শূন্যতা। ছোট্ট এই বুকের ভেতরটাতে বিশাল এক শূন্যতা। যে শূন্যতার সাথে উপমা চলে একমাত্র ঐ সুবিশাল মহাশূন্যের। একটি নক্ষত্র থেকে আরেকটি নক্ষত্রের অবস্থান কত শত আলোকবর্ষ দূরত্বে। আমারও বুকের ভেতরে তেমনি শূন্যতা। সেই বিশাল শূন্যতার মাঝে কত ব্যদনা, কত দুঃখ-কষ্ট, কত না পাওয়ার অজানা উপন্যাস তারা হয়ে ফুটে আছে। মনের আকাশের ঐ তারাগুলো অনবরত উল্কাপিন্ডের মত ছুটে এসে আঘাত করে হৃদয়ে। ক্ষত বিক্ষত করে দেয় হৃদয়ের কোষগুলোকে। ব্যথায়-ব্যদনায় নীল হয়ে যায় অন্তর। সাগরের ঢেউয়ের মত কষ্টগুলো একের পর এক এসে আছড়ে পড়ে হৃদয়ের বেলাভূমিতে। ব্যদনার নীল রং হৃদয় ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত দেহে। কষ্টের সেই স্বরূপ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ফুটিয়ে তোলা যায়না শিল্পীর তুলিতে। শুধুই হৃদয়ের গভীরে ধারন করে ধিকিধিকি তুষের আগুনে জ্বলতে হয়। আর পৃথিবী নামের এই নাট্যশালায় অভিনয় করতে হয় হাসিমুখে। একরাশ ব্যদনার সেই বিশাল সাগর কখনো প্লাবিত হয় কূল ছাপিয়ে। নির্জন, বিষন্ন মূহুর্তগুলোতে দুচোখ ভেঙ্গে নেমে আসে অশ্র“র প্লাবন। হৃদয়ের আকাশে ছড়িয়ে থাকা পুঞ্জীভূত কালো মেঘগুলো থেকে বর্ষিত হয় শ্রাবনের অঝোর ধারা। কখনো চোখে জল না এনেও কেদে উঠে মন। অপ্রকাশিত সেই কষ্টগুলো প্রকাশের পথ খোজে। হৃদয়ের তপ্ত রক্তটুকু ব্যদনার নীলে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
মোঃ জাহাঙ্গীর কবির।
১৪.০৯.২০০৪ ইং; ২২১০
নারায়ণগঞ্জ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




