়ে নিজেদের মত করে ক্লিক করতে ব্যাস্ত।

ছবি -৫
কেউবা আবার ট্রলারের ভেতর থেকেই ।

ছবি -৬
রুমা বাজার যেতে যেতে প্রকিতি কে ফ্রেমে বন্দি করার ফিকির।



ছবি -৮

ছবি -৯

ছবি -৯
স্রোতোর বীপরিতে প্রায় ২ ঘন্টা ট্রলার বেয়ে আমরা এখন রুমা বাজার। খুবই ক্লান্ত আমরা, এখন যার যার মত করে রেষ্ট করে কাল সকাল থেকে ট্রেকিং শুরু করার ইচ্ছে। সকালে দেখা হবে বাই বাই টা টা।

ছবি -১০, সুয়্যেদয় এর আগেই পাহারির বেরিয়ে পরে নিজের তাগিদে। রুমা বাজার থেকে তোলা ছবি। একটু পরই আমাদের পথচলা শুরু হবে বগা লেকের দিকে, দেখি বাকিরা সব কই।

ছবি ১১
বেলা তখন প্রাই ৮.৩০. এই কুয়াসার মধ্যে একবুক আশানিয়ে আমাদের চলা শুরু

ছবি -১২ পথচলা

ছবি -১৩ ঝিরি পথ সব সমই পিচ্ছিল


ছবি ১৫. দুপুর ১ টার কিছু বেশি, তখনও দৈওরানর এনার্জি রয়েই গেছে।

ছবি -১৬
পাহারিদের মাচায় সুয়ে বসে একটু রেষ্ট নেওয়ার চেষ্টা।

ছবি -১৭. রেষ্ট অনেক হয়েছে, সুয্য যাবার আগেই আমাদের যেতে হবে বগা লেক, এমতিই অনেক দেরি হয়ে গেছে।

ছবি ১৮
এবারকার পথ গুলো একটু যেন কেমন।

ছবি -১৯.
একটু কঠিন ও।

ছবি -২০ , কারো কারো জন্য একটু বেশিই কঠিন।


ছবি -২১ , বোঝার কোন উপায় নেই কত বেশি কঠিন ছিল এই পথটুকু। উপরের দিকে উঠার শুরু করতে হয়েছেল এমনই খারা, পাথুরে এবং ভয়াবহ পিচ্ছিল পথ পারি দিয়েই।আমাদের মনে হয়েছিল কোন সাহায্য ছারা এই পথটুকু পার হওয়া মুসকিল ই নেহি না মুনকিন হ্যা। অবশেষে পার হওয়া ও শুরু হয়ে গেল।

ছবি ২২. চলতি পথে পাহারিদের কিছু জিবনযাত্রা এবার ক্যামেরার মধ্যে খানে।

ছবি -২৩

ছবি -২৪

ছবি -২৫



ছবি ২৬ - এভাবেই সারা দিন কাটিয়ে দেয় ওরা। কখনো খেলার ছলে মাছ ধরেত ধরতে কখন ও ছোট টা কে ধমক দিয়ে।

ছবি -২৭. টাফ লাইফ।

ছবি -২৮
ছবি-৩০ .. এখন প্রায় ৪.৩০ এই পাহার টি ই সম্ভবত সেষ পাহার আর কিছুক্ষন পরই হয়ত বাগালেকের কাছা কাছি যেতে পারব। দেখা যাক কি হয়।

. ছবি ৩১ .
অবশেষে বগালেক চোখের সামনে ।খুবই ক্লান্ত আমারা এবং ক্ষুদার্থ ।

ছবি -৩২ , লারাম দা এর থেকে ওদের তৈরি করা কটেজ এ উঠে খাবার এর ওর্ডার ও দিয়ে ফেলেছি, কটেজের মাচায়ে বসে সুয্য ডোবার মুহূতে পাহার আর আকাশ দেখার মজা টা একটু যেন কেমন।

ছবি ৩৩ . এখন রাত ১২ টার কিছু বেশি, পেট ভরা সবাই আমরা ক্লান্ত, পরের দিন খুব ভোরে শুরু করতে হবে কেওক্রাডং এর পথে হেটে যাওয়া, তাই ঘুমের কো্ন ই বিকল্প নেই। কিন্তু সারা শরীর এত ব্যাথা যে ঘুম আসছে না। অনেকক্ষন হাত পা ধরার পর একজনের হাতে গীটার।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:১১
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×