কেউক্রাডং ( বাংলাদেশের সবোচ্চ পাহার) অবশ্য ভিন্ন মত ও আছে। এখানে ট্রাকিং করে গর্ব বুক টা ভরে উঠে, বাংলাদেশের সবচেয়ে উচুতে নিজের পা ফেলার স্বাদ ই অন্যরকম, একমাত্র সাহসি লোকজন ই পারে কেউক্রাডং এর চুরায় চেতে। সেই ছোট বোলা থেকে এই রমক বস্তা পচা কথা শুনে শুনে কেউক্রাডং ট্রেকিং করার বাসনা শেষ মেষ কামনায় রুপান্তরিত হয়ে গিয়েছিল। এটা আমার ৩য় বারের মত ট্রেকিং করা আর ঝিরি পথে এই প্রথম। আরও কিছু পথ আছে তবে ঝিরি পথের টা সবচেয়ে বেশি রোমন্চকর। যে পথ ই ধরেন না কেন আপনাকে বগালেক হয়ে ই যেতে হবে, বগা লেক টা কেওক্রাডং এর বেস ক্যাম্প বললে ভুল হবে কিনা যানিনা তবে পাহাড় ঘেরা পাহারের আনেক উচুতে এই লেকটি দেখে মন ভরে যেতে বাধ্য। এই গল্টটি মুলত বগালেকে গিয়ে শেষ হয়ে গেছে।
চাদের গাড়ী আমাদের নামিয়ে দিল কাঙ্খাংছড়ি ঘাটে এখান থেকে সাঙ্গু নদী পথে প্রায় দের ঘন্টা যাওয়ার পর আমরা পৈছব রুমা বাজার ওখানে রাত কাটিয়ে তার পর একদম ভোরে হাটা শুরু করব বগালেকের দিকে তাও ঝিরি পথে। ভাবতেই কেমন যেন লাগছে।
যাত্রা শুরু হওয়ার আগেই ঝগড়া শুরু। কেউ বলছে ইজ্নিন চালিত নৈকায় রুমা বাজার যাবো কেউ কেউ বলছে ইন্জিন ছাড়া নৈকায়।
কেউ ট্রলারের উপরে, কেউ সামনের দিক টায় গিয়ে নিজেদের মত করে ক্লিক করতে ব্যাস্ত।
কেউবা আবার ট্রলারের ভেতর থেকেই ।
ছবি -৬
রুমা বাজার যেতে যেতে প্রকিতি কে ফ্রেমে বন্দি করার ফিকির।
স্রোতোর বীপরিতে প্রায় ২ ঘন্টা ট্রলার বেয়ে আমরা এখন রুমা বাজার। খুবই ক্লান্ত আমরা, এখন যার যার মত করে রেষ্ট করে কাল সকাল থেকে ট্রেকিং শুরু করার ইচ্ছে। সকালে দেখা হবে বাই বাই টা টা।
বেলা তখন প্রাই ৮.৩০. এই কুয়াসার মধ্যে একবুক আশানিয়ে আমাদের চলা শুরু
পাহারিদের মাচায় সুয়ে বসে একটু রেষ্ট নেওয়ার চেষ্টা।
এবারকার পথ গুলো একটু যেন কেমন।
একটু কঠিন ও।
ছবি ২৬ - এভাবেই সারা দিন কাটিয়ে দেয় ওরা। কখনো খেলার ছলে মাছ ধরেত ধরতে কখন ও ছোট টা কে ধমক দিয়ে।
অবশেষে বগালেক চোখের সামনে ।খুবই ক্লান্ত আমারা এবং ক্ষুদার্থ ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




