»»»» ধরে নিলাম আইনস্টাইনের বিখ্যাত থিওরি অফ রিলেটিভিটি অর্থাৎ আপেক্ষিকতার সূত্রটি অনেকেই জানেন। বিজ্ঞান ও সাহিত্যের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও আগ্রহের কারনে যতটুকু জানি সে আলোকেই বলছি, মানব জীবনে ভালোবাসা, আস্থা-বিশ্বাস, সুখ-শান্তি, আরাম-আয়েস সবগুলো শব্দই আপেক্ষিক। সহজ কথায় বলা যায় কোনটাই ধ্রুব সত্য নয়। আবার কোনটাই চিরস্থায়ী নয়। একেক জনের কাছে এর স্বরুপও একেক রকম। সহজ কথায়, ভালোবাসা ও সুখ থার্মোমিটারের পারদের ওঠানামার মতোই মানব জীবনে সামঞ্জস্য বিধান করে।
»»»» পদার্থবিজ্ঞানে পড়া E=mc2 সূত্রের গুরুগম্ভীর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়তো আমার পক্ষে সম্ভব নয়, তাই সেদিকে যাচ্ছি না। আপেক্ষিকতা নিয়ে আইনস্টাইনকে তার এক ভক্ত প্রশ্ন করেছিলেন, আমাকে একটু সংক্ষেপে বুঝিয়ে বলুন তো, আপেক্ষিকতা কি?
»»»» মনে কর, তুমি একটা জলন্ত অগ্নিকুন্ডের নিকট 1 মিনিট বা তার বেশি সময় বসে ছিলে, কিন্তু তোমার মনে হবে, তুমি 1 ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে বসে আছ, আবার কোন সুন্দরী তরুনীর সাথে 1 ঘন্টা বসলেও তোমার মনে হবে তুমি খুবই অল্প সময় তার সাথে কাটিয়েছ। এই যে অনুভুতি, তার নামই আপেক্ষিকতা বললেন আইনস্টাইন।
»»»» এবার আসল কথায় আসি, জগতের সবকিছুই আসলে আপেক্ষিক। বাইরে থেকে কোন কিছুরই সঠিক পরিমাপ করা সম্ভব নয়। জগতে কে কতটুকু সুখী আর কে দুখী! বাইরের রুপ দেখে বোঝা যায় না। এ নিগূঢ় তথ্য শুধু ব্যক্তিমাত্রই জানেন। সুতরাং আপেক্ষিকতা শুধু পদার্থবিজ্ঞানেই নয়, মানব জীবনেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৩